মণিমার (Pratima Basu) সাথে আমার পরিচয় Sanhita র মাধ্যমে
মণিমার (Pratima Basu) সাথে আমার পরিচয় Sanhita র মাধ্যমে। সংহিতার মাইমা। সংহিতার সাথে পরিচয় ফেসবুকের মাধ্যমে। সংহিতার এক কথায় পরিচয় ভীষণ ভালো, স্নিগ্ধ একজন মানুষ। একটা দাবীহীন বন্ধুত্বের স্পর্শ সব সময় ওর কাছ থেকে পাই। বোলপুরে থাকে, খুব ভালো রবীন্দ্রনাথের গান গায়, ওর গলায় আমার খুবই ভালো লাগে। সহজ সরল গায়কী।
মার্কেজ - উত্তরণ
বিমর্ষতা একটা কারাগার। বিষন্নতা একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এর বাইরে একটা বোধ আছে। শারীরিক কিম্বা অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যেই মানুষ বিষন্ন বা বিমর্ষ হয় - তাও কি একটা সার্বজনীন মতবাদ বা সিদ্ধান্ত বলা চলে, তা তো নয়। সংগ্রাম আর বিষন্নতা একই সাথে চলে। কারোর ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী তাদের প্রাবল্য বদলে বদলে যায়। যে মানুষটা প্রতিদিন মৃত্যুর কথা ভাবে, সব কিছুকে নঞর্থক দৃষ্টিতে দেখে, মোটকথা অত্যন্ত বিষন্ন – সে-
তোমার ঠিকানা আছে
তোমার ঠিকানা আছে, বিশ্বাস করি না
অকারণ যন্ত্রণারা ভাষার সান্ত্বনা পায় না
অন্যমনস্কতাই জীবন
শুধু তোমার চোখেই জীবন সরাসরি তাকায় না
অবিরাম
অনিকেতবাবু ঝাঁট দিতে দিতে শ্যামাসঙ্গীত গাইছেন। ব্যাঙ্কে ক্লার্ক ছিলেন। বয়েস আটাত্তর। শক্ত-সমর্থ চেহারা। পাড়ার কচি-কাঁচাদের সাথে বেশ বন্ধুত্ব, বলেন, আমি খাঁটি খেয়েছি তাই এ্যাদ্দিন এইভাবে চালিয়ে যাচ্ছি, তোরা পারবি নাকি?
ইছামতী
ইছামতী, তোমায় আমি আজ দেখলাম চোখের বাইরে
ঠাকুমার চোখে দেখেছি তো সেই জ্ঞান না হতেই
ঘর ভাঙানো কান্না গানে
দুটো মৃত্যু - মার্কেজ
দুটো মৃত্যু। একজন সম্রাট, আরেকজন (The General in His Labyrinth) এক অখ্যাত যুবক (Chronicle of a Death Foretold)। প্রথমটা স্বাভাবিক মৃত্যু, দ্বিতীয়টা হত্যা। একটা উপন্যাস, আরেকটা প্রায় উপন্যাস বা বড় গল্প। প্রথমটার রচনাকাল ১৯৮৯, আর দ্বিতীয়টার রচনাকাল ১৯৮১। একটার পটভূমিকা রাজনীতি, আরেকটার পটভূমিকা সমাজ। খানিক গল্পটা বলে নিই আগে।
চুমু
বুড়োটা রিকশা চালিয়ে যখন রাস্তা দিয়ে যেত, মনে হত, পরের বারের প্যাডেলটা ঘুরাবার জন্য সে বুঝি আর জীবিত থাকবে না। লোকে একান্ত কাউকে না পেলে তবেই ওর রিকশায় উঠত। করুণায় নয়, সময়ের দাম আছে না? অত আস্তে চালালে হয়?
দুঃখ নিজেকে দু-টুকরো করে
দুঃখ নিজেকে দু-টুকরো করে
এক টুকরো আমার হাতে দিয়ে বলল -
চেখে দেখো!
আমি চাখতে চাখতে
বাকি টুকরোটার দিকে তাকিয়ে
ভুরু কুঁচকে, তিতো আসক্তিতে
আমার পৃথিবী
তোমার কপালে যে টিপ
আমার পৃথিবী
কথাটা সত্যি নয়
আবার মিথ্যাও যে নয়
দীর্ঘশ্বাস
লোকটা একটা বড় দীর্ঘশ্বাস ফেলবে বলে একটা বড় শ্বাস নিল। বুকটা এত্তবড় হয়ে গেল যে পাঁজরে আওয়াজ হল কট-কট-কট্টাস করে। ফুসফুসটা এত্তবড় হাঁ করল যে তার আলজিভ পর্যন্ত গীর্জার ঘন্টার মত দুলে উঠল। ট্রাকিয়া, ব্রঙ্কাস, ব্রঙ্কিওল, অ্যালভিওলাই জুড়ে হুড়োহুড়ি পড়ে গেল। এত্ত জোরে বাতাস ঢুকছিল যে কয়েক যুগ অত বাতাস নেয়নি লোকটা। প্রতিটা কোষ নিজেদের মধ্যে বলাবলি করছিল -