Skip to main content

        তারা ঠারেঠোরে আমায় মেসেঞ্জারে দীর্ঘদিন ধরে বলেছে, আমি স্পষ্টাস্পষ্টি বলে রাখলুম। আমায় যারা ব্যক্তিগতভাবে চেনেন তারা জানেন শৌখিন, পেলব ভদ্রতা ছেড়ে দিয়েছি অনেকদিন, যে দেশে একটা শিশুকন্যাও সুরক্ষিত নয়, সে দেশে হেঁচে-কেশে 'সরি' বলার মত সৌজন্যবোধ আমার আসে না।
        সরাসরি প্রসঙ্গে আসি। যা বলতে চাইছে তারা তাই বলি -
        "তুই / তুমি / আপনি বিয়ে করেননি তো, তাই মেয়েদের স্বাধীনতা, অধিকারবোধ নিয়ে এত মাথাব্যথা আপনার। অনভিজ্ঞতার বিজ্ঞ কথা। মেয়েদের সংসারে আসল জায়গা কোথায়, কিভাবে তাদের শুক্রাশয়জাত ভালোবাসা দিয়ে, খাইয়ে পরিয়ে একটা ধার্মিক, মার্জিত, শান্ত, সামাজিক পোষ্যজীব করে রাখতে হয় তা জানবি / জানবে / জানবেন কি করে? খালি বড় বড় বাতেলা। আমাদের পূর্বজ ঋষি-মুনি-সমাজবিদেরা কি এতই মূর্খ ছিলেন? সব সমাজেই মেয়েদের একটা সীমারেখা, শালীনতা, সংযমের পাঠ দিয়ে রাখা হয়েছে। তার কি কিছু কারণ নেই? এখন কিছু কিছু অত্যাধুনিক দেশে তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না তা নয়, তবে তার ফল কি আদৌ ভালো কিছু হচ্ছে? বাড়ির বউ কি শেষে বেশ্যা হবে? আগে বিয়ে করে নিজে মেয়েমানুষ ডিল করার অভ্যাস কর / করো / করুন, তখন বুঝ – বি / বে / বেন কত ধানে কত চাল"।
        কি বুঝলেন? আমি অবশ্যই এদের বন্ধুতাচ্যুত করেছি ফেসবুক থেকে। আপনাদের মধ্যে এখনও যদি কেউ এমন থাকেন অনুগ্রহ করে নিজেদের আমার থেকে দূরেই রাখবেন। একটা 'মেয়েমানুষ না পুষে' যদি মেয়েদের অধিকার নিয়ে কথা বলা যাবে না মনে করেন, তবে আমার মুখে খুব খারাপ শব্দও দ্বিধা করবে না উচ্চারিত হতে। দূরে থাকুন। আমি জানি আপনারা সরকারি মতে অনেকই উচ্চ শিক্ষিত, অনেকে শিক্ষকতার মত মহানব্রতেও এই জ্ঞানালঙ্কার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবু বলব, দূরে থাকুন।