শোনার সময় হয় না
যে হাতটা কেটে গেলে- শুধু বঁটি, হাত মোছার ন্যাকড়া, খুন্তির ডান্টি, বড়জোর ডেটল জানে.... সেই হাত দুটো ছাড়া নাকি সংসার অচল!
ওরাই বলে। বড্ড বলে। এত বলে যে শোনার সময় হয় না।
আসবে
আমার পা ছুঁচ্ছে নুড়ি- পাথরের সোহাগ
বীরেনকাকু
ফাঁকি
প্রান্তিক
ধর্ষণ
খুব আলোচিত বিষয় - ধর্ষকদের ফাঁসি হওয়া উচিৎ কি না। আমি ভণিতা না করে সরাসরি আমার নিজের চিন্তা-ভাবনার নির্যাস বলি - উচিৎ।
মনুষ্যসমাজে তিন ধরণের মানুষ দেখা যায় প্রধানত রুচির দিক দিয়ে।
মাটি
হতে পারে তোমার ঘুম আসছে না
হতে পারে তুমি কাজের ফাঁকে ফাঁকে
হচ্ছ অন্যমনস্ক
কোথায় যেন ঘটেছে কিছু ভুল
কার কাছে যেন বাকি আছে ক্ষমা চাওয়া
একবার বাইরে এসো
খোলা আকাশের নীচে দাঁড়াও
একবার নত হও
স্পর্শ করো মাটি দু'হাত বিছিয়ে
ঢল
দেখতে দেখতে
সব বাড়িতে জ্বলে উঠল আলো
ঠোঁটের আবদার লাগল গালে যেই
বিষন্ন কুয়াশা কাটল
আড়ামোড়া ভাঙা শরীরে এল আদরের ঢল
সন্ধ্যে এখন
চায়ের কাপে চুমুক দেওয়া ঠোঁট
চোখ নির্জন অরণ্যে একা সর্দার
তুমি অরণ্যের গুপ্ত জিয়ন ডাল
আঙুলগুলো পরীদের যাদুকাঠি
কথা
না তো। আসেনি তো কেউ?
শাড়িটাকেই ঘিরে ভাঙা বারান্দার উত্তর দিক আটকানো
পৌষের শীত গো মা, মানবে কেন?
আরে আরে ডেকো নি গো!
ও রাত আটটাতেই ঘুমুতে যায়।
কি খায়?
থাকলে খায় ভাত
না হলে খায় মুড়ি
হে হে...মাঝে মাঝে বাতাসও খায়
কোথায় শোয়?
ওই মাদুর পেতে। নিকানো বারান্দা।
ঠাণ্ডা লাগে?
না তো, সারা শরীরে কড়া পড়ে
গোসাঁই
নতুন ইংরাজী বছরের প্রথম দিন। সকাল ১১টা হবে। কাজের গতি শিথিল। ছুটির আমেজ। গোসাঁই এল। সেই সাদা ধুতি, সাদা পাঞ্জাবী, হাতে একতারা, পায়ে ক্যাম্বিসের জুতো। বয়েস পঁচাত্তরের আশেপাশে হবে। শীর্ণ, কালো দেহ। চোখ দুটোর একটা আকর্ষণ আছে। কি একটা যেন ঘোর। সামনে দাঁড়ালে মনে হয় যেন গ্রীষ্মের দুপুরে বড় দীঘির পাড়ে এসে দাঁড়ালাম। মনটা শান্ত হয়ে যায়।