এত চুপচাপ কেন?
কাশবন, প্যাণ্ডেল, কেনাকাটি, শারদসাহিত্যের পুঞ্জীভূত রাশি
পুজোর রান্নাবান্না, সাজগোজ,
বেড়াবার নতুন ঠিকানার খোঁজ
এত নিস্তরঙ্গ কেন?
সাধারণ মানুষ তুমি, আমি
নাই বা হলাম ডাকাবুকো নারীবাদী
কি অন্য কোনের দলের
প্রফেশনাল প্রতিবাদী!
এত বেখেয়াল কেন?
রাস্তায় নেমেছে মানুষ
ভুলে যাও, কোন দেশের
কোন নারী!
মাথা থেকে কাপড় সরলেই
হল মৃত্যুর পরোয়ানা জারি!
এত উদাসীনতা কেন?
রাস্তায় গুলিবিদ্ধ হচ্ছে
তোমার আমার মত সাধারণ মানুষ
প্রতিদিন
কোনো রাজনীতি নয়
দেশে দেশে যুদ্ধ নয়
বেড়েছে পাহাড়ের মত মনুষ্যত্বের কাছে
শাসকের ঋণ!
এত আত্মকেন্দ্রিকতা কেন?
রাস্তায় নেমেছে মানুষের ঢল
জ্বলছে ইরান
চাইছে মানুষের স্বাধীনতা
মানুষেরই কাছে
মাথা তুলে নিজের মত করে বাঁচার
জাগাতে মনুষ্যত্বের ইমান
এত দূরে দাঁড়িয়ে কেন?
চেতনার ভূগোল তো নেই
নেই সময়ের আদি-অন্তকাল
মানুষই বাঁচিয়ে রাখে
মানুষই ধরে থাকে
চির সমুজ্জ্বল
মনুষ্যত্বের হাল
এত বেমানান কেন?
এসো, এসো,
যেখানে মনুষ্যত্বের অপমান
দেখো গর্জিয়েছে
রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, সুভাষ
কেঁদেছে বিদ্যাসাগরের প্রাণ!
তুমি শুধু ছবিতে চন্দন দেবে
লিখবে গুটিকতক ভাসা ভাসা কথা!
অথচ এড়িয়ে যাবে
তোমার সময়ে, তোমার চারদিকে যে
অত্যাচারের ব্যথা!