খোলস
গুরু কাঙাল জানিয়া পার কর
আজ সকাল থেকে নির্মলেন্দুবাবুর একটা গানই মনে পড়ে যাচ্ছে - সর্প হইয়া কাটো গুরু, ওঝা ঝাড়ো....
কথা হল, কেন মনে পড়ছে?
পঁচিশে বৈশাখ
গীতায় পড়েছিলাম, শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শনের ঘটনা। তা অর্জুন তো অত অত ভয়ানক মূর্তি দেখে আঁতকে উঠে, হাতজোড় করে শ্রীকৃষ্ণকে বারবার রিক্যুয়েস্ট করে "মনুষ্য" রূপ দেখলেন এবং আশ্বস্ত হলেন। কিন্তু আমার কি হবে?
আমায় লজ্জা দিও না
উনি হয় তো একটাই কথা বলতেন,
ঝাঁপ
আমি কি তোমাকে বলেছি
আমি কি তোমাকে বলেছি
আমার ভীষণ ভয় করছে
আমি কি তোমাকে বলেছি
আমি তোমাকে হারাতে চাই না
আমি কি তোমাকে বলেছি
আমি হারিয়ে গেলে
সামলে নিও নিজেকে
শুনলাম
শুনলাম প্রাণায়ামে কোভিড সারে কিনা এই নিয়ে গবেষণা শুরু হল।
সেই থেকে আতঙ্কে খবরের কাগজ, ব্রেকিং নিউজে চোখ রাখছি প্রাণ হাতে করে। হঠাৎ না ঘোষণা হয়, আগে গাভীদের (বাছুরসমেত) ভ্যাক্সিন দেওয়া হবে, তারপর আবার মানুষদের। বলা যায় না!
যদি অনবরত
আমি তুমি ঢেউ
প্রাণ শেষ হয়।
প্রাণধারা নয়
শরীর পুড়ে যায়।
চেতনা নয়
আমি, তুমি ঢেউ
মিলিয়ে যেতেই পারি।
এ মহাসমুদ্র শুষে নেবে
এত ক্ষমতাশালী তুমি নও।
সাদা মেঘ
মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়েই দেখল চাঁদের দুপাশে দুটো ডানা। নীল ডানা। সেই নীল ডানার নীল রঙ দিয়েই আকাশটা নীল। আর চাঁদের গা থেকে জোনাকির মত আলো বেরিয়ে বেরিয়ে হয়েছে তারা। এত তারা। আঙুলের কড়ে গোনা যায় না। এমনকি খাতাতেও লিখে শেষ করা যায় না।