Skip to main content

চেতনা

ক্ষণভঙ্গুর চেতনা অন্ধকারের তীরে
               একা
                          শ্রী-হত

Savita law

তুমি সুস্নাত অভী দীপ্ত তেজে বাইরে এসো
হও প্রাচীন বল্কলভার মুক্ত
       অনাবৃত অসংস্কৃত
নিশাত দৃষ্টিতে ছিন্ন হোক মাটি
   আকাশে অভিদ্যোতনা ঘোষণা করুক 

তুমি যদি ছুঁয়ে থাকো

তুমি যদি ছুঁয়ে থাকো
    হাতের সবকটা রেখা 
     তোমার গন্তব্যের সাথে জুড়ে দিতে পারি

নজরুল - প্রাসঙ্গিকতা - কিছুকথা

আমার ছোটোবেলায় যখন ক্যাসেটের দোকানে যেতাম তখন ক্যাসেটের সারিতে কয়েকটা নজরুলগীতির ক্যাসেট থাকত – পূরবী দত্ত, ফিরোজা বেগম, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, ইন্দ্রাণী সেন, ড: অঞ্জলি মুখোপাধ্যায় ইত্যাদি। কিন্তু আজ যখন সিডির দোকানে যাই সেই অর্থে নজরুলগীতির সিডি প্রায় চোখেই পড়ে না।

শালুক

ঈশ্বর বড় একা। সারাটা আকাশ গেরুয়া রঙ করে বসেছিলেন সূর্যাস্তের পর গঙ্গায় পা ডুবিয়ে। বাতাস পঞ্চপ্রদীপের শিখার মত ঈশ্বরকে ঘুরে ঘুরে আরতি করছিল। ঈশ্বর গম্ভীর। গঙ্গার জলের কুলকুল শব্দে ঘন্টার আওয়াজ। ঈশ্বর অন্যমনস্ক। 

প্রার্থনা


টব আছে
মাটি আছে
চারাগাছও আছে

মনে সাধ
  চারাগাছটা হোক মহীরুহ
মনে শঙ্কা
  সে মহীরুহ চিড় ধরাবে টবের
  আমার বাগান ছেড়ে হবে বনের

চারাগাছ, তুমি আমারই থেকো
মহীরুহ, আমিই তোমারই হলাম

রাত


রাত দশটা আঙুল দিয়ে বুকে আঁচড় কাটে
চিড়বিড় করে ওঠে পাঁজরগুলো

একটা আধমরা মথের মত কিছু
প্রবল আক্রোশে ডান ঝাপটায় 
   ফড়ফড় ফড়ফড় করে

গলায় জল ঢালি
  ভাবি যদি বুক অবধি নামে,
জল নামতে নামতে শুকিয়ে যায়

বিষে অমৃতের বিন্দু

        সংসারে আশ্রিত মানুষের হাতে সংসারের ভার দিলে যে কি অনর্থ হয় তা বুঝতে বিপুলের কয়েক বছর লেগে গেল। বিপুল যেদিন প্রথম চাকরিতে জয়েন করতে গেল সেদিন সারারাত ট্রেনে যেতে যেতে একটাই কথা তার মাথায় ঘুরতে লাগল, তার মায়ের মৃত্যু আর তার দূর সম্পর্কের পিসিমার কথা। সারাটা ট্রে

আকাঙ্ক্ষা

আমার আনত আকাঙ্ক্ষা
তোমার স্পর্শ-মাধুরীর মাধুকরী চেয়ে ফেরে

সে ভূমি লুণ্ঠিত স্নেহ
শুকতারার বন্দনাগানে শিশিরমথিত যে রে

(Samiranদার অনুপম দৃষ্টিকোণ, প্রণাম জানবেন দাদা।)

Subscribe to