Skip to main content

বাঙালির মা

        বাঙালির মা কে? কালী-দূর্গা-সরস্বতী-লক্ষ্মী। তারপর মাঝে হয়েছিল – দেশ – বন্দে মাতরম। এখন? জানে না যেন, নেকু! 

তুমি?

একপেশে মন খারাপ
বড্ড জেদি
বন্ধ দরজা
পাতা পড়ার শব্দেও কানখাড়া

তুমি?

গুনগুন

অনেকেরই রাস্তা পারাপার হতে জেব্রাক্রসিং লাগে
নিদেন পক্ষে কয়েক জোড়া ট্রাফিকপুলিশ
তারপর এর ওর তার হাত ধরে ধরে পার হয়ে যায়
     সিগন্যাল পরখ করতে করতে শ্বাস চেপে

The Autumn of Patriarch

        ঠিক কি ভাবে লিখি বলুন তো? গতকাল থেকে ভেবে চলেছি...কি ভাবে লিখি...কি ভাবে লিখি...মাঝে মাঝে মনে হয়েছে, না লিখলে হয় না? কে মাথার দিব্যি দিয়েছে যে আমায় লিখতেই হবে? আর না লিখলেই বা কি মহাভারত অশুদ্ধ হবে? তবু খচখচ করেই যাচ্ছে মনটা, এত ভালো একটা বই, বলব না সে বইয়ের কথা? অগত্যা লিখতে বসা। 

গুজব

কড়ে আঙ্গুলের থেকেও ছোট নদী। বেশ আসছিল একটা পল্লীগীতি গাইতে গাইতে। বাধা দিল একটা পাঁচিল। না বাঁদিকে যেতে দিল, না ডানদিকে। নদীটা গর্ত খুঁড়ে নীচে যেতে গেল, ভিতটা নামছে তো নামছেই। পাঁচিলটা বাদিকের ঠোঁটের কোণে উপেক্ষার হাসি হাসল। নদীটা বলল, যাব যে! পাঁচিল বলল, না। ক্রমে কড়ে আঙ্গুলের মত নদীটা বুড়ো আঙ্গুলের মত হল। ততদিনে বছরখানেক তো হয়েছেই। নদী বলল, এবার যেতে দাও। পাঁচিল বলল, না।
...

চেনো ওদের?

        জানো কিনা জানি না। আমি অনেক বাড়ি দেখেছি, যারা কেউ হাসে না। তারা যে দুঃখী তা নয়। তারা হাসার কোনো কারণ খুঁজে পায় না। চোখের উপর তাদের কোনো পর্দা নেই আর। ধুলো-বালি-খড়কুটো সব গিয়ে চোখে পড়ছে, কিন্তু তবু তাদের চোখ জ্বালা করছে না, আমি এমন দেখেছি। তাদের চোখের সামনে টিভিতে কতলোক হাসছে-কাঁদছে-গল্প করছে-নাচছে-গাইছে। তারা স্থির হয়ে টিভির সামনে বসে। কত দুর্ঘটনা

আমাকে ঘিরে রেখেছে এক অদৃশ্য আমি


আমাকে ঘিরে রেখেছে এক অদৃশ্য আমি
আমার নিঃসঙ্গতাকে চুমু দিতে চাইছে 
উড়ন্ত একটা সাদা বক
যার গায়ের রঙ আগে ছিল নীল

একটি সংবাদ পাইলাম

একটি সংবাদ পাইলাম। বিদ্যাসাগর মহাশয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত 'মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউট' নামক বিদ্যালয় থুড়ি স্কুলটি হইতে বাঙালা ভাষা নির্বাসিত হইতেছে। কারণ বাঙালা ভাষায় শিক্ষাগ্রহণে ইচ্ছুক বাঙালী অভিভাবক তথা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দুই আঙুলের কয়েকটি কড়ের অধিক আর যাইতেছে না। অগত্যা ইংরাজি ও হিন্দীভাষাকেই শিক্ষার মাধ্যম করা হইবে এমন সম্ভাবনা দেখা যাইতেছে। 
...

২৫শে বৈশাখ

        আমি আজকের দিনে বুঝেছিলাম আমার ঘরের ভিতর যে আলো আসে, সে আলো এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আলোরই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র একটা আলো, সে বিশ্বজনীন। আমি আজকের দিনে বুঝেছিলাম, আমার বাগানে যে ফুলটা প্রতিদিন সকালে ফোটে সে বিশ্বজনীন, আন্তর্জাতিক নয়। আমি আজকের দিনে বুঝেছিলাম, আমার উঠোনে যে বাউল আসে, তার গলায় যে গান বাজে, তার একতারায় যে সুর ওঠে, তার আবেদন বিশ্বজনীন, আন্তর্জ

Subscribe to