Skip to main content

তোমায় আমি চেয়েছিলাম

তোমায় আমি চেয়েছিলাম।

এই কথাটা ভুলতে গিয়ে-
কত কি না করলাম!
চেষ্টা করতে করতে
করতে করতে
নিজেকে ভুলে গেলাম
তবু কথাটা ভুলতে পারলাম না-

তোমায় আমি চেয়েছিলাম।

ধৈর্য্য

সব ছড়িয়ে যাক
   আবার সাজিয়ে যাবে
         যেখানের জিনিস
              ফের ফিরে পাবে সেখানেই

একাকার

যেদিন ঘরে আসলে-
আমার মনে ছিল কিছুটা শঙ্কা
ভেবেছিলাম সব দরজায় দেবে খিল
বলবে, "আজ থেকে এ ঘর শুধু আমাদের"

যেদিন ঘরে এলে
সেদিন শুধু দক্ষিণের দরজা ছিল খোলা
তুমি এসে পূব পশ্চিম উত্তরের দরজাও দিলে খুলে
বললে, "এ ঘর সবার আজ থেকে"

অবাক হয়ে বললাম, "তুমি?"
বললে, "আমি থাকব সবার মাঝে,
তোমায় ঘিরে, তোমায় আড়াল না করে"

মোহ

প্রভু বসি রাজসিংহাসনে
ভক্ত প্রবেশিল
হস্তে তার সহস্র ছিন্ন মস্তক, রুধি সিক্ত অসি
দিল প্রভু পায়ে

প্রভু শিহরিয়া উঠি জিজ্ঞাসিলেন, কি এ?!

বন্ধুর জন্য


আমি তোমার জন্য একটা নদী বানাবো
ছোট্ট নদী
যাতে হাঁটুজলের বেশি না থাকে
সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে
আমার পাশে বোসো
পা ডুবিয়ো জলে
পা জলের তলার নুড়িগুলো ছুঁয়ে খেলবে
ধরো আকাশে চাঁদ উঠবে
গোটা না, একফালি
কয়েকটা তারা বেছে নেব, বড় আকাশ থেকে
আমাদের ছোটো আকাশটাতে
কালপুরুষ, সপ্তর্ষিমন্ডল আর শুকতারা
ধ্রুবতারা?

মানুষকে ভালোবেসে

আমি একজন মানুষকে চিনি
যিনি ভগবানকে ভালোবাসতে গিয়ে
মানুষকে এত ভালোবেসেছিলেন
যে তাকে চন্দনে, মালায় সাজিয়ে বলেছিলেন
তুমি সাজো, তুমি গাও, তুমি নৃত্যে মাতো
তোমার উপাস্য সুন্দর
তুমি মানুষ, এই তোমার একমাত্র পরিচয়
প্রেম, তোমার একমাত্র সম্পদ
নম্রতা, তোমার একমাত্র শক্তি
তিনি নদীয়ায় জন্মেছিলেন

একাই

তুমি প্রথম না
আমি অনেকগুলো গোলোকধাঁদা পেরিয়ে এসেছি
একাই
অনেক বসন্ত পেরিয়েছি শুধু শুকনো পাতা মাড়িয়েই
একাই
পিছন থেকে ছুরি মেরেছে বন্ধুর মত কেউ, ছুরিটা বার করেছি
একাই
যে কোনোদিন পাশে থাকে নি, সেও এসে বন্ধুত্বের জাল ফেলেছে
স্বার্থের সন্ধানে
সে জাল কেটে ক্ষত- বিক্ষত শরীরে বেরিয়ে এসেছি, একাই

বন্ধু, তুমিই প্রথম না

আনমনা

তুমি নিঃসন্দেহে ডেকেছিলে
তাই ব্যস্ততাতেও আনমনা হয়ে ভাবি
কে যেন ডেকেছিলো
অন্য কোথাও ছিল যেন যাওয়ার

তুমি নিঃসন্দেহে এসেছিলে
তাই বোধায় অন্যমনস্কতায় ভাবি
যাদের চিনি তারা তো নয়
খুব চেনা কার ছায়া আমার মনে?

সাদা রজনীগন্ধা

বাচ্চা মেয়েটার রজনীগন্ধার গন্ধে
গা গুলিয়ে আসছিল

ফুটপাতে সে মায়ের সাথে বসে
পিছনে বেচছে রজনীগন্ধা মালা
সন্ধ্যেবেলা
লোকেরা সব কিনছে বেছে বেছে

সারাদিন যার ভাত পড়েনি পেটে
রজনীগন্ধায় গা গুলায় তার
সাদা ভাতের দানা ভাসে চোখে
রজনীগন্ধার রঙ লেগে তার ঠোঁটে

আজ আকাশ চলো লুটি

রোজ রোজ এক পাড়া না
মাঝে মাঝে অন্য পাড়াও যেও

রোজ সকালেই পূবাকাশে না
মাঝে মধ্যে পশ্চিমাকাশেও চেও

আজ সকালে
না হয় খবরের কাগজ বাদ
ওতে শুধু ওদের খবর আছে
যারা থেকেও নেই কাছে

আজ সকালে
না হয় তাকেই মেসেজ করো
যাকে না ভেবেও রোজ ভাবো
যার কাছে রোজই ভাবো, যাবো

Subscribe to কবিতা