Skip to main content

চিহিরো

চিহিরো গেল জয়পুরে
জিভের ফোঁড়া নিয়ে
ডাক্তার দিল ফোঁড়া কেটে
লেজার কাঁচি দিয়ে

  হেঁটে হেঁটেই ওটিতে ঢুকল
সব্বাই দেখে অবাক
এত সাহস চিহিরো পালের
সবাই বলে, কেয়া বাত! 
...

নিজের চিত্তের প্রসাদ

এমন একটা লেখা লিখুন যাতে কেউ বুঝতে না পারে। মানুষ সহজে বুঝলে সহজে ভুলে যায়। সহজে পেলে মান কম দেয়। সহজ না, জটিল কিছু লিখুন।
          এইবার? এই যে এতবড় জটিল পৃথিবী, এত এত প্যাঁচাল, এত এত ঝুটঝামেলা, এই কি শেষ? না তো। এক মেলা লোক। হাজার রকম আলো, হাজার রকম মানুষ, হাজার রকম আমোদ, সমস্যা, ব্যবসা, উদ্দেশ্য। এ সবের শেষে কি থাকে? ভাঙা মেলা। তারপর শূন্য মেলা।
          যে ট্রেন হিল্লিদিল্লি ঘুরে এত এত রাস্তা পেরিয়ে যাত্রা শেষ করল, তাকেও কারশেডে গিয়ে বিশ্রাম করতে হয়।
...

ভালোবাসা মানে

ভালোবাসা মানে বুঝতে গেলে
রাতের অন্ধকারে এসে দাঁড়াও
হাস্পাতালের সামনে
দেখো
ভালোবাসা মানে উদভ্রান্ত চোখ
....

শুকনো নদী

শুকনো নদী। রাতের তারাভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, আর কতদিন?

কেউ উত্তর দিল না।

ভোরবেলা এলো মেঘ। বৃষ্টি শুরু হল মুষলধারে। নদী ভাসল জলে।

রাতে তারাদের ছায়া পড়েছে উচ্ছল নদীর বুকে। তারা ফিসফিস করে নদীর কানে কানে বলল, আমরা তোমার মোহনা অবধি দেখতে পাই, জানো, তোমার রহস্য বলে কিছু নেই!

নদী বলল, মোহনায় পৌঁছানোর সুখ পাও কি?

একদিন জিতে যাবে

সারারাত আকাশই পারে না সব তারা চাঁদ এক জায়গায় রাখতে, এদিকে ওদিক ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নেয়। আর তুমিই নাকি সব গুছিয়ে এক জায়গায় রাখবে। যতসব পাগলের মত কথা।

দুজনে

বাচ্চাটা দুটো তুবড়ি, আর চারটে ফুলঝুরি জ্বালানোর পর মায়ের মুখের দিকে তাকালো। বুঝল আর নেই। মা তাকে নিয়ে ছাদে উঠল। কত কত বাড়িতে টুনি লাইট লাগানো। সামনের পুকুরটা জ্বলজ্বল

কাকটা

কাকটা গঙ্গার পাড়ে কিছু একটা খুঁটে খেতে চাইছে। বারবার কাদায় পা আটকে যাচ্ছে। কি সেয়ানা দেখো, এক দুবার খুঁটে খেতে না খেতেই দু তিনবার লাফিয়ে নিচ্ছে, যাতে কাদায় পা না জমে যায়। পা যদি একবার কাদায় জমে যায়, তবে ডানায় যত শক্তিই থাকুক, পা দুটোকে যে কিছুতেই টেনে তুলতে পারবে না। মাটিতে পায়ের ধাক্কা দিয়ে, ডানায় হ্যাঁচকা টান মেরেই না আকাশে ওড়া!
             কি চালাক দেখো, সে কাদার মধ্যে কি একটা খুঁটে খেতে খেতে চারদিকে বারবার তাকিয়ে নিচ্ছে। যেন কেউ এসে চেপে না ধরে তাকে, ছোবল না দিয়ে যায়, ঢিল না মারে।
....

কাজরি

বৃষ্টি এলো হঠাৎ। বেমানান লাগল না। যেন আসারই ছিল। ছোটো স্টেশান। ঘাস উঠেছে নেড়া হয়ে সদ্য চুল গজানো মাথার মত এখানে সেখানে অল্পস্বল্প। মুখোমুখি দুটো প্ল্যাটফর্ম ভিজছে। দিগন্ত ছোঁয়া সবুজ মাঠ উৎফুল্ল হয়ে আকাশকে ডাকছে বুকের উপর, এসো।
          ট্রেনের জানলার উপর হাত রেখে জাহ্নবীও বলেছে, এসো তবে, ভালো থেকো, সাবধানে যেও।
...

শ্যামাপোকার আব্বুলিশ

মানুষটা শ্যামাপোকা খুঁজতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে লাগল। ফোন করলে ধরল না। লোক পাঠালে ধরা দিল না। এ পাড়া, সে পাড়া ঘুরে কোথাও শ্যামাপোকা না পেয়ে লোকটা একটা রাস্তার মোড়ে বসে পড়ল, হাঁটুতে মাথাটা গুঁজে। কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে সাড়া দিল না।
          তার ছোটোবেলার সব শ্যামাপোকারা ভিড় করে তার সারা শরীর মন ছেয়ে গেল। বাবা, মা, ভাই, বোন সবার গায়ে শ্যামাপোকা। সবাই নতুন জামা পরেছে। না, সবাই তো না, বাবা আর মায়ের নতুন জামা, শাড়ি নেই। তারা তখন গরীব।
...

কচুরি আর ছোলার ডাল খাচ্ছিল

রামকৃষ্ণদেব মাকে চাক্ষুষ হাঁটতে, চলতে দেখতেন এসব তো আমরা জানিই। কিন্তু আরো কত কথা অজানাই থেকে যায়। সে সব কথা আমরা না লিখলে কে লিখবে?
          ছবিতে যিনি আছেন, মানে আরাধ্যা পাল, তিনি সকালবেলা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। ফিরে আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেন। কথায় কথায় আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে সকালবেলা কালী ঠাকুর কি করছিল? ওরকম দাঁড়িয়েই ছিল?
          সে সঙ্গে সঙ্গে একটুও না ভেবে বলল, না না
,,,
Subscribe to