Skip to main content

অসুর

সমস্যাটা হল অসুরকে নিয়ে। দুর্গোৎসব এখন আন্তর্জাতিক উৎসব। ছেলেখেলা নয়। গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, লক্ষী, মা দুর্গা --- এঁদের আন্তর্জাতিক করতে বেগ পেতে হবে না। একটা 'গুডউইল' বলে ব্যাপার আছে। কিন্তু অসুর? 

পৃথিবী তোমার ধর্ম কি?

সবাই যে ধর্তব্যের মধ্যে ধরবে তা তো নয়। না তো কি সবাইকে আমিও ধর্তব্যের মধ্যে ধরব।

    কোনো মানুষকে যখন জানি, তখন শুধুই তাকে জানি। যখন তাকে ভালোবাসি তখনই সে মানুষটা সত্য হয় আমার কাছে। আমার ধর্তব্যের মধ্যে আসে।

    নইলে এই যে পোলাও আর আলুরদম খাওয়াচ্ছে, কেউ তো বলছে না, ও ঠাকুমা তুমি উঠে যাও, তোমার তো অন্য ধর্ম। কেউ তো বলছে না!

চাতাল

নিভা তার কাঁচাপাকা চুলগুলো গামছায় মুছছিল। হাত থেমে গেল। পরেশের নাতিটা স্নান করে বাঁধানো পুকুরঘাটে ছোটো ছোটো পায়ের ছাপ ফেলে এক দৌড়ে উঠে চলে গেল। নিভ

আপনজন

কথাটা ঠিক মাছ ধরা না। কথাটা হল সময় কাটানো। নইলে এই পুকুরে কি এমন মাছ হয় যে সকাল আটটা থেকে বেলা দুটো অবধি বসে থাকা যায়

সূর্য ওঠে ভেসে

মৃত্যু নয়
মৃত্যুশোক বারবার ফিরে আসে 

যে নেই
সে যে আমারও খানিকটা নিয়ে নেই 
এ সত্যটা জলে ডোবা সিঁড়ির মত ভাসে

পুরোনো মুখের পাশে বসে নতুন মুখ
কুমোরপাড়ায় কি বিসর্জিত প্রতিমা ফিরে আসে?

সমে এসে মেলে

ফিরে আসার পর কি কি মনে থাকে?

মোড় আর গলি
গোছানো কিম্বা অগোছালো ঘর
সদ্য রান্না শেষ হওয়া রান্নাঘর 
বাজারদোকান, যানজট
কিছু হাসি, কিছু ছলছল চোখ
কিছু উদাসীন গাল, কিছু অত্যুৎসাহী ঠোঁট

পাহাড়, নদী, সমুদ্র?

নিঃসঙ্গ নয়

নিঃসঙ্গ নয়
একা করে গেলে

নীরবতা
সে তো
শব্দের অপারগতা

আমায় নিলে
আমাকে সরিয়ে ফেলে

 

[ছবিঃ অনিকেত ঘোষ]

নাকি ঘর হারালাম?

কথা বলতে বলতে মনে হল, 
যা বলছি, 
     সে আমার কথা নয়। 

থেমে গেলাম। 

তোমার চোখের উপর চোখ রাখলাম। যেন কান রাখলাম শাঁখের বুকে। সমুদ্রহীন সাগর গর্জন। 

বলতে গেলাম, 
    ছেড়ে যেও না। মরে যাব। 

তখন তুমি অনেক দূরে। 
কখন গেলে? 
    মিলিয়ে যাচ্ছ ধীরে ধীরে।

তপ্ত বালি, না পিচ্ছিল শ্যাওলা? 

সে জায়গাটায় নিজেকে আসতে দাও, যখন মনে হবে, নাহ্, এ মানুষটা আর যা হোক, আমায় ঠকাবে না। 

     মানুষের যতগুলো তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়, তার মধ্যে একটা অন্যতম তিক্ত অভিজ্ঞতা হল, যখন সে বুঝতে পারে সে ইউজড হয়েছে। এই ইউজড হওয়াটাকে অনেক ভাষায়, অনেক আঙ্গিকে বলা যেতে পারে। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হল, ঠকে যাওয়া। ইউজড হওয়া। 

Subscribe to