জলের দাগ
জীবনটা খানিকটা জলের দাগ কেটে খেলার মত। তুমি মনের আনন্দে একটা জলের দাগ কাটলে, কল্কা আঁকলে। সেটা কিছুক্ষণ থেকে গেল। আরেকটা কিছু আঁকতে লাগলে, ইতিমধ্যে আগেরটা মিলাতে শুরু করল। তুমি বিদায় নিলে, জলের সব দাগও চিরকালের জন্য মিলিয়ে গেল।
আমার আকাশ
যদি মনন, চেতনার হাত ছেড়ে ছোটে?
যদি অনুকম্পার কণ্ঠ, প্রকাশ ভঙ্গীর অলঙ্করণে পড়ে চাপা?
যদি স্থির জলাশয়ের স্বচ্ছ তলদেশ দেখাটা হয় অতিসরলীকরণ,
দেখতে হয় তাকে - গুলিয়ে, নেড়ে, ঘেঁটে..তারপর আন্দাজে তলদেশে ছুঁয়ে?
যদি বলতে চাওয়ার তাগিদের চেয়ে, বলতে চাওয়ার ভঙ্গীতে করতে হয় মুগ্ধ?
ছাদ
বাড়ির উপর যে ছাদ, সেখানে আমার প্রতিদিনের ছুটি, প্রতিদিনের মুক্তি। সে শুধু তার উপর অসীম নীল আকাশ আছে বলে। যদি আকাশ না থাকত, সেটা তবে হত - দোতলা, তিনতলা, চারতলা...খুব জোর চিলেকোঠা..তাতে আরাম থাকত হয়তো, ছুটি থাকত না, মুক্তি থাকত না।
এই যা রক্ষে!
কত ভদ্রতা দাঁড়িয়ে আছে
দর্জির সাথে দর করে,
কত চরিত্র দাঁড়িয়ে আছে
(দরজা জানলার)
ছিটকিনিতে ভর করে
চোখে তো পড়ে কত কিছুই
ভাগ্যে অনেক কিছুই যায় এড়িয়ে
আমার অভিমানের বদলে
ব্যানার্জী বাড়ির বড়বউ
কিছু হারাওনি
হাতের মুঠোয় কটা কুঁড়ি ধরা ছিল
ভাসিয়ে ছিলাম জলে
ওরা স্বপ্নেতে আসে ফুল হয়ে ফুটে
"কিছু হারাওনি" যায় বলে
শুভদৃষ্টি
যতবারই চাঁদের সাথে চোখাচোখি হয়
কত জন্মের শুভদৃষ্টির কথা মনে পড়ে
সেদিন শ্রাবণের পূর্ণিমা
মেঘের ঘোমটা টেনে
চাঁদ আসল আমার নিকানো উঠানে
অনেক গভীর রাতে।
আদিম ভাষা
অন্য কোনো ভাষায় কথা বলবে?
যে ভাষাতে মিথ্যা বলা যায় না!
সাজানো শব্দরা কর্পূরের মত উড়ে যায়
সে ভাষার ভাষা আমি জানি,
তুমিও জানো
সে অনুচ্চারিত চিরটাকাল
তবু প্রকাশিত
তার উপরে আমার সৌখিন ভাষার প্রলেপ
মিথ্যার বুনুনিতে প্রাণের স্বাচ্ছন্দ্য মরে দম আটকে
আমি মূক হয়ে বলি কথকতার জাল
বধির হয়ে শুনি মিথ্যার বিষাদাবলী।
Spot 44
Faith
to realize
Seek
to know
(Bengali Version: বিন্দু ৪৪)
[Translated By: Subhajit Roy]