যে মানুষটা অনেক কিছু চাইত, কিন্তু অনেক কিছু পারত না, মানে অনেক কিছু পাওয়ার মত সাধ্য ছিল না, সে ঠাকুরকে ডাকত মই বলে, কিম্বা লুকানো সোজা রাস্তা বলে।
যে মানুষটা ভাবত সবাই ভালো, যে মানুষটা ভাবত সবাইকে বোকা, তাদের প্রথমজন ঠাকুরকে ডাকত ধর্ম, আর পরেরজন ডাকত ভালোমানুষ বলে।
যার অনেক আছে, এত আছে যে আর কি চাইবে ভেবে পায় না, সে ঠাকুরকে ডাকত পাঁচিল, পাহারাদার বলে।
যে লোকটা রোজ লটারির টিকিট কেটে বাড়ি ফিরে সিংহাসনে টিকিট লুকিয়ে রেখে ঘুমাতে যেত, সে ঠাকুরকে ডাকত সৌভাগ্য বলে।
যে খুন করবে বলে মতলব করত, সিংহাসনে বসবে বলে ছুরিতে শাণ দিত, সে ঠাকুরকে ডাকত ডোরেমন আর পোষা সিংহ বলে। কেউ কেউ অনেকটা নির্লজ্জ হয়ে ডোবারম্যান বলেও ফেলত।
অনেকে যারা ভীষণ পবিত্র, সবজান্তা, সর্বক্ষমতাসম্পন্ন, ভীষণ নম্র নিজেকে ভেবে দোকান খুলে বসত লোককে রাস্তা দেখাবে বলে, তারা ঠাকুরকে ডাকত পরশপাথর বলে।
ঠাকুরকে ঠাকুর বলে ডাকত খালি একজন, ফকির যে, ঠাকুরকেও সে ফকির বলে জানত, নিজের ভিক্ষার সাথী করে ঠাকুরকে নিয়ে ভিক্ষায় যেত, যা পেত ঠাকুরের সঙ্গে ভাগ করে খেত।