আবারও একজন হিন্দু পুরোহিতকে হত্যা করা হল। বৌদ্ধ একজনকেও। নৃশংস হত্যা। মৃত্যু, হত্যা - এর কোনো জাত, সম্প্রদায় হয় না। রক্ত গড়ালে সেটা মানুষেরই রক্ত গড়ায়। মৃত্যুর তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে যে মারা যায় সে আদতে রক্তমাংসে গড়া একটা মানুষই তো। স্নায়ুগুলো সুতীক্ষ্ণ অত্যাচারের নির্মম যন্ত্রণা নিয়ে যায়। এ সবই অবশ্য আমাদের কল্পনা। টিভিতে, পেপারে দেখা ছবিতে যা অনুভূত হয়, তার সাথে নিজেদের অ্যাক্সিডেন্ট,

 জলের নীচে বুদবুদ
একটা দুটো তিনটে

তাতে প্রতিচ্ছবি
এর ওর তার

উপরে উঠে ফেটে যাবে
হাওয়ার সাথে মিলিয়ে যাবে

কিছু গাছ, কিছু ফুল, কিছু কথা
মাটির উপরে রোদ বসে পোয়াবে

তুমি ওদের গল্প শুনে বুঝবে
ওরা ওই বুদবুদের গল্প বলছে

তুমি চিনতে পারবে
বলতে পারবে না

ওরা বুদবুদ না এখন
ওরা মিলিয়ে যাওয়া হাওয়া

 একা ঘরে একাকিত্বের এক্কা দোক্কা
     পর্দা উড়ছে
   আলোতে ছায়াতে সোহাগ চলছে খাটে
 পরিপাটি করা বিছানার চাদর
    হাত বুলিয়েছে কে কবে?
 দেওয়ালের আছে কান
       চোখ তো নেই,
     তার স্পর্শটুকু ইঁটেতে রেখেছে ঢেকে

নীলে ডোবানো সাদা মেঘগুলো আকাশে টাঙানো
আকাশের বুকে ভয়, বাতাসের সাথে উড়ে যায় পাছে নিরুদ্দেশে, মন হারানো

(ছবিঃ সুমন)

তাঁর মুখোমুখি সিটটা সব সময়েই ফাঁকা
যখনই চাও বসতে পারো,
    হলেই না হয় কিছুটা সময় তাঁর সঙ্গে একা
  আর কিছু না
         তেমন কিছু না
                হত নিজের সঙ্গে দেখা

আদিগন্ত আকাশ বুকে টোকা দিল,
বলল, বাইরে এসো।
বাইরে এসেই মিলিয়ে যেতে লাগলাম,
লীন হতে হতে বুঝলাম-
প্রসন্নতার রঙ নীল

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)

খুব জ্বর তোমার
  পুড়ে যাচ্ছে শরীর ভিতর তল
থার্মোমিটারে পারা উঠছে না দেখো
  পায়ে পায়ে ঘনিয়েছে রসাতল

তবু কি হাঁটবে?
   তবু থামবে না জানি
তারা খসাতেই সার্থকতার খোঁজ
        পথ টানছে নাবাল ভূমি

গভীর রাতে স্মার্টফোনে অবৈধ ডাক
ঘুমের অভিনয়ে রপ্ত করা চিচিংফাঁক
শরীরের পাশে শুয়ে অদেখা শরীর
ঘামের গন্ধ নেই তবু বেইমানি শিরশির

যেখানে শব্দেরা ঘুমিয়ে পড়ে
    অনাঘ্রাত গন্ধ ছড়ায় বাতাসে
ঘুমন্ত প্রজাপতির ডানার
    আলপনা আঁকে আকাশে

(ছবিঃ সমীরণ নন্দী)