Skip to main content

যেই চিনেছ

কাজের সূত্র কাজকে চেনায়
   কাজ চেনায় মনকে
মন চিনলে জগৎ সোজা
   বেড়া যাবি টপকে

মনের মালিক তুই তো বটেই
   তোর মালিক সে সেয়ানা
বাইরে আছিস মোহে মেতে
   খুঁজে সুখের বাহানা

সব ভুলে সব আটকে আছে
   জালের মধ্যে ঝপাং ঝপ
মন চিনে নে, মন চিনে নে
   সত্য শান্তি মিলবে সব

ঘরকুনো

ফুলগাছগুলোতে সবে কুঁড়ি এসেছে, আর তুমি কিনা বেড়াতে যাওয়ার টিকিট কেটে আনলে!
আচ্ছা বলো তো, কি করে আমি এই উঠোন ছেড়ে, সমুদ্রের ধারে যাই!
বললেই বলবে, ঘরকুনো! আরে ওরাও তো কত সাধ করে আমার উঠানে বেড়াতেই এসেছে বলো! ছেড়ে যাই কি করে!

ইঙ্গিত

বাঁধ ভাঙার শব্দ
বিসর্জনের শব্দ
ঝরণার শব্দ
তোমার পায়ের শব্দের মত
ঝরা পাতার সজ্জা
সন্ধ্যের উদাস হাওয়া
তারা খসার মুহুর্ত
তোমার আসার ইঙ্গিতের মত

পদচিহ্ন

চৌকাঠ পেরোলাম
বারান্দা পেরোলাম
উঠান পেরোলাম

  রাস্তায় আসলাম
শুধু তোমার জন্য

শুনলাম তুমি ফিরে গেছো
অনেকক্ষণ ওই পাকুড় গাছটার তলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে

তুমি শুনতে পাও নি?
আমি চৌকাঠ পেরোচ্ছিলাম
বারান্দা পেরোচ্ছিলাম
উঠান পেরোচ্ছিলাম

বোঝোনি, সে শুধু তোমারই জন্য?

সন্ধ্যামালতী

মেয়েটার সেদিন সন্ধ্যামালতী ফুল দেখতে ইচ্ছা করছিল। ফুলটা না দেখতে পেলে সে যেন মরেই যাবে আজ। সত্যিই মরে যাবে।

মনসুর

সোজা রাস্তাটা বন্ধ ছিল
বুকের ঘরে আগল ছিল
কান্নাগুলো হিসাবী ছিল
দিনরাত খুব উদাস ছিল

বিধির কি যে খেয়াল হল
রাস্তা ঘুরে কি পাড়া গেল
চিন্তা হৃদ্-আঙনে হোঁচট খেল
কুলকুল কি শব্দ পেল

আসছে শোনে কিসের বান
প্রাণের মূলে মরণটান
মনসুরের সে পাগল গান
সুরে তালে মাতাল প্রাণ

মনসুরের আঙিনায়

ঈশ্বর বলো, আল্লাহ্‌ বলো - তাঁর বাগানে ঘুরে এলাম।

জোছনা

এক মুঠো জোছনা চুরি করে
সিঁড়ি দিয়ে পা টিপে টিপে
       তোমার ঘরের দরজায় এসে দাঁড়ালাম

তুমি বললে -
  মোছা মেঝে, একটু দাঁড়াও
           জলটা শুকিয়ে যাক আগে

ডাক

হাত ছেড়ে গেলে
  হাতের কথাও বুঝি ভুলে যায় মানুষ?
ঝরাপাতার গান বোঝে কালবৈশাখি
  গাছের হৃৎপিণ্ডে লাগায় পক্ষীরাজের ছুট
       উদাস নৃত্যের তালে বসন্ত ফেরে
     ঝরা ফুলের পাপড়ি মাড়িয়ে,
  পথের বাঁকে বাঁকে রেখে যায়
        টুকরো কথার কোমল ছায়া

Subscribe to