Skip to main content

ঘাসফুল

স্মৃতি। 
সব রাস্তায় হেঁটো না।
কয়েকটা রাস্তা নির্ভার হয়ে হাঁটি,
  সব ঘাসে বাসি ফুল রেখে যেও না
    কিছু ঘাসে তাজা ঘাসফুল নিয়ে বাঁচি!

নীলকন্ঠ যখন নটরাজ হয়

বরং জনগণকেই বলো নীলকণ্ঠ
কৈলাসে নয়
বরং তাকিয়ে দেখো
আশেপাশে 
দুর্নীতিতে, ভ্রষ্টাচারে
 ক্রুশবিদ্ধ হতে হতে
    যে ছেলেটা মেয়েটা
       তবু রাস্তায় নামছে
         ছুটছে,
         স্বপ্নগুলোকে

নতুন

ভালোবাসো 
তবে সবটুকু মন দিয়ে নয়


কিছুটা থাক
    নিজের জন্য


সে মনেও সে-ও আসুক
বন্ধু হয়ে
    প্রেম হয়ে নয় 


যদি তা পারো
ভালোবাসা কোনোদিন দমবন্ধ ঘর হবে না
খোলামেলা বাতাসে
    পরিচয় হবে নিত্যনতুন 
            নতুন নামে
                   নতুন ডাক নিয়ে

দাম

মানুষটাকে ঘরে রাখা গেল না
কারণ প্রায় উপার্জনহীন
অথর্ব, জীর্ণ শরীর

সরকারি হাস্পাতালও রাখতে চাইল না
কারণ বেখেয়ালি মানুষটা
হুস করে 
  একমাত্র সম্বল
    প্রাণবায়ুটা ফেলল হারিয়ে 

আগুন নিল
দাহ করার দাম নিয়ে,
আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব 
    দিল সে মূল্য

নীরবতায়

যেদিন তোমার ভাষায়
   আমার ভাবনাকে পেলাম

সেদিন জেনেছিলাম 
   তুমি আমার আপন 

যেদিন তোমার নীরবতায়
   আমার নীরবতাকে পেলাম

সেদিন বুঝলাম 
    আমি তুমিই

তুমি জানতে

তোমার হাত পুড়েছে
কারণ তুমি আগুন জ্বালতে গিয়েছিলে

তোমার হাতে কামড় পড়েছে
কারণ তুমি শিকল খুলতে গিয়েছিলে
... 

গ্লানি

কামনাকে জাগাতে পারো
আমার ভালোবাসাকে বাঁ হাতে দূরে সরিয়ে রেখে

শীতল রাত
যেন ক্লান্ত পথিক তুমি
আগুন জ্বেলেছ
নিজেকে তপ্ত করে নেবে বলে 

তোমার উন্মাদ সুখযাপন দেখছি
নিজের শরীর থেকে কয়েক যোজন দূরে দাঁড়িয়ে 
কি অসীম নিঃসঙ্গতায়
কি অসহায়তায়
নিজের ভালোবাসাকে
চক্রব্যূহে রেখে 

ভয়

বন্ধ দরজার বাইরে নেই
না তো খোলা দরজার দিয়ে এসেছে
কোনোদিন 

অথচ একঘর আধজাগা মানুষ
বিশ্বাস করেছে
সে বন্ধ দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে
... 

অভয়ারণ্য 

যা ভেঙে গেল
    তা মোহ ছিল 

যে চলে গেল
    সে ছলে গেল 

আঘাত বাজলো
...
Subscribe to কবিতা