সমর্পণ
বিন্দু বিন্দু মনের গুঁড়ো ছড়াচ্ছে সারাটা দিন জুড়ে। জড়ো করতে গেলে খেলনার মত রূপ। যার মানে নেই। একটা গাছের শুকনো ডাল, দূর থেকে ভেসে আসা মানে না বোঝা কথা, বাতাসের হাল্কা গা ছুঁয়ে যাওয়া - এ সবারই কোনো ব্যাখা নেই।
প্রেম ঘুঁটে গরু
(সে দুইত দুধ তার পোষা গরুর। বিক্রী করে চলত জীবন যাপন। হঠাৎ যৌবন খেল গোত্তা এক খরিদ্দারের বাড়ির জানলায়। দুধের হিসাব হল জলের চেয়েও তরল। খাটাল হল বৃন্দাবন। তারপর? সেই কথাই তো লিখছি)
তোমার বাড়ির দেওয়ালে ভালোবাসার ঘুঁটে দেব
সারা দেওয়াল জুড়ে। এক রত্তি ফাঁক রাখব না, দেখে নিও।
এত ঘুঁটে নিয়ে কি করবে?
আমি শুধু
আমি শুধু
তোমার সাথে কয়েক পা হাঁটতে পারি
কাঁদতে পারি ভাঙা বুকে তোমার সাথে শত সমুদ্র
তোমার সুখের দিনে তোমার বাগানে
গ্রীষ্মের দুপুরে
গোলাপের চারা লাগাতে পারি
তুমি না চাইলেও।
তবু সে ঘুরছে
মা ভাল নেই। মা অসুস্থ।
তাই অসুস্থ তার সন্তান। সন্তানেরা।
লক্ষ কোটি কোটি অগুনতি সন্তানেরা।
তবু সে ঘুরছে। প্রদক্ষিণ করে চলেছে সূর্যকে।
অসুস্থ শরীরেও। সে ভালো নেই।
অপুষ্ট সন্তানদের বুকে করে সে ঘুরছে
আমাদের তার না হলেও চলত
তাকে না হলে চলবে না আমাদের
যদি শান্তি চাও
যদি শান্তি চাও, দোষ দেখো না – বহুশ্রুত মা সারদার উক্তি বা উপদেশ। কিন্তু... - একটা 'কিন্তু' তবু খচখচ করে। সেটা কি করে সম্ভব? তবে কি উনি মৃত্যুশয্যায় একটা গোলমেলে কথা বলে গেলেন? তা কি করে হয়?
এ কথাটা বহুবার ভেবেছি। ভুল না ধরলে শুধরাব কি করে? যার যেটা ভুল সেটা তাকে বলব না? সে তো আরো বিপথে যাবে? এরকম নানান তর্ক যুক্তি মাথার মধ্যে ঘোরে।
যতটা জল ভরা
জল তরঙ্গের আওয়াজ শুনেছ?
যতটা জল ভরা
তার ওপর হয় সুরের হেরফের
তোমার বুকে কতটা জল ভরা?
প্রতিশ্রুতি
ওঠো
জানলাটা খোলো। দরজাটা খোলো।
ওরা অনেকবার তোমার দরজায় টোকা দিয়ে গেছে।
কারা?
এক নদী জল
আর এক আকাশ তারা
মলাটটা ছেঁড়ো। ভূমিকাটা মোছো।
ওরা অনেকবার এ পাশ ও পাশ করে ঘুমিয়ে পড়েছে।
কারা?
এক পাহাড় স্বপ্ন
আর একমুঠো স্বচ্ছ কবিতারা
আড়ি
মৃত্যুকে কতবার বলেছি আড়ি
যা যা যা
নেব না তোকে খেলায়,
যাব না তোর বাড়ি
আড়ি আড়ি আড়ি
ব্রত
আমি ধ্রুবসত্য কি জানিনি
খুঁজিনিও কোনোদিন
আমার বুকের ভিতর থেকে
মিথ্যাকে স্বীকার করিনি কোনোদিন
যত রমনীয়, যত মনোহর
যত আরামের, যত কমনীয়
সে হোক
অসহ রাত, অসহ বিচ্ছেদ
অসহ বিভীষিকা, অসহ পথ
হয়েছে সহনীয় অবশেষে