মার্টিন লুথার কিং ও ভারতবর্ষ
বলতে নেই
- বলতে নেই
এখনও মায়ের নাম বলতে দ্বিধা। অবচেতন খটকা। ঠিক হবে কি? এটা বিবেক না। এটা সংস্কার। কুসংস্কার না। ভুল সংস্কার। কারণ বাবা প্রধান। মা দ্বিতীয় অভিভাবক। মায়ের নামে আবার কিসের পরিচয়? বাড়ির নেমপ্লেটে দেখেছি বাবার নাম, তারপর তাদের কৃতী সন্তানদের নাম। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে। সে ইদানীং চোখে পড়ে টুকটাক। কিন্তু মায়ের নাম নেই। যদি তিনি তথাকথিত শুধুমাত্র গৃহবধূ হন তবে তো আরো সে নাম থাকার প্রশ্নই আসছে না।
প্রশ্নপত্র
যেদিন ওর প্রথম সুগার ধরা পড়ল,
এদিকে তো মানুষটা প্রচুর খেতে ভালোবাসেন
একটু হেসে স্ত্রীকে বলেছিলেন,
"ঈশ্বর পরীক্ষা নিচ্ছেন"
যেদিন প্রথম পাইলস ধরা পড়ল
রক্তারক্তি অবস্থা
ঘেমে-নেয়ে টয়লেটের বাইরে এসে বলেছিলেন
করুণ হেসে
"বুঝলে গো, ঈশ্বর পরীক্ষা নিচ্ছেন"
খাঁটি বাস্তব
যে মানুষ অপমানের উপযুক্ত জবাব দিতে পারে না, সে মনের মধ্যে গুমরে মরে। সে তখন একটা খেলায় মাতে। সে প্রতিপক্ষকে কল্পনায় ভেবে নিয়ে তার মুখে কাল্পনিক অপমান বাক্যগুলো তৈরি করে তার উত্তর দেয় মনে মনে। এ এক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। ক্রমশ এ খেলা তাকে গ্রাস করে নেয়। সে রাতদিন নিজেকে দ্বিধাবিভক্ত করে, এক খণ্ড প্রতিপক্ষকে দেয়, আরেকপক্ষকে নিজের দিকে রাখে। ক্রমশ সে মনে মনে দুর্বল হয়। বুঝতেও
প্রতিটা মেয়ে আত্মগোপন করে সমাজে জন্মায়
সেদিন খাঁচার পাখি আর বনের পাখির মধ্যে তুমুল তর্ক হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথের গান কি কবিতা যাই বলুন, আমরা পড়েছি। তাদের মধ্যে যে একটা মিলনের পিয়াস ছিল, তাও পড়েছি। কিন্তু তা হয়নি। বিধাতার মনে কি ছিল সে জানি না, কিন্তু বনের পাখিটার মনে কি হয়েছিল তারপর, বনে ফিরে গিয়ে? তার কি একবারও মনে হয়নি যে খাঁচার পাখি যা বলেছে সে তার প্রাণের কথা নয়?
গুরুমশায়
বরবটি
নিজেকে নিঃশেষে দিয়ে
তুমি পরিপূর্ণতাকে বলো সত্য
তুমি পরিপূর্ণতাকে বলো প্রেম
তুমি পরিপূর্ণতাকে বলো ঈশ্বর
আমি অসম্পূর্ণতাকেই বলি সত্য
আমি অসম্পূর্ণতাকেই বলি প্রেম
আমি অসম্পূর্ণতাকেই বলি ঈশ্বর
তোমারই শুধু যেন
কোথায় যাওয়ার তাড়া
কি একটা হওয়ার যেন
পবিত্র জেদ
লে লে, আমায় গেল
এ আমার একার অস্তিত্ব। অল্প অল্প ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের মত। আকাশ ধরো সময়। ধরো সব মেঘ বিছিয়ে দিলেও আকাশ শূন্য থেকে যাবে। আমি সব সময় একা। এত মানুষ এলো গেলো। এত ভালোবাসা-বাসি। এত বুকফাটা বিরহ। এ সবই হল। কিন্তু দাগ কাটল না। আমি একা। এটাই আমার পরিচয়।
অতিশয়োক্তি
সত্যের সমস্যা মিথ্যাকে নিয়ে ততটা নয়। মিথ্যা সত্যের সতীন। তাদের মধ্যে কোন্দল আছে যেমন, তেমন পাশাপাশি অবস্থান করে সংসার চালানোও আছে। সত্যে মিথ্যায় মিলে জগৎ সংসার। এ আমরা একপ্রকার মেনেই নিয়েছি। এইতেই স্বাভাবিক ছন্দ আমাদের। কে আর বেছে বেছে খাঁটি সত্যে জীবন ধারণ করবে রে বাবা, অমন পরমহংস হলে আমাদের পেট ছেড়ে দেবে। তাই মানুষের আরেকটি আবিষ্কার হল, অতিশয়োক্তি।