Skip to main content

তাই হয়

সাঁকোটা পেরোবার পর মনে হয় -

         এমন কি আর দরকারি ছিল ওটা?
      বাঁশে বানানো সামান্য একটা সাঁকোই তো
   অমন সাঁকো ঢের দেখেছি, আরো কত দেখব!

তাই হয়

গোপাল

শরীরটা গ্রাম গ্রাম, তার মধ্যে কব্জা করতে চাইছে শহুরে আত্মা। কলকাতা থেকে বেশ কিছুটা দূরের একটা গ্রাম। এতটা দূরেরও নয় যে কলকাতা বিদেশ, আবার এতটা কাছেও নয় যে কলকাতার শ্বাস-প্রশ্বাসের আঁচ লাগে। আঁচটা না লাগলেও তাপটা লাগে। 

বড়রাস্তা

সব গলিই ঘুরতে ঘুরতে বড় রাস্তায় মেশে।
তবু বড় রাস্তাটা এত শুনশান কেন?
গলি দিয়ে আসার সময় তো দেখে এলাম 
          হাজার লোকের চলাফেরা

সচেতনতা

আলো অন্ধকারকে প্রকাশ করলে গোল হয় না। গোল বাধে আলো অন্ধকারকে ব্যঙ্গ করলে। আলো যদি নিজেকে নিজের মধ্যে দেখতে চায়, তাকে বলে - ধাঁধা। সে ধাঁধা আলোতে অন্ধকারে বাধে না, বাধে আলোর মধ্যখানের অতিআলোকিত অস্তিত্বে। 

জানো না

তুমি শূন্যতা দেখো, আমি দেখি আকাশ।
এত ভয় কেন তোমার? জানো না -
       আকাশের নিলাম হয় না!

ঘুম নষ্ট

কোনো একদিন থেকে সে নিশ্চিন্তে ঘুমাবে।

শুধু এইটুকুই চাইত লোকটা,
        বহু রাতের ঘুম নষ্ট করে।

এখন লোকটা মড়ার মত ঘুমায়।

শাড়ি কাকিমা

"মা বাড়ি আছেন?"
সাদার উপর নীল ফুল ফুল শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছেন শাড়ি কাকিমা। মাঝারি উচ্চতা। প্রায় সব চুলই সাদা। চোখে কার্বন ফ্রেমের চশমা, দুটো হাতে দুটো বড় বড় চটের ব্যাগ। 

থাক না গোপনে

বেশ কিছুদিন ফেসবুকে অনুপস্থিত ছিলাম, তার একটা কারণ অবশ্যই ব্যক্তিগত পড়াশোনা তো নিশ্চই ছিল, কিন্তু তার সাথে আরেকটাও কারণ ছিল, ছিলই বা বলছি কেন?

দ্বিধা

ফেরার কথা ছিল দু'জনেরই
ফেরা হল না
অনায়াসেই ফেরা যেত যদিও

অসঙ্কোচে কাটানো সময়
     ফিরতে চাইল না দ্বিধার হাত ধরে

কে কাছের

ফুলের শোভায় মুগ্ধ চোখ বৃন্তের সাদামাটা চেহারাকে উপেক্ষাই করে। ফুলই একমাত্র বোঝে, কে কাছের - বৃন্ত না মুগ্ধ চোখ।

Subscribe to