সৌরভ ভট্টাচার্য
6 June 2018
ব্যস্ত সন্ধ্যে। গুমোট শহর। পাদানিতে দাঁড়ানো অধৈর্য অস্থির উদ্বিগ্ন মানুষের সারি। যেন সব কিছু হারিয়ে যাবে এখনই ঝাঁপ না দিলে। ঝাঁপ দিলেও পাওয়া যাবে সে নিশ্চিন্ততাও নেই। বিভ্রান্তিতে লক্ষ্যহীন দৌড়াদৌড়ি।
ছেলেটার গায়ে নীল টিশার্ট তার সাথে চলতি কালারের বাজার উপচানো সস্তা জিন্স। সদ্য যৌবনে পা। খেটে খাওয়া শরীরের সন্ধ্যের অবসরের সস্তা শৌখিন বিলাস।
সিগারেটের দোকানের সামনে বেঞ্চে বসে। পা দোলাচ্ছে। ঠোঁটে দুলছে জ্বলন্ত সিগারেট, একটার পর একটা। ফোন কানের কাছে উঠছে বারবার, "একবার এসো, প্লিজ..."। জীবনবাজি ডাক।
মুখটা কালো চাটুতে ঘি মাখানো মসৃণ, ঘামে- কালো রঙে। চোখ দুটো ক্রমে ধৈর্য হারাচ্ছে। উদভ্রান্ত গ্রহণে ঢাকছে পেশীর সহজ বিন্যাস। ফোনের ওপাশে সাড়া মিলছে না আর। সজল চোখে ব্যস্ত শহরের প্রতিচ্ছবি। মুছে মুছে যাচ্ছে বারবার কালো শ্রীহীন হাতের আঘাত লেগে।
সে এলো না
ছেলেটা চলে গেল
বেঞ্চের নীচে জড়ো এখনও উষ্ণ সিগারেট পোড়া ছাই। একটা দমকা হাওয়ায় উড়িয়ে এলোমেলো করে দিয়ে গেল। পরের পাগুলো গেল মাড়িয়ে। মিলিয়ে গেল নিমেষে।
ছেলেটা ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেছে।
ব্যস্ত শহর। গুমোট শহর। উপেক্ষায় হারানো অপেক্ষার গল্পগুলো বুনতে বুনতে এক আকাশ ধোঁয়া ধোঁয়া তারাদের সাথে সূর্য প্রদক্ষিণ করছে। কাল আরেকটা সকালের প্রতিশ্রুতি।