জানি পলাশ এসেছে
জানি পলাশ এসেছে
জানি বসন্তের বাতাস বইছে অহরহ
কিন্তু বলো তো প্রেমিক
এ বসন্তে কিসের দাহ বেশি?
হৃদয়ের, না পকেটের?
কে বেশি যাতনাময়
বসন্তের কোকিল?
নাকি সিলিণ্ডার আর পেট্রোল?
"রোদনভরা এ বসন্ত, সখী কখনও আসেনি বুঝি আগে"....
কিছু যেন তার
দূর থেকে
দূর থেকে মনে হয়
ভীষণ কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আমরা
কাছে এসে দেখো
এক একজনের মধ্যে
যোজন যোজন ফাঁক
সেখানে বিস্তর অন্ধকার
আশ্রয় দিয়েছে কিছু জোনাকিদের
দূর থেকে মনে হয় যেন তারা
শুধু তোমার কথা মনে পড়ে
আমার পুরী যেতে ভালো লাগে না
সারাদিন সমুদ্রের একটানা গর্জনে
আমার তোমার কথা মনে পড়ে
আমার লাভা, লোলেগাঁও, দার্জিলিং, কালিম্পং যেতে ভালো লাগে না
কুয়াশায় ঢাকা স্থির নিশ্চল পাহাড় দেখতে দেখতে
আমার তোমার কথা মনে পড়ে
অনবগুন্ঠিতা
বল জয় হরি
আমার ঈশ্বর
দুই খানেতেই
- ঈশ্বরের নিবাস কোথায়, বিশ্বাসে না সংশয়ে?
- দুই খানেতেই
- শুভবুদ্ধি জাগে কই, ভালোবাসায় না ভয়ে?
- দুই খানেতেই
- ভালোবাসার বাস চেতনায় না অন্ধকারে?
- দুই খানেতেই
- আচ্ছা মুশকিল। একটা কিছু ঠিক করে তো বলো। সত্যটা তবে কই?
- দুই খানেতেই
আমার সুন্দরবন ভ্রমণ
তো ট্রেনে তো বেজায় ভিড়। ওদিকে অমিতাভ স্যার গুরুগম্ভীর গলায় বারবার বলে চলেছেন দূরত্ব বজায় রাখার জন্য। কিন্তু দূরত্ব বজায় রাখা কি অমনি বললেই রাখা যায় স্যার? চলেছি সুন্দরবন।
কেন যাচ্ছি? কারণ একটাই, এক বছর হল বেড়ানো হল না। মনে মরচে পড়েছে। বাচ্চাগুলো অস্থির হয়ে যাচ্ছে। বলি করোনা কি তাদের পৃথিবীটা সত্যিই চার দেওয়ালে বন্দী করে দেবে?
এটাই রীতি
পাখিরালয়ের ভেতরের দিকে এক গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা হচ্ছে। মাটির বাড়ি। সামনে কয়েকটা ছাগল চরে বেড়াচ্ছে। মানুষটার বয়েস আন্দাজ ষাটের উপর। একটা চেক চেক লুঙ্গি পরা, ফুলহাতা সোয়েটারের উপর একটা চাদর জড়ানো গায়ে। মাথায় উলের টুপি। হাতে বোনা মনে হল। সবগুলোর অবস্থাই জীর্ণ।