এ হৃদয়
এ হৃদয় বারোয়ারী আজ
কোথায় কখন কার খোঁজে থাকে
খেয়াল রাখি না আর
ওর কান্না হাসি আশা হতাশা খুব চেনা আমার
বিশ্বাস করে ঠকে যাওয়া
বিশ্বাস না রাখতে পারা
এগুলো জলভাত এখন আমার কাছে
এমনিই ভালোবেসে
একটা ছোট্ট ঘাস
রাস্তার ধার ঘেঁসে
চাকার, পায়ের ধূলো
তাকে ঢেকেছে একশেষে।
হঠাৎ একবিন্দু জল
আকাশ থেকে এসে
ধুইয়ে দিয়ে গেল তাকে
এমনিই ভালোবেসে।
মা
একটা বাচ্চা পার্কের স্লিপে
উঠছে হাসছে নামছে
মা দাঁড়িয়ে দেখছে।
স্লিপের নীচে মা কুকুরটা
বাচ্চাগুলো নিয়ে ঘুমোচ্ছে।
বিশ্বাসহীন
বিশ্বাসহীন উদ্বাস্তু একটা মানুষ
সকাল থেকে চৌকাঠে দাঁড়িয়ে
ওর বাইরে যেতে ভয়
ওর ভিতরে থাকতে সংশয়।
কবে?
মেসেজ আসার শব্দে
ফোন আসার শব্দে
কলিংবেলের শব্দে
কবে মিশেছো?
বাইরে রাখা জুতোর তাকে
আলনায় কাপড়ের মাঝে
চশমার খোলা খাপে
কবে ঢুকেছো?
আমার চায়ের কাপে
উড়ন্ত চুলের ফাঁকে
আমার ঘামের গন্ধে
কবে এসেছো?
আমার টুথপেস্টের ভাগ
মাথার বালিশের ভাগ
একফালি অবকাশের ভাঁজ
কবে চেয়েছো?
জানলা
খোলা জানলা
বাতাস এলো তোমার গন্ধ নিয়ে
বন্ধ জানলা
আমার গন্ধে বাতাস উঠল ভারী হয়ে
উনুন খুঁড়ে
অনেক শরীরের স্বাদ পেতে পেতে
যে মানুষটা হৃদয়ের স্বাদ ভুলল-
সেদিন সে বুকে হাত দিয়ে দেখে
খুব বড় একটা অন্ধকার গর্ত
তার অনেক নীচে একটা গরম চাটু
সে জল খুঁজছে এখন, উনুন খুঁড়ে।
তোমার দৃষ্টি
তোমার দৃষ্টি
আমার অদৃষ্টের পথ ঘিরে
তোমার হাসি
আমার বাধা-বিঘ্ন চিরে
খোঁজ
সাজানো কথা ক্লান্ত হয়ে ফিরে
নীরবতায় ঘুমিয়ে পড়ে রোজ
নীরবতা সারা আকাশ চেয়ে
ধ্রুবতারার আবার আনে খোঁজ
লাল টকটকে সিঁদুর
বাজার করতে ফুটো ব্যাগ
জল আনতে ফুটো হাঁড়ি
কুটনো কুটতে ভোঁতা বঁটি
রান্না করতে বাঁকা বাসন
যে হাত দুটোতে এ সংসার-
সে হাতে দুটো সাদা ধবধবে শাঁখা
আর তাতে লাল টকটকে সিঁদুর