চুরি
তুমি যাওয়ার পর
তন্নতন্ন খুঁজলাম সারা ঘর
কি খুঁজলাম?
কি আবার,
রাতের ঘুম আমার!
নিয়ে গেছো তাতে ক্ষতি নেই
বলে যাবে তো একবার!
নীল
কাজের দিদি সাতসক্কালে এসে উপস্থিত। বললাম, এত সকাল সকাল? সে বলল, আজ নীলের উপোস যে। তাড়াতাড়ি কাজ সেরে গঙ্গায় যাব স্নানে।
খানিক পর রান্নার দিদি। সেও তাড়াতাড়ি। কারণ এক, নীলের উপোস। মায়ের, সন্তানের মঙ্গলের জন্য প্রার্থনা।
সীমা মানে
সীমা মানে লক্ষণরেখা না তো!
সীমা মানে নিজের বুক ভরে
নিজের মত বাতাস নিতে পারা
সীমা মানে পাথর তোলা পাঁচিল না তো!
সীমা মানে দু'চোখ ভরে
আমার মত আকাশ দেখতে পারা
সীমা মানে শিকল না তো!
সীমা মানে জীবনকে আমার
সুখে দুঃখে কোলে তুলে নিয়ে হাঁটা
ছল
তুমি দূরে থাকলে
নিজের চোখকে এড়িয়ে যাই
ওর সব প্রশ্নের উত্তর আমি কি ছাই জানি!
তাই বুকের উপর ঢাকনা টেনে পাড়া বেড়াতে যাই
কিছু কথা মনে করেই ভুলতে হয়,
তা নিয়ম করে মানি!
হাজার দূরত্ব সরিয়েও
কেউ কেউ অখণ্ড অবসর নিয়ে ফেরে
হাজার কাজের দমবন্ধ করা ভীড়েও
কেউ কেউ দৃষ্টির আলিঙ্গনে আশ্রয় নিয়ে ফেরে
হাজার বেড়া, হাজার দূরত্ব সরিয়েও
একলা না
মশারির চারদিকটা ভাল করে গোঁজা হল কিনা দেখতে দেখতে ওনার বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়। মাথার কাছে টর্চ, জলের বোতল নিয়ে যখন বিছানায় ঢোকেন, মনে হয় এ যেন তার রাতের সংসার। একা মানুষটা কাটাল দোকা ভাবে সাঁইত্রিশ বছর। তারপর হঠাৎ এখন একা। নিঃসন্তান বলে না, দুর সন্তান বলে। বাইরের দূরত্ব না, ভিতরে।
অপরাজিতার খোঁজে
আসল যেন উজান ঠেলে
তার পায়ে লাগল বালি
সারা গায়ে মাখল ধুলো
এসে বসল হাটের এক পাশে
সবার মধ্যেই, সবার অলক্ষ্যে
আত্মপ্রকাশ
আত্মপ্রকাশ কিসে ঘটবে? বেলুচিস্তান না কাশ্মীরে?
পদাদা রোজ ব্রাশ করতে করতে এটা ভাবে। হনলুলু না গোবরডাঙা? কিম্বা বনগাঁ না ক্রৌঞ্চদ্বীপ?
পদাদা এমনিতে হাসিখুশী মানুষ। রাগিয়ে দিলে তুবড়ি। হাসিয়ে দিলে চরকী। ভাবিয়ে দিলে রকেট। বয়েস পঞ্চান্ন। দুই ছেলের বাপ। এক স্ত্রী'র স্বামী।
সোজা কথা
আঁকাবাঁকা কিছু কথায় তুমি সোজা কথাটা ছুঁতে চাও। সোজা কথাটা সিঁড়ির নীচে, ছাদে, হাবুলের চায়ের দোকানের কোণে থাকে লুকিয়ে। তুমি ঘুমিয়ে পড়লে, তোমার বুকের ওপর একলা একলা বেয়ে ওঠে, কেন্নোর মত। কখনো বা সার দেওয়া পিঁপড়ের সারির মত। তুমি ঘুমের মধ্যে টের পাও - সোজা কথাটা তোমার বুকে। সকাল হয়। তুমি হারিয়ে ফেলো।
রাস্তা পেরোলে
রাস্তা পেরোলে
খুব কি হল পার্থক্য?
আগে যেদিকে ছিলে?