আসল যেন উজান ঠেলে
তার পায়ে লাগল বালি
সারা গায়ে মাখল ধুলো
এসে বসল হাটের এক পাশে
সবার মধ্যেই, সবার অলক্ষ্যে
যে যায় সেই আড়চোখে দেখে
পুরুষ দেখে ঈর্ষায়
নারী দেখে মুগ্ধতায়
বৃদ্ধ দেখে সর্বাঙ্গে আশিষ বুলিয়ে
বৃদ্ধা দেখে ঝাপসা চোখে
কেউ কোনো প্রশ্ন করলেই, সে হাসে
কেবল মৃদু হাসে
কি নাম? কোথায় বাস? কিসের জন্য আসা?
কিছুর উত্তর নেই
শুধুই হাসি। মৃদু হাসি।
নরম সবুজ ঘাসের মত হাসি।
হাটের ধুলো তার সর্বাঙ্গে
তবু যেন সে মলিন না।
বিন্দু বিন্দু ঘাম তার ঠোঁটের উপরে
নাকের ডগায়, কপালে।
যেন শিশির বিন্দু
এত রূপও দেয় ঈশ্বর!
যে মেয়েটা হাটের প্রান্তে মালা বিক্রি করছিল
সে ভাবল।
ছেলেটার কাছে গিয়ে দাঁড়াল
কে ঝাঁপ দিল জলে?
মেয়েটার বুকে লাগল জলের ঝাপটা
নাভির কোল ঘেঁষে ফুটল ঘাসফুলের দল
মেয়েটার প্রশ্নের জবাবে সে হাসল না
বলল,
সে যায় না কোথাও। সে আসে।
মেয়েটা বলল, কার খোঁজে?
সে বলল, যে খোঁজে
মেয়েটা বলল, হেঁয়ালি রাখো
সে বলল, তবে ওই আকাশটার ঢাকা খোলো
মেয়েটা বলল, হয় না তা।
চলে গেল।
সে উজান বওয়া শরীর নিয়ে হারিয়ে গেল
হাট বসল আবার। কতশত লোক এল।
সবাই ভুলে গেল।
মেয়েটা ভুলল না।
সে আসল। দেখল একটা অপরাজিতা পড়ে ঘাসে
যেখানে সে বসেছিল।
জলে কিসের ঢেউ দিল?
তার বুকে ধরল কাঁপন
আকাশের দিকে তাকাল
নীল, এ কি হেঁয়ালি তবে
ভাবতে ভাবতে একঝাঁক বক উড়ে গেল
নীলে সাদার বিন্দু যেন
মেয়েটা অপরাজিতা নিয়ে ফিরে এল
এই নীলেই সে খুঁজবে পথ
সে খুঁজলেই সে আসবে
সে খুঁজলেই আসে, চাইলে নয়