Skip to main content

যদি তুমি


যদি তুমি জানতে পারো, তুমি ভগবান
জেনো, তুমি একা হবে

যদি তুমি জানতে পারো, তুমি শয়তান
জেনো, তুমি বোকা হবে

যদি তুমি জানতে পারো, তুমি কিছু নও
জেনো, তুমি বেঁচে যাবে

এই ঢের


পথ ফিরিয়ে দিয়েছিল আমায়
তোমার চোখ পথে টানল ফের
যা না-দেখা ছিল, তারা স্বপ্ন হয়ে এল
পথ না পাই, গতি যে পেয়েছি,
                          এই ঢের

তুমি না চাইলে


সেদিন তুমি 
     দিতে চেয়েছিলে দু'হাত ভরে
নিই নি আমি, 
     ফিরিয়ে দিয়েছি অহংকারে

কালের ঘুর্ণী
     ঘোরালো ছোটালো কি মহাঘোরে
ফিরে এসে দেখি
     শূন্য অহং পূর্ণ হিসাব শূন্য করে

এমনই


দরজায় তোমায় চিনতে পারিনি
পেরেছি পাপোসে পা মুছে ভিতরে আসার পর
তুমি চলে গেলেও, তোমায় হারিয়েছি বুঝিনি
বুঝেছি, আরেকজন দরজায় আসার পর

আর যাই করো


আর যাই করো
কিছুটা জমি বাঁচিয়ে রাখো
ঘর তুলো না সবটাতে
        একটা ছোটো উঠোন রাখো
তাতে গাছ না হয় নাই লাগালে
     জানি ভীষণ তোমার ব্যস্ততা
ঘাসই না হয় থাকুক
    তারা শিশিরে ভিজুক ভোরবেলা

প্রেম-শরীর

সব শেষে দেখি, ঘরের কোণেতে দ্বীপ জ্বেলে যান কবীর
হিন্দু না ভাই, না মুসলিম, প্রেমে গড়া প্রেম-শরীর
না মন্দিরে, না মসজিদে, না জঙ্গলে, না গুহাকোণে
প্রতি শ্বাসে শ্বাসে, সেই আছে ভাই, প্রতি প্রাণে, প্রতি মনে
চিরশান্তির সুর আসে ভেসে কোন পুরাকাল থেকে
প্রতি আলোকেতে সেই আছে দেখি, সারাটা বিশ্ব ব্যেপে
প্রেমেতে সত্যে করূণায় গড়া ক্ষমার আলোতে স্নিগ্ধ

এত রক্ত কেন?

কদিন আগে ট্রেনে ভারতের পশ্চিম প্রান্ত থেকে পূবের দিকে ফিরছিলাম। ট্রেনটা বিকালবেলা আসল টাটাতে। সশস্ত্র পুলিশবাহিনী উঠল দলে দলে। পনেরো মিনিট অন্তর অন্তর টহল চলছে আমাদের চোখের সামনে দিয়ে। কেন? শুনলাম খড়গপুর অবধি বিপদসঙ্কুল পথ।

চেয়ো না


যে শিখার আলোতে তুমি বাঁচো
সে আলোকেই নাও শুধু কাছে

যে প্রদীপের সে শিখা
সে প্রদীপকে চেয়ো না, থাক
                     যাবে পুড়ে 
সে আগুনকে বুকে নেবে - 
এমন শ্মশান কি তোমাতে আছে?

রাত


সব রাত সমান নয়
কিছু রাত ঘুমকে ঘুম পাড়িয়ে
বুকের উপর স্লেট পেনসিল নিয়ে বসে
কিছু না মেলা হিসাব মেলাবার জেদ ধরে,
মেলে কি?
সারারাত হিজিবিজি কেটে
ভোরের বেলা ক্লান্ত দেহে যায় ফিরে
রেখে যায় কিছু বিষন্ন চকের দাগ
       না ঘুমানো আরক্ত চোখের কোণে

দিদি

Subscribe to