পাথেয়
গোধূলির আলোতে
ধুলোকেও মনে হয় সোনার কণা
নদীর সাদামাটা জল যেন
গলানো সোনা
মধ্য গগনে না
দিগন্ত ছোঁয়া
নম্র কোমল আলোয়
সামনে এসে দাঁড়াও যখন
অনাদর
মৃত্যুর মত অভিমান তোমার
শীতল
সাড়া দেওয়ার অভ্যাস ভুলেছ
কুলুঙ্গিতে রাখা অভিযোগ
পুড়তে পুড়তে
সারা দেওয়াল কালি
তবু হারালো না
এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে কখনো হারিয়ে গেছে ঘুঁটি?
আধখানা
রোদ্দুরের মধ্যে দিয়ে ট্রেনের হলুদ কামরাগুলো গেল দৌড়ে
পিছনে পিছনে দৌড়ালো আমার মন
সবটা না। কিছুটা মন থেকে গেল ওভারব্রিজের উপর।
সবটুকু মন নিয়ে হারিয়ে যেতে পেরেছে কে কবে চিরটাকালের জন্য?
থেকে যাওয়া মন ডাক পাঠালো, বলল,
"ফিরে আয়। পাপোশে পা মুছে ঘরে ঢোক"।
আমি সত্য বলে
কেন এত জেদ?
চারদিকে ঢাক বাজতে শুরু করল
দেবত্ব
এত নিস্তরঙ্গ কেন?
এত চুপচাপ কেন?
কাশবন, প্যাণ্ডেল, কেনাকাটি, শারদসাহিত্যের পুঞ্জীভূত রাশি
পুজোর রান্নাবান্না, সাজগোজ,
বেড়াবার নতুন ঠিকানার খোঁজ
এত নিস্তরঙ্গ কেন?
সাধারণ মানুষ তুমি, আমি
নাই বা হলাম ডাকাবুকো নারীবাদী
কি অন্য কোনের দলের
প্রফেশনাল প্রতিবাদী!
এত বেখেয়াল কেন?