Skip to main content

হিন্দুরা মানুষ-পুজো করতে ভালোবাসে

অবনী কান্ত মাজি । বলুন তো কে? পারলেন না তো? বলছি, একজন আশি ঊর্ধ্ব ধনবান হৃদয়বান মানুষ। কি করেছেন জানেন? বিশাল কাজ, এক্কেবারে যাকে বলে সমাজসেবার চূড়ান্ত। তার জন্য ওনাকে সম্বর্ধনাও জানানো হয়েছে অবশ্য। কারা জানিয়েছেন বলুন দিকিনি? রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের সন্ন্যাসীরা।
...

কারোর সাথে কথা বলা মানে যেন হাঁটতে যাওয়া তার সাথে

কারোর সাথে কথা বলা মানে যেন হাঁটতে যাওয়া তার সাথে। কোনো একটা বিষয়ে কথা শুরু হওয়া মানে যেন কোনো একটা রাস্তা ধরে হাঁটা শুরু হওয়া। খানিকটা এগিয়ে এলো মোড়। অনেকগুলো বিষয়ে যাওয়ার অবকাশ। কে সিদ্ধান্ত নেবে, কোন দিকে যাওয়া হবে? কোনো কথা যাবে সমুদ্রের ধারে, কোনো কথা যাবে জঙ্গলে, কোনো কথা যাবে বাজারে, কিম্বা হেঁশেলে, কখনও বা নিষিদ্ধপল্লীতে। কেউ একজন সিদ্ধান্ত নিল, কথা চলল সেই পথে, মানে আবার হাঁটা তার সাথে। চলতে ভালো লাগল তো এগোনো গেল, নইলে খানিক এগিয়ে আবার গলি খোঁজার চেষ্টা, পথ বদলাতে হবে যে।
...

ঝাঁটা

রোজ সকালে আধঘন্টা ধরে ঝুঁকে পুরো উঠোনটা ঝাঁট দিতে হয় রুকমির মাকে। আজ পঁচিশ বছর ধরে দিয়ে আসছে। তার আগে তার শাশুড়ি দিত - অশোকের মা। 
        রুকমির মায়ের অসহ্য লাগে। শরীরখারাপের সময়টা আর শীতের সময়টা। ভেবেছিলো অশোকের মা ঘাটে উঠলে এই ঝাঁটা দেওয়ার চলটা উঠিয়ে দেবে। মাসে একবার কি দুবার দেবে। শরীরখারাপের পর আর কম শীতের সময় বাদ দিয়ে।
...

কবরস্থান

        লোকটা উঁচু পাঁচিলটা টপকিয়েই বুঝল কবরস্থানে ঢুকে পড়েছে। উপায় ছিল না, বড় দরজাটায় তালা। না টপকিয়ে ঢুকত কি করে? 
        শীতের রাত। কুয়াশা কুয়াশা চারদিক। কেউ একটা বসে না? কাছে গিয়ে দেখে একটা লোক, তার দিকে পিছন ফিরে। তার পাশে একটা ক্রাচ রাখা।
...

বিষয়ীর দেবস্বপ্ন

লুচ্চকবাবু কালরাতে স্বপ্ন দেখে কেঁদেছেন। কেউ জিজ্ঞাসা করলেই ঠাকুরঘরের দিকে আঙুল তুলে দেখাচ্ছেন। কথা বন্ধ হয়ে গেছে। চিকিৎসক এসে বলেছেন ঘুমের ঘোরে তীব্র মানসিক আঘাত পেয়ে শিরা-ধমনী-স্নায়ু গিট্টু পাকিয়ে গেছে।
        লুচ্চকবাবু আর কয়েক ঘন্টা টিকলেন। যতক্ষণ টিকলেন ঠাকুরঘরের দিকে আঙুল তুলে, 'উঁ উঁ' করে কিছু বলতে চাইলেন। ওনার স্ত্রী, দশ ছেলে, দশ ছেলের বউ, চল্লিশটা নাতি-নাতনি, পাঁচশো দাসদাসী ভাবলে, কত্তাবাবার ঈশ্বরদর্শন হয়েছে।
...

ভালোলাগা

সূর্যের আলো কাঞ্চনজঙ্ঘায় লেগে বিচ্ছুরিত হোক
   কি ঘাসের আগায় জমা শিশিরবিন্দু থেকে
   তুলনার প্রাচীর টেনে
        ভালোলাগাকে খণ্ডিত করি না
           অপমান করি না সূর্যকেও

শিক্ষার অন্ধকার

আজ রামকৃষ্ণ জিতে গেলেন। বলেছিলেন না, “চালকলা বাঁধা বিদ্যা আমার চাই না”। কি স্পর্ধা না এক মূর্খ বামুনের? এতবড় এডুকেশান সিস্টেম, এত কোটি কোটি টাকা খরচ করে শিক্ষিত মানুষ তৈরির উপায়। এত গবেষণা, এত গবেষক, এত শিক্ষক, এত অধ্যাপক, এত স্কলার... সব শেখালো, শুধু অসুস্থ মাকে কি করে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, সেবা করতে হয়... না ‘সেবা’ কথাটা আবার সেকেলে, কি করে take care করতে হয় আর শেখাল না। 
...

সন্ন্যাসী

সন্ন্যাসী ঘাটে এসে দেখলো, ঘাটে একটাই নৌকো বাঁধা। কারা দুজন যেন মুখোমুখি বসে। কুয়াশায় অস্পষ্ট চারদিক। গভীর সংশয়ের মত শীত। সে নৌকার আরো কাছে এলো। নৌকায় ঈশ্বর আর এক যুবতী মুখোমুখি বসে।
...

মরিব, মরিব সখী

মরিব, মরিব সখী, শৌচেই মরিব
   এমন হাড়-হিম করা বারি হে প্রিয়
      কেমনে শ্রী-অঙ্গে দিব..
কেমনে দিব...আহা, এমন হাড়-হিম করা
   কলমুখাধারা কেমনে অঙ্গে ঢালিব..
Subscribe to