Skip to main content

নিভৃত



====
নিভৃত জীবন
         গোপনীয় নয়
                একান্ত ব্যক্তিগত


====
তোমার নিজস্ব হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানা আছে

          আমারও আছে

তোমার প্রতিবাদ


তোমার প্রতিবাদ
   ঝোড়ো হাওয়ায় দাবানল লাগিয়ে

আমার প্রতিবাদ
  ঝোড়ো হাওয়ায় ঘরের কোণের 
                    প্রদীপ আগলিয়ে

এখন আমার অষ্টপ্রহর যন্ত্রণা


এখন আমার অষ্টপ্রহর যন্ত্রণা
ডুব সাঁতারে শামুকে কাটা পা

চাতক তৃষ্ণা
     এক পশলা তুমি
ঘুণ লেগেছে সুখের সারা গা

আজ মে'ডে

দুপুরে এখানে পাতপেড়ে খাওয়া হয়। শ্রমিকেরা খায়। শ্রমিক মানে কালো গা, ধুলো জামা, ফসিল চোখ, হাড়ের আত্মশ্লাঘাহীন পরিচয়। যারা বাতাসের মতো পাশাপাশি বাঁচে, অদৃশ্য অস্ত্বিত্বে। কুকুরটা জানে না আজ মে'ডে। কুকুরটার সকাল থেকে খাওয়া জোটেনি আজ। কুকুরটা রবিবারের হিসেব রাখে। কিন্তু আজ কিসের ছুটি?
...

তবু তুমিই


আলোকে গভীরে যেতে বলো
   আরো গভীরে
যেখানে মনের বিস্তীর্ণ আঁকিবুঁকি
বকের পায়ের মত ছাপ ফেলে
   যেখানে হেঁটে গেছে তোমার ব্যক্তিগত ইতিহাস
      শামুকের মত মহাকাল হেঁটেছে তার পিছুপিছু

অদৃশ্য বাড়ি

আমি একটা অদৃশ্য ঘর বানিয়েছি। তার চারদিকে ঘন জঙ্গল। কেউ পথ চিনে আসতে পারে না আমি চিনিয়ে না আনলে। সেই জঙ্গলের বাইরে, বড় রাস্তার ধারে কয়েকটা মিছিমিছি ঘরও বানিয়েছি। যেই কেউ প্রশ্ন করে কোথায় থাকো? আমি ওই মিছিমিছি ঘরগুলোকে দেখিয়ে বলি, এই তো, সোমবার এটায়, মঙ্গলবার ওটায়...

কথারা উড়ে গেল

কথারা উড়ে গেল
   বকের মত নির্মোহ ডানা মেলে মহাশূন্যে
       নীরবতায় শূন্য নীড়
...

উদ্বাস্তু

পাখি কখনও উদ্বাস্তু হয় না
উদ্বাস্তু হয় মানুষ

কেঁচো কখনও মথ হয়ে ওড়ে না
ভিটে হারিয়ে মথ হয়ে যায় মানুষ
...

নতুন ফিতে

রামশংকরের সকালবেলায় উঠেই আজ প্রথম নিজেকে ভালো লাগল। এর আগেও অনেকে তাকে বলেছে। অনুভব করতে পারেননি। আজ একটা শালিখ পাখির মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে মনে হল তিনি আসলে একজন ভালোমানুষ। তারপর রামশংকরবাবু অনেকক্ষণ বিছানা থেকে নামলেন না। খাটের বাঁদিকে নীচে দুপাটি চটি রাখা।
...
Subscribe to