Skip to main content

বুকে চন্দনের গন্ধ

​​​​​​​রথ এগোয়। জগন্নাথ টাল সামলে বসেন। রথ যে টানে সেও টাল সামলে সামলে চলে। থেকে থেকেই বড়রা দৌড়ে আসে, গেল গেল… জগন্নাথ আবার হুমড়ি খেয়ে পড়ল রে…
সন্ধ্যে হল। জগন্নাথ ভাবলেন, এইবার খানিক বিশ্রাম পাবেন। আর বিশ্রাম। ভক্ত থেকে থেকেই ঠাকুরঘরে ঢোকে। রথের রশি ধরে টান মারে। রথ বাঁ বাঁ করে ঘোরে। সঙ্গে ঘোরে ভাইবোন সহ জগন্নাথদেব। আবার বাড়ির লোক ধেয়ে আসে… ওরে রাখ্ রাখ্…
...

অল দ্য বেস্ট পুকাই


পুকাই বাইরে উঠানে ক্যাম্পখাটে বসে বসে মাছরাঙাটাকে দেখছে। মাছরাঙাটা বেড়ার উপর বসে রোদ পোহাচ্ছে। এক একবার পুকাইয়ের মুখের দিকে তাকাচ্ছে।

বুকুর দুর্গাপুজো

এই বুকু, বুকু….


    বুকু তো ঘুমিয়ে কাদা। ইঁদুরটা এসে কানের কাছে আবার ডাকল, এই বুকু... বুকু…

    বুকু উঠে বসল ধড়মড় করে। খাটের উপর রাস্তা থেকে টুনি লাইটের আলো এসে পড়েছে। সারা রাস্তা জুড়ে লাইটিং হয়েছে তো!

হনুমান আর দুষ্টু

দুপুরবেলা। সবাই ঘুমাচ্ছে। তার বয়েস কত হবে? হয় তো দশ কি এগারো। তার মনে একটা অদ্ভুত প্রশ্ন। তার ঠাকুমা, ঠাকুর্দা, দাদু, দিদিমা, মা, বাবা --- এরা সবাই ঠাকুরের সামনে বসে কি ভাষায় যেন কথা বলে। ওটা নাকি সংস্কৃত। এমনকি স্কুলে সরস্বতী পুজোর সময়, সেখানেও পুরোহিত ঠাকুর, মানে তার স্কুলের ভূগোলের স্যার সংস্কৃত বলে বলে পুষ্পাঞ্জলি দিতে বলেন। কেন ঠাকুর কি বাংলা, ইংরাজি, হিন্দি বোঝেন না? সে তো সবক'টা ভাষাই বলতে পারে, বুঝতে পারে। ঠাকুর যখন ছোটো ছিল তখন কি তবে কার্টুন সব সংস্কৃতে হত? তবে ঠাকুর বড় হয়ে বাকি ভাষাগুলো শেখেননি কেন?

বেজায় সত্যি গল্প

কি বলব তোমাদের! আমি সেদিন মাস্কটাস্ক পরে, বাজার করে ফিরছি, হঠাৎ স্কুলের বাইরে দিয়ে যাওয়ার সময় শুনি কি হট্টোগোল! এদিকে আমি তো জানি সব স্কুলটুল বন্ধ। তবে? হঠাৎ করে সব খুলে গেল নাকি? তোমরা বললে বিশ্বাস করবে না, একটু উঁকি দিয়ে তাকিয়ে তো আমার চক্ষুচড়কগাছ!

ধিন তাক তাক

তো অন্নপ্রাশন তো হল
তা বলে কি 
   স্যারিলাকের দিন গেল?
না হয় আমি ছোটো একটু
বিছানাতেই সারি হাগুমুতু
তা বলে ওরে আর কতদিন 
সুইগি জোমাটোর
   দে নাম্বার,
    ওসব না খেলে 
    দেহ বলহীন 
মুরগীর ঠ্যাং
  বিরিয়ানি কোপ্তা
       ফুচকা পান্তুয়া 
   রোজ কি বলেছি?
       হপ্তা হপ্তা।

বল জয় হরি

সারাদিন ভাবিস আমি শুয়ে বসে থাকি
তোরাই যত কাজ করিস, আমি দিই ফাঁকি
কত কি যে ভাবি আমি 
                    রাতদিন শুয়ে
কত তত্ত্ব, কত কথা, 
                     মনে আসে ছেয়ে
মেঘ হয়ে সে কথারা করে গড়গড়
বৃষ্টি হয়ে মাথার মধ্যে নামে ঝরঝর

বুবুন আর খোলা ফ্রিজ

বুবুন ওই জন্যেই তো রাত্রে ফ্রিজ খোলে না। কতবার বাবাকে, মাকে, রান্নার পিসিকে, বন্ধুদের বলতে চেয়েছে, কেউ বিশ্বাস করেনি। ভাবে ফোরে পড়ে, তাই বানিয়ে বানিয়ে মিছিমিছি বলে।

সব এমনি এমনিই

- বলো তো শালিখের ঠোঁট হলুদ কেন হয়?

- কেন?

- গু খায় বলে...

- তোকে বলেছে

- আরে সত্যি... আমি জানি...

- কে বলেছে?
...
Subscribe to শিশুসাহিত্য