সোজা পথ
লোকটা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস দেওয়ালটায় ঘুঁষি মেরে চলেছে। সে জানে দরজা আছে, তবু দরজার ছিটকিনি খুলে বাইরে যাবে না। সোজা পথে, সহজে যেতে তার নাকি লজ্জা লাগে, অহংকারে লাগে।
অবশেষে লোকটা দেওয়াল ভেঙে, হাত গুঁড়ো করে বাইরে এলো।
এসে এবার সে পড়ল বিপদে। পথ কই? পথ তো ছিল দরজার সামনে।
পরা টিপ
তোমাকে বলিনি
বলব কেন?
তোমার কথা কেউ শুনেছে
আজ অবধি?
যত কান্না তোমার স্নানঘর জানে
তত কান্না তুমি ভেবেছিলে আছে তোমার বুকে?
বোঝার আগে
পথ হারালাম?
না তো!
বুঝলে কি করে?
বুঝতে চাওয়ার আগেই
ফেললাম ভালোবেসে
বুঝেছি তখন
এ পথ আমারই পথ
পেয়েছি অবশেষে
বেয়াড়া মন
তোমার দু'চোখের কোল ঘেঁষে
দুটো ছোট্ট নদী।
তাতে জোয়ার-ভাটা খেলে
পলকগুলো দু'ধারে সার সার
তরুর মত দাঁড়িয়ে,
মাঝে ভেসে আমার মন
ছোট্ট পানসিতে।
তোমার নাকের নীচে
ঠোঁটের উপর ঘেঁষে আল পথ
আমার মনের অবাধ বিচরণ সে পথে
কখনো কখনো উপরের ঠোঁটে
হুমড়ি খেয়ে গড়ায়
তাকে রাখতে গিয়েও
রাখি না জোর করে।
আশ্বাস
প্রতিটা গাছ
সারাটা রাত
স্থির আশ্বাস
দাঁড়িয়ে একা
হবেই ভোর
কাটবে ঘোর
তরুণ অরুণ
দেবে দেখা
হিকিকোমরি
'হিকিকোমরি' নামটা শোনা? কারোর কারোর শোনা শোনা লাগতে পারে। একটা বাংলা সংবাদপত্রে খবরটা বেরিয়েছিল।
ডাক
শুধু কি আমিই তাকে চাই?
সেও চায় আমায়
তাই আমি ডাকতে ভুলে গেলে
নিজেই ডাক পাঠায়
যেখানে
বাবা ছেলেকে বললেন
"ভগবানের কাছে সঁপে দে এবার নিজেকে, ঠিক হ"
ছেলে বাবাকে বলল,
"খোকাদার কাছ এসো, কেস সাল্টে যাবে"
(খোকাদা পাড়ার মস্তান)
সন্ধ্যেবেলা বাবা গেলেন মন্দিরেতে
মস্তানের খোঁজে
ছেলে রাতে গেল ঠেকে
ভগবানের খোঁজে
কেন?
তোমার সাজানো সংসারে
খুব সন্তর্পণে চলি
আমার হাতে পায়ে লেগে
এটা ওটা ছিটকে পড়ে
এধার ওধার
কিছু জিনিস
বে-আব্রু হয়ে পড়ে,
আমার গায়ের বাতাস লেগে।
আবছায়া
(কঠোরভাবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য)