নেই
তুমি চলে যাওয়ার পর সব
দেওয়াল বলল
আমি নেই
ছাদ বলল
আমিও নেই
খাট, বিছানা, পাখা, আলো, বইপত্তর সবাই বলল
আমি নেই
এমনকি ঘরের মধ্যে
যেটুকু ছিঁটেফোঁটা সুখ, আরাম, বিশ্রাম ছিল
তারাও বলল
আমরা নেই
অনৃত
আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের শরিক না হয়, আমি স্বৈরাচারী হই, তুমি জানো না?
আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের অংশীদার না হয়, আমি ধূর্ত, কপট হই, তুমি জানো না?
আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের অনুগামী না হয়, আমি শব্দ ব্যবসায়ী হই, তুমি জানো না?
আমার জ্ঞান যদি আমার অনুভবের ভালোবাসা না হয়, আমি শূন্যের প্রতিশব্দ হই… তুমি জানতে পারবে না কোনোদিন
আমি জানি!
নাছোড় কম্পাস
(মামুর জেনারেশন যে ভাষায় কথা বলে)
সব আছে
প্রতিদিন
প্রতিদিন আমার একটা করে ঘোর ভেঙে যাক
প্রতিদিন আমি নতুন করে বুঝি
আমার বোঝার বাইরে সংসারে যা আছে
তা অসীম
প্রতিদিন আমি নিজের কাছে ফিরি
ধুলোকাদা মেখে
নিজেকে বলি, এই তো বেশ
একটা বুদবুদ হারিয়ে গেলে
সাগরের কিছু আসে যায় না
জীবন হাঁটুক
যে যেখানে থাকুক
ভালো থাকুক
খুব লড়াই দরকার নেই তো
দরকার নেই হুড়োহুড়ি করে উপরে ওঠার
সবাই যেখানে আছে
শান্তিতে থাকুক। সুস্থ থাকুক।
একে অন্যের সঙ্গে থাকুক।
আর কেউ না থাক
অবশ্যই নিজের হাত নিজে ধরুক,
নিজের চোখ নিজে মুছুক।
সূর্য ওঠে ভেসে
মৃত্যু নয়
মৃত্যুশোক বারবার ফিরে আসে
যে নেই
সে যে আমারও খানিকটা নিয়ে নেই
এ সত্যটা জলে ডোবা সিঁড়ির মত ভাসে
পুরোনো মুখের পাশে বসে নতুন মুখ
কুমোরপাড়ায় কি বিসর্জিত প্রতিমা ফিরে আসে?
সমে এসে মেলে
ফিরে আসার পর কি কি মনে থাকে?
মোড় আর গলি
গোছানো কিম্বা অগোছালো ঘর
সদ্য রান্না শেষ হওয়া রান্নাঘর
বাজারদোকান, যানজট
কিছু হাসি, কিছু ছলছল চোখ
কিছু উদাসীন গাল, কিছু অত্যুৎসাহী ঠোঁট
পাহাড়, নদী, সমুদ্র?
নাকি ঘর হারালাম?
বাইশে শ্রাবণ
বাইশে শ্রাবণ মানে
নিভু নিভু মনুষ্যত্বের শিখাকে
আরেকবার দু'হাতে
আগলে রাখতে চেষ্টা করা
সব তাপ সহ্য করেও