Skip to main content

ইঁট-পাটকেল

লোকটা চোখ বুজে হাঁটত। বাইরের পৃথিবীটার ওপর তার ভীষণ ঈর্ষা। বেশি হাঁটতও না। দক্ষিণে, পুবে ও পশ্চিমে দশ পা, দশ পা করে হাঁটত। উত্তরে একটা কিছুতে সে বাধা পেত, কিসে পেত সে বুঝত না...

সরিয়ে নাও

হাত সরিয়ে নাও
  বুকের উপর চাপ লাগছে
মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছি না
     একটু সরে দাঁড়াও

আবার তো নামতে হবে

কেউ যেন খানিক পরেই উঠবে কন একটা ছাদে, বাড়ির সবার খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর নিজে খেয়ে, ভিজে কাপড় মেলতে, কিম্বা শুকনো কাপড় তোলার আছিলায় কিছুক্ষণের জন্য একা হতে, নিজেকে খুঁজে পেতে...

নীল দেওয়াল

তখন অনেক রাত। কোণের প্রদীপটাও অন্ধকারের বুকে একা রেখে যাবে মনে হচ্ছে। বিশ্বাসঘাতকতা করবে - ওর আলো দেওয়ার কথা ছিল। অন্ধকারের জাল কেটে একটু বসার জায়গা বানিয়ে দেওয়ার কথা ছিল।

প্রাণ

হৃদয়ও আসলে মস্তিষ্ক - এ কথা জেনেও
    হৃদয়কে হৃদয়েও অনুভব করি

একে রহস্য বলো, রহস্য
   মায়া বলতে চাও, বলো..

  তবু বুকের মধ্যে নড়াচড়াকেই বলব প্রাণ

      জীবন্ত জীবাশ্ম হব কেন?

কিছু শব্দরা

আমার আশেপাশে কিছু শব্দরা বরাবর ছিল
       এখনও আছে

ওদের যে বুঝি তা নয়
       আবার বুঝি নাও সেরকম নয়
....

মানুষকেই

মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানোর যন্ত্রণা
        মানুষকেই বলেছি

মানুষের ওপর রাগের কথা 
        মানুষকেই বলেছি

   অথচ চোখে সকালের আলো নেই কেন?

তোমার সারা হাতে কাদা কেন?
 পায়ে এত ধুলো?
  হাঁটতে বেরিয়েছিলে? এত সকালে?
   ধুলো কাদা মেখে এলে-
   অথচ চোখে সকালের আলো নেই কেন?
Subscribe to