Skip to main content

আছো


ভিতরে আছো
ভিতর হয়ে আছো

মিলিয়ে আছো
ভিতর বাইরে জুড়িয়ে আছো

ঘিরে আছো
চারপাশেতে পরিধি হয়ে
  প্রেমের বৃত্তে কেন্দ্র হয়ে আছো

হয় না


মেয়েটার কিছু শাড়ি আলনায় রাখা
               এগুলো রোজ লাগে
কিছু শাড়ি আলমারীতে তোলা, গোছানো
         ভাঁজের পর ভাঁজ খোলে
   আবার ভাঁজ করে রাখে
ভাঁজের রেখায় রেখায় আটকে তার শখ

সর্বজনীন অসর্বজনীনতা

আমাদের ধর্মের সাথে উৎসবের খুব একটা মূলগত যোগাযোগ আছে বলে মনে হয় না। ধর্মের কোনো একটা দিক একে অনুপ্রাণিত করে, এতটাই সত্যি। এরপর বাকিটা আমরা আমাদের মত বানিয়ে নিই। 

অসত্য


যে আগুন জ্বালিনি
সে আগুনে পুড়ল ঘরদোর
যে ঝড়কে ডাকিনি
সে ঝড় উড়িয়ে নিল এক উঠান শিউলি
যে কথা বলিনি
সে কথা পাঁচকান হেঁটে এসে বসল বিছানায়
যে স্বপ্ন দেখিনি
সেই স্বপ্ন ঘুমের আকাশে আনল ধূমকেতু
এ সবের পরেও
আমি নিষ্ঠুরের মত পিঁপড়ের গর্তে জল ঢেলেছি
ওদের গোপন দংশনকে উপেক্ষা করে
যে আমি ওদের ডাকিনি
তাদেরই ভাসিয়ে ছেড়েছি

অজন্তা


বহু শতাব্দী পেরিয়ে
অজন্তার গুহার সামনে এসে দাঁড়ালাম
প্রাচীন শতাব্দী আমার কাঁধে হাত রাখল
গুহাগর্ভের মধ্যে অনাবশ্যক চীৎকার
কোলাহল, গুহার শান্তিকে তখন ক্ষত বিক্ষত করছে,  
আধুনিক বর্বর কৌতুহলে
শান্ত বুদ্ধ মূর্তির দিকে চোখ গেল
একটাই কথা প্রতিটা ধূলিকণায়
  - শান্ত হও, জড়তায় না, উপলব্ধিতে।


(ছবিঃ আদিত্য পাল) 

আবছায়ার কথা

ছায়ার ভিড়ে ভিড়ে সার দিয়ে 
          মিশে কিছু কথা
ওদের ছায়া পড়ে না
রাতের বেলায় পেঁচার ডাকে
যখন সাদাডানা পরীরা দুঃস্বপ্ন দেখে
হাড় হিম করা ঠাণ্ডা হাওয়া
          কবরের গায়ে আঁচড় কাটে
তখন ওই ছায়ারা মুখের ঘোমটা সরিয়ে

উৎসব

উৎসবের পিছনে এককীত্বের একটা খোঁচা থাকে। সব উৎসবের। আমরা যে প্রতিদিন বিচ্ছিন্ন থাকার অভ্যাসগুলো সযত্নে গড়ে তুলি- তার বিরুদ্ধে একটা তো কিছু করা চাই!

অভিমান


অনেক ধূলোবালি এক জায়গায় জড়ো করলে,
নিষ্ঠা নিয়ে।
ভাবলে তার মাথায় হবে 
একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ

হল না

ধূলোবালি মাখা সারা গায়ে
নিজের হাতের আঁকিবুঁকি কাটা আস্তরণ
ভেবেছিলে ওগুলো হবে আলপনা, 
                কল্কা কাটা নকসা

হল না

ভেজা ভেজা মন


ভেজা ভেজা মন
শোন বারণ
ভুলে থাক সব কঠিন পণ

ভেজা ভেজা মন
শোন শাসন
মুছে ফেল চোখ, কাট বাঁধন

Subscribe to