কোথায় গেলে
বুকের ভিতর তীর বিঁধল
তুমি এলে?
চোখের পাতা ঝলসে গেল
তুমি তাকালে?
শ্বাস-প্রশ্বাসে ঝড় উঠল
তোমার গন্ধ এলো?
মন্দ- ভালো গুলিয়ে গেল
আমায় ছুঁলে?
সব কিছু যে থেকেও নেই
কোথায় গেলে?
পার্থ দে
পার্থ দে আর কঙ্কাল। আলাদা করে কিছু বলার নেই। রোমহর্ষক, ভয়ংকর, রহস্যজনক সন্দেহ নেই।
পিঁপড়ের সারি
পিঁপড়ের সারি ডিম মুখে করে
দেওয়াল বেয়ে উঠছিল
আকাশ ছেয়ে কালো মেঘ এলো।
জল বলল, ডুবিয়ে দেব
বাতাস বলল, উড়িয়ে দেব
মানুষ বলল, হারিয়ে দেব।
পিঁপড়ের সারি ডিম মুখে করে
উঁচু গর্তে বসেছিলো।
জল থামল
ঝড় থামল
মানুষ ভুলল
পিঁপড়ের সারি ডিম মুখে করে
দেওয়াল বেয়ে ফিরছিল।
চোখের কাজল
চোখের কাজল চোখকে বলল-
আমার জন্যই তোর রূপ ভাই
চোখ বলল, হ্যাঁ-
অপর জনের চোখেই শুধু পড়া চাই
উইয়ের দাগ
ইঁট বেরোনো বারান্দায়
হাড় বেরোনো মানুষটা
বেতের চেয়ারে বসে।
চেয়ারের নীচে ঘুণের শব্দ
দেওয়াল জুড়ে উইয়ের দাগ।
বোসো
রোদ পড়ছে সবুজ পাতায়
সবুজ পাতা রোদকে বলল-
এসো।
বিছে
ঘর মোছার ন্যাতার নীচে একটা বিছে থাকে। বাড়ির বৌটা জানে আর কাজের মেয়েটা জানে। কেউ কাউকে বলেনি কোনোদিন। তবু দু'জনেই জানে যে তারা জানে। সাবধানে হাত দেয়। ঘাঁটায় না। কারণ ন্যাতাটা ছাড়া ঘরের কাজ হবে না। ঘরের কাজ না হলে, ঘরে থাকার অধিকারও থাকবে না।
কেউ খেলছে
কেউ খেলছে
তবু খেলছে না
কেউ খেলছে না
তবু খেলছে
চোখের কোণায়
চোখে জল আসেনি এখনো।
তবে আসত।
চোখ বোঝার আগে,
তুমি বুঝলে কি করে?
সে জল তোমার চোখের কোণায়
মাটি
রজনীগন্ধার দিকে গোলাপ চেয়ে বলল,
আমার কই অমন সৌরভ?
গোলাপের মুখে চেয়ে রজনীগন্ধা দীর্ঘশ্বাস ফেলল-
আমার কই অমন রঙ?
ঘাস দুজনের কথা শুনে নিজের দিকে তাকাল, হাসল, বলল-
ভাই আমার না আছে রঙ, না আছে বাস
আমার আছে যা, তা তোমাদেরও তো আছে
যা সব চাইতে খাঁটি-
গোলাপ সাথে রজনীগন্ধা বলল-
কি?
ঘাসের দল সমস্বরে বলল-
মাটি মাটি মাটি....