Skip to main content

সুখী হতে তো চাইনি

সুখী হতে তো চাইনি

শিউলির গায়ে 
   যেখানে সাদার বুকে কমলা মিশেছে
                অসংকোচে

সেখানে একটু দাঁড়াতে চেয়েছি

ভিক্ষাপাত্র


        বোষ্টুমি (এ বানান অভিধানে নেই, জিভেতে আছে) এসে দাঁড়ালো দরজায়, নামগান শুনতে পাচ্ছি। বোষ্টুমির গায়ে গেরুয়া শাড়ি। কপালে চন্দন। কালো মুখের মধ্যে খোদা দুটো পোড় খাওয়া চোখ। 

ভালোবাসা না


ভালোবাসা না
বেঁচে থাকার মাসকাবারি নিতে এসেছি
তাকিও না
আমি তাকিয়ে নিয়েছি
  ভালোবাসা না
    সামান্য প্রাণের
         বেঁচে থাকার বায়না মেটাতে এসেছি

আগুন


সময় ফুটল মনের মধ্যে
ঘুম ছাড়া চোখ ভোমরা
ঝড় ঠেকাচ্ছি ভাঙা শিকলেতে
নিলামেতে হৃদি পসরা

পরিযায়ী পাখি, মধুর ঠোকর
প্রাণে বিষাক্ত রঙ ফাগুন
যার ভুলের ঘরে বসতি পাতা
তারই চুম্বনে চিতা, আগুন
 

বড় রাস্তাটা


বড় রাস্তাটা আরো চওড়া হওয়ার কথা ছিল
 তাই অনেক উচ্ছেদ হল, সংস্কার হল 
    তারপর বড় রাস্তাটা 
        কি করে, কি করে জানি

প্রতিটা মানুষের পরিস্থিতি আলাদা

        প্রতিটা মানুষের পরিস্থিতি আলাদা, আর সেই পরিস্থিতির সাথে বোঝাপড়া করার রীতিটাও আলাদা। এমনকি দেখেছি একই পরিস্থিতিকে রাম শ্যাম যদু মধু এক এক রকমভাবে সামাল দেয়। 

কলিংবেল সারাতে আসার কথা ছিল


কলিংবেল সারাতে আসার কথা ছিল। এলো না। ফোন করলাম, "আপনি এলেন না যে"?

ওপাশ থেকে উত্তর, "গিয়েছিলাম তো দাদা, কতবার বেলটা বাজালাম, কেউ তো সাড়াই দিল না"!

তবুও আমি নাইব


সাবান আছে?
নেই
শ্যাম্পু?
তাও নেই
টাওয়েল?
নেই
গামছা?
সেও নেই
টব আছে?
না, নেই
বালতি, কিম্বা গামলা?
নেই নেই, সেও নেই
আশেপাশে পুকুর?
নেই
দীঘি
নেই
নদী
নেই

তুমি না


তুমি না
   তোমায় বিশ্বাসঘাতক করেছি আমি
     মেঘলা আকাশে ছাতা খুলতে বলে 
     ঝরণার জলে ঢেউ গুনতে বলে

বলেছিল, যাবে না


বলেছিল, যাবে না
  তবু গিয়েছিল

মন বলেছিল, 
  ফিরবে না

ফিরেওছিল

মন বলেছিল, 
  থাকবে না

থেকেওছিল

মন বলেছিল -
  ঠকব না

তবু ঠকেওছিল

মন বলেছিল
  ভালোবাসবে না

Subscribe to