Skip to main content

দীর্ঘশ্বাস

“কিছু কিছু ছেঁড়া টুকরো কথা
এখানে ওখানে একলা একলা

তার কিছু কিছু তুমি ভুলছ
কিছু ভুলছি আমি

তবু যখন উদাস বাতাস
ওদের বুকে ধরায় কাঁপন

কিছু দীর্ঘশ্বাস তুমি চেপে রাখো
কিছু চেপে রাখি আমি”
 

(ছবিঃ মৈনাক বিশ্বাস)

তোমার কাছে শান্তি চাব না

অশান্তিতে থাকার একটা অন্যতম মূল কারণ – শান্তিতে থাকতে চাওয়া। চাইবেন না। ওটাও একটা বিলাসিতা। আপনার চারদিক আপনাকে অস্থির করে তুলতে চাইছে, উদ্বিগ্ন করে তুলতে চাইছে,

দু'দিক

অহংকারের একদিকটা গরম, আরেকদিকটা ছুঁচালো। তুমি একদিকে, আমি একদিকে। তুমি বিঁধছ, আমি পুড়ছি।
অথচ দুজনেই জানি, চাইলেই একে সরিয়ে দেওয়া যায়। দিই না। নিজেদের মুখোমুখি হতে ভয়। সাধারণত্বের বিনয়, মিথ্যা অসাধারণত্বের মুখোশ। সেই মুখোশেই ভরসা।
জানি না তো, আসলে সত্যিই অসাধারণ কে? তুমি না তো?

 

জীবনপথ

সংসার সীমান্তের প্রান্তে
কে তুমি?

কোথা চলেছ
অজানা অচেনাকে সম্বল করে
এ ঘন রহস্য ঘেরা পথে?

ওগো অভিমানী
তবেও যাও

যদি ফিরে আসো
এ পথেই এসো

এ কুয়াশায় থাক ঢাকা
তব নির্বেদ যন্ত্রণার গাথা

আমি কুড়ায়ে নেব

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

রাত্রি এসে যেথায় মেশে

রাত ফুরালো
তারারা ফিরে গেল নিঃশব্দে
 রাস্তার আলোগুলো
    রাতের মহাকাব্যের উপসংহার

আলোগুলো নিভে যাবে
    বুকে করে নিয়ে যাবে
নিশীথের সবটুকু রহস্য মিলিয়ে
         ঈষৎ স্পর্শ রেখে ছায়া উপচ্ছায়ায়

তার কিছু কথা শিশির জানবে
   আর জানবে কোনো নিঃসঙ্গ হৃদয়

চিঠি

চিঠি যখন আসে
  সেকি পথের খবর আনে?

না তো না
  না তো না

সে শুধু
   তার সৃজকের কথাই আনে
      একের কথা
  ভেসে ভেসে
     দেশে দেশে
    আরেককে বলতে আসে

সে কি শুধুই কথা আনে?

না তো না
     না তো না

কয়েক ছত্র তোমার জন্যে


---
তোমায় বুঝি বলে ভালোবাসিনি

ভালোবাসি বলে বুঝেছি

কেন ভালোবাসি?

তা বুঝিনি


---
তুমি মুখ ফিরিও না, মরে যাব

কষ্টে না, শোকে না, বিষাদে না

বেঁচে আছি - সেটা ভুলে গিয়ে


-----
তোমাকে দেওয়ার মত উপহার আমার একটাই আছে

আমার আয়ুষ্কাল

মৃত্যুর পরে যদি থাকি

তবে অনন্তকাল

ভ্রমের ভ্রম

---

বটুকবাবুর সাধ হল মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল খাবেন। যেই না সাধ হওয়া অমনি তিনি সব্জী বাজারে হাজির। লাউ, কুমড়ো, উচ্ছে, পটল কিনে, বাড়িতে পৌঁছিয়েই গিন্নীকে হাঁক ছেড়ে বললেন, খুব ভাল করে ঘ্যাঁট রাঁধো দিকিনি।

ভ্যালেন্টাইন্স ডে

আজ প্রেমোৎসব উদযাপনের দিন। যে প্রেক্ষাপটেই হোক না কেন। এর বিরোধিতা করার কোনো কারণ আমার মনে আসে না। কেউ কেউ বলেন প্রেমের আবার উদযাপন দিবস হয় নাকি? সে তো সারা বছরের রোজদিনই। খুব ঠিক কথা। তা একদিন একটু বেশি করে উদযাপিত হলে ক্ষতি কি? রোজ খাই বলে কি আর নেমন্তন্ন বাড়ি যাই নে? নাকি রোজ বাড়ির ঠাকুরকে নকুলদানা দীপ ধূপ দিই বলে বড় দূর্গোৎসবে, কি অন্য ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিই নে?

মিথ্যুক তুমি ঘুমাও

যখন আমি ওর সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলাম,
ভাবলাম ওর ভাষা তো বুঝি না, তবে?
আমার অনুবাদক চলল সাথে

ও হাসল
আমার অনুবাদক লাগল না

ওর চোখের কোণা ভিজল
আমার অনুবাদক লাগল না

ও ছুঁলো
আমার অনুবাদক লাগল না

আমি সেদিন থেকে
নদী পাহাড় সমুদ্রে অনুবাদক নিই না

পায়ে ঘাসের ছোঁয়া, ফুলের গন্ধ, পাখির ডাক, বিকালের রঙ, ভোরের হাওয়া

সব বুঝি

Subscribe to