Skip to main content

যাবো?

        বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল কি? না বোধহয়। তবু কালো হয়ে গেল ভরদুপুরে চারদিক। ঝমঝম করে বৃষ্টি নামল। তুমি কি ঘুমালে? ঘুমের মধ্যে বৃষ্টির আওয়াজ যাচ্ছে কানে তোমার? এরকম একটা দুপুর ঘুমিয়ে কাটাবে? অবশ্য একদিক থেকে ভালো। মেঘ দিনের আলো কেড়ে নিলে, স্মৃতির আলো ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর স্মৃতি মানেই তো অকাজের কথা, বলো?

ব্যামো...

তোমার চোখ সাঁতরে পাড় খুঁজছি
পা কামড়ালো তোমার হৃদি কুমীরে
তবুও পার পেতাম হয়ত তো
চুমুর ঘুর্ণী ডোবালো ঘোর তিমিরে
...

তক্ক বনাম তর্ক

কথায় বলে – বাদ-বিতণ্ডা। কথা দুটো একসাথেই উচ্চারিত হলেও তাদের অর্থের ফারাক বিস্তর। বাদ – তত্ত্ব নিরূপণের জন্য তর্ক। বিতণ্ডা – স্বমত প্রতিষ্ঠিত হোক চাই নাই হোক, পরমত খণ্ডনের জন্যেই তক্ক। তবে এইভাবে বলি, এক হল গিয়ে তর্ক আর এক হল গিয়ে তক্ক।
...

ফিরে এসো

এটা বর্ষার মেঘ নয়
                  জানি

তবু ছায়া তো আছে বলো
        শীতল ছায়া
...

অসংজ্ঞ


চেয়েছিলাম বনানী বীথিকা
হল কই?
একটা গাছের সব কটা পাতা গোনার ধৈর্য নেই
তুমি আমায় জীবনের মানে জিজ্ঞাসা করো? 
শরীর মনের স্রোতে জাল ফেলেছি মাঝে মাঝে
পাঁক উঠেছে, শূন্য খোল ঝিনুক উঠেছে
  কখনও কয়েকটা সাধারণ মুক্তোও উঠেছে হয় তো
আবার ভাসিয়ে দিয়েছি স্রোতে,

ফুল চুরি

        মাটির তলায় ঘর বেঁধে কিছু মানুষের সারা জীবন কেটে যায়। বাইরের আলো-বাতাস কিছুই সে ঘরে ঢোকে না। ওনার নাম কি? ধরে নিই লতা। দেখতে ভাল নয়। তাই কুলতা?

বলি কি করে?


এখনও সাদা জল ছাড়া তৃষ্ণা মেটে না
সাদা ভাত ছাড়া খিদে মেটে না
ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন না জাগলে ঘুম হয় না
নিজেকে সম্পূর্ণ যান্ত্রিক বলি কি করে?

এখনও খোলা মাঠের হাওয়ায় 
    শুকনো ঘাস বুনোফুলের গন্ধে চোখ মুদি
নিজেকে সম্পূর্ণ শহুরেই বা বলি কি করে?

ভালোবাসা যদি নখের মত বেড়ে যায়, মাঝেমধ্যে কেটে ফেলাই ভালো


ভালোবাসা যদি নখের মত বেড়ে যায়, মাঝেমধ্যে কেটে ফেলাই ভালো। নইলে ওতে অন্যকে তো বটেই, নিজেও ক্ষত-বিক্ষত হতে হয়। নখে রঙ করলে কি আর ধার কমে? তার চাইতে নখ-কর্তকের সাহায্যেই চলাফেরা, ভালোবাসা সামলে-সুমলে রাখা ভালো। মেসেঞ্জারের প্রেম আর সংসারের বাজেট সামলানো প্রেমের মেলা পার্থক্য, নয় কি?

দমকা হাওয়া

সেই দমকা হাওয়াটা কই? সেই দমকা হাওয়াকে চাই। তার নিজের কিছু নেই - না ভার, না দায়, না শোক, না ক্ষোভ। সে আসবে, বিনা আমন্ত্রণেই আসবে। সিংহদুয়ার খোলা না পেলে ঢুকবে খিড়কীর দরজা দিয়ে। ঘরের গুমোট হাওয়াকে বলবে, চল। দরজা জানলাগুলো কাঁপতে কাঁপতে খুলে যাবে, খুলতে না চাইলে ভেঙে যাবে। আমি হঠাৎ দেখব ভাঙা জানলার বাইরে সমুদ্র। যার গর্জন আমি আগে শুনেছি - ঘুমে। ভাঙা পাল্লাটা থরথর করে কাঁপছে ভয়ে, আত্মগ্লানিতে। আমার চোখ-মুখ নোনতা হাওয়ায় চটচটে হয়ে উঠছে। আমি দরজাটায় হাত দিতেই দরজাটা বালির মত ঝুরঝুর করে পড়ে গেল, যেন কত বাধ্য সে আজ আমার। 
...

বাস্তবিক


বাস্তবিক দেরি হয়ে যায়নি
বাস্তবিক অম্লান বদনে কুয়াশায় হাঁটি
বাস্তবিক শ্যাওলা জমা নোঙর অভ্যাস এখন
বাস্তবিক ঈর্ষা আচ্ছন্ন কাঁটাঝোপ চারদিকে
বাস্তবিক সুখে আছি 
    কবিতারা পরিযায়ী পাখি 
বাস্তবিক অবিনশ্বর আত্মা আমাদের
Subscribe to