কবিতা

তোমায় আমি চাই না
তুমি হেসে বললে, তাই?
আমি বললাম, তাই তাই তাই
তুমি বললে, বেশ তো
আমি তবে যাই যাই যাই

আমি বললাম,
না না না

তুমি বললে, না কেন?
আমি বললাম, ইচ্ছা তাই
যাব বললেই যেতে হবে?
যখন খুশী যাওয়া চাই!

তবু বিশ্বাস করি
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই

তবু বিশ্বাস করি
মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ

তবু বিশ্বাস করি
নিজের বিশ্বাসের জন্য প্রাণ দেওয়া যায়
প্রাণ নেওয়া যায় না

তবু বিশ্বাস করি
মানুষের ধর্ম বইতে নেই, মানুষের ধর্ম প্রেমে

তুমি এভাবে কেন আসো
দরজা জানলা ভেঙে, ছাদ ফুটো করে?
ভূমিকম্পের বুকও তোমায় দেখে কাঁপে

তোমায় বেঁধে রাখার দড়ি খুঁজেছি
এদেশ ওদেশ মন্দিরে গীর্জায় মসজিদে
                           মতে মতান্তরে

অভিমান আর প্রেম একসাথে দীঘিতে স্নানে গেল। 

সিঁড়ির একদম নীচের ধাপটায় বসে আছি
এখানে
এক পা বাড়ালে মাটি
এক পা বাড়ালে জল
এক হাত বাড়ালে ঘাস
এক হাত বাড়ালে বাতাস

সব কাজ মিটিয়ে
আমার কাছে এসো
আমার পাশে বোসো

একবুক শান্তি ঘটে ভরে দেবো
তুমি স্নান সেরে এসো
একটাই কথা মনে রেখো -
উপরের সিঁড়িগুলোতে কিছু ফেলে এসো না
রেখে এসো
আর ফিরতে না হয় দেখো

তুমি সরে দাঁড়াও
তোমার শরীরে এমন কিছু নেই
যা হৃদয় গুহায় আলো জ্বালাতে পারে
তাই অকারণে নগ্ন হয়ে এসো না

পারো যদি একটা আবেগ জ্বালো চোখে
সত্যি হোক তা
আমার হৃদয় গুহা থেকে আদিম প্রাণ
উড়ে আসুক ওই আলোর দিকে চেয়ে
বসুক নিভৃতে তোমার বুকে
শরীর থাকুক সংযত
প্রাণের উৎসে প্রেমকে করে ধারণ
শুদ্ধ হোক তা

রোজ দেখা হয় না
তবু রোজ দেখা হয়

রোজ কথা হয় না
তবু সব কথা হয়

রোজ হাতে হাত রাখি কই?
তবু সারা শরীরের স্পর্শ 
এই তো, এখনও আমার সর্বাঙ্গে

সে - 
বাইরে থেকেও ভিতরে থাকে
ভিতরে থেকেও হারিয়ে থাকে
হারিয়ে গিয়েও আমায় খোঁজে
আমি, হারিয়ে গিয়েও তারই মাঝে

আমি দেখেছি
একবার না, বহুবার দেখেছি

যে অন্যকে ব্যর্থ করার সঙ্কল্পে
এক বুক ষড়যন্ত্র নিয়ে
বাড়ি থেকে বেরোলো ভোরবেলা

তাকে দেখেছি
একবার না, বহুবার দেখেছি
মাথা নীচু করে, নিজেকে ব্যর্থ করে
গোপনে ফিরছে সে চোরের মত, সন্ধ্যাবেলা

তোমায় দেখে বুঝেছিলাম
বিধাতা কাউকে নিজের হাতে সাজান

তোমার চোখের ওপর চোখ রেখে বুঝলাম
চোরাবালি শুধু পায়ের তলায় না
বুকের তলায়ও আছে

বুকে হাত রাখল
আমার হৃৎপিন্ড ছুঁয়ে বলল-
     এত তাড়াতাড়ি ছোটে?

আমি বেগ কমালাম

আবার এল
হাত রেখে বলল, এত ধীরে?

বেগ বাড়ালাম

সেবার বলল
হয় নি এখনও