এই তো প্রথম নয়
এই তো প্রথম নয়
সব জানলা দরজা বন্ধ করে কেউ বলল
এই আলো। এই সুখ। এই নির্ভুল ব্যবস্থাপনা।
এই তো প্রথম নয়
প্রাণের বিনিময়ের শর্ত হল স্বাধীনতা
কিম্বা পরাধীনতার বিনিময়ে জীবন
এই তো প্রথম নয়
জরায়ুর থেকে বিচ্ছিন্ন হল
হৃদয়, শুভবোধ, আত্মসম্মান
দ্য লাস্ট গার্ল
চলো প্যাঁদাই, কিছু করে দেখাই
ধইঞ্চা গাছের ঝাড়ের নীচে চুল্লু খেয়ে টাল হয়ে পড়ে আছে শিবে।
নক্ষত্র টলতে টলতে তার পাশে গিয়ে বসে জিজ্ঞাসা করল, বাড়ি যাবি না?
শিবে বলল, নাহ্, মনটা বিষিয়ে গেছে....
নক্ষত্র বলল, ক্যানো রে?
ক্ষোভ
"দিদি তোমায় দিয়ে দিই?"
আমার ছোটোভাইয়ের বউ, অঞ্জলি। আমি 'না-ই' বলতাম। কিন্তু অভ্যাসবশত সুগারের ওষুধটা খেয়ে ফেলেছি। এখন কিছু না খেলে শরীরটা খারাপ লাগবে। তাই…
ভেবে দেখ মন কেউ কারো নয়
গল্পটা পুরুষতন্ত্র, ধর্ম, রাজনীতি, কুসংস্কার, আবেগ, দুর্নীতি ইত্যাদি যাই বলো না কেন, ব্যাপারটা অত জটিল কিছু নয়। মোদ্দা কথাটা হল, কে ডমিনেট করবে আর কে ডমিনেটেড হবে। যে ডমিনেট করবে, সে দুষ্টু, খারাপ, লোভী, অবিবেচক ইত্যাদি তকমা পাবে। আর যে ডমিনেটেড হবে সে বেচারা, নিরীহ, নিষ্পাপ, নিষ্কলুষ ইত্যাদি তকমা পাবে। যে ডমিনেট করে, মানুষ তাকে মনে মনে ফুলচন্দন দিয়ে, যে ডমিনেটেড হচ্ছ
দখল
১
====
দখল চাইছি
তোমার
চলে যাও
মুক্ত করো নিজেকে
বাঁচাও আমায়
২
====
সমস্ত দখল করে বসে আছি
এত ভালোবাসা আমার
৩
====
একদিন সব দখল ছেড়ে দেব
একদিন আর দখলকে বলব না ভালোবাসা
ডিসটোপিয়ান স্বগতোক্তি
শুধু তুমি বা আমি না, সবাই ভাবে এইটাই শেষ সুড়ঙ্গ। এরপর ফাঁকা মাঠ। খোলা হাওয়া, উজ্জ্বল আলো ঝলমলে রোদ।
ওই যে যাকে এইমাত্র নিয়ে এলো, গায়ে হরিনামের চাদর জড়ানো, পোড়াবে বলে, ওকে জিজ্ঞাসা করো, ও বলবে ও ভেবেছিল এটাই শেষ সুড়ঙ্গ, মৃত্যুর আগের মুহূর্ত অবধি অপেক্ষা করেছিল সুড়ঙ্গ শেষ হওয়ার।
মোহনায় ফিরে
লতা
======
প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে প্রতিটা মানুষ যা নতুন করে শেখে, জানে তা বিশ্বসংসারের কাছে আদতে পুরানো। যে শিশু হাঁটতে শিখছে আর যে মানুষটা মৃত্যুর পায়ের শব্দ সারা শরীর জুড়ে অনুভব করছে, এই দুই তাদের কাছে প্রথম, নতুন। কিন্তু বিশ্বের কাছে চিরকালের।
তবু বারবার
ব্যথা তোমার
আমার তো নয়
তবু বারবার
ফিরে ফিরে আসি
মনে বাসি ভয়
সব জানে সময়
ঢিল পড়ল জলে। টুপ।
ঢেউ উঠল। ঢেউ এসে লাগল পাড়ে। ছলাৎ।
বাতাস উঠল বেগে।
জল উঠল কেঁপে কেঁপে।
সে কাঁপন লাগল পাড়ে এসে। ছলাৎ ছলাৎ।
মাটি উঠল কেঁপে। ভূমিকম্প।
জল উঠল ভীষণ হয়ে।
পাড়ের উপর এসে ধাক্কা খেল জল।
ছলাৎ, ছলাৎ, ছলাৎ।
জলের বুকে আকাশের ছায়া উঠল চঞ্চল হয়ে।