Skip to main content


প্রচণ্ড দাবদাহ
তাপ প্রবাহ চলছে আবহাওয়া দপ্তরের পরিভাষা অনুযায়ী
দুপুর দুটো। জনশূন্য রাস্তা। 
ঘরের কাছে কান পাতলে টিভির আর পাখার আওয়াজ

দূর্গা মণ্ডপ। কয়েকটা কুকুরের দিকে পা করে শুয়ে ভিক্ষুণী। 
 কপালের ওপর রাখা, সামনের কলে ভেজানো 
     রঙচটা গোলাপী হওয়া, সুতো ওঠা ওঠা গামছাটা
  ছেঁড়া ফাটা সাদা শাড়ির উপর আচমকা হাওয়ার উড়ে আসা
         মণ্ডপের দীর্ঘদিনের ঝাঁট না পড়া ধুলো 
মুখটা হাঁ করে ঘুমাচ্ছে – ভিক্ষুণী 
   যে এই তাপপ্রবাহে মারা গেলে 
কয়েক মুহূর্তের খবরে আসবে কিনাও সন্দেহ
     হয়ত বা এ বছরের তাপে মৃতের সংখ্যায় স্থান পাবে

মাথার কাছে পোঁটলা। 
  পাশে পাঁচশো মিলি লিটারের কোনো ঠাণ্ডা পানীয়ের সবুজ বোতল
     কেউ দিয়েছে হয় তো – 
করুণায় কিম্বা চাকরি বা কোনো সাংসারিক উন্নতির জন্য ঈশ্বরের সাথে ভক্তিচুক্তিতে
  অথবা কুড়িয়ে পেয়েছে, 
    অপুষ্ট ফুসফুসে বিনামূল্যে আসা মুক্ত বাতাসের যাতায়াতের বায়না মেটাতে

দূর্গা মণ্ডপের আশেপাশে অনেক বড় বড় ঘাস
  ঝোপেঝাড়ে বিষাক্ত সাপও থাকতে পারে
আবার পরিষ্কার করা হবে আশ্বিনের আগেই
  চাঁদা তোলা হয় প্রতিমাসে পাড়ার কমিটি থেকে 
   তখন এই আগাছা, ঝোপঝাড়, বিষাক্ত সাপেরা থাকে না
      ভিক্ষুণীও নয়

Category