Skip to main content

তবে দাঁড়ালোটা কি?

তবে দাঁড়ালোটা কি? ওমিক্রনে ভয় পাওয়ার যোগ্যতা আমার আছে কি নেই?
     সেখানের ডাক্তারেরা বলছেন, ভয় পাবেন না, আপাতত রোগের প্রকোপ তেমন কিছু না। হু বলছে, প্যানিক করবেন না, সাবধানে থাকবেন, এই বলেই তেদ্রোস কাকা আবার চশমাটা উপরে ঠেলে গম্ভীর মুখে বলল, সামনে পৃথিবীর খুব দুর্দিন। হে হে, সে বলতে কি আর তেদ্রোসকে লাগে? কথা হচ্ছে ব্যাটা কেমন জানি একটা ইনফরমেশান আতঙ্কবাদী হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা বলে তার যেন দুটো মানে হয়, এ যেন রায়গুণাকর ভরতচন্দ্রের কবিতা। "কোন গুণ নাই তার কপালে আগুন"। দুটো মানে হয় না? আমাদের বাংলার স্যারেরা ধরে ধরে বুঝিয়েছিলেন তো। কাব্য চর্চা থাক। ভাইরাস চর্চায় আসা যাক।
তো মোদ্দা কথাটা হল আপাতত যা জানা গেছে, তা হল ---

তপস্বীনী কন্যা

সংসারে সবাই তো আর অতশত কপাল করে জন্মায় না যে একটু ফুর্তি করে, গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াবে। না, মানে, পড়াশোনার গল্প মানেই তো সেই এক বিদ্যাসাগর মশায় স্ট্রিটলাইটের তলায় পড়েছিলেন, টিকি বেঁধে শুতেন এই সব কথা খালি। সে সব পুরুষতান্ত্রিক সমাজের পুরোনো কালের কথা। কিন্তু এই যে একজন মানুষ, যার কিনা খোদ মাসির বিয়ে, সে কিনা হাতে মেহেন্দি লাগাতে লাগাতে পড়াশোনা করছে, সেও আবার অনলাইনে, মানে আরকি পড়াশোনা করতে করতে মেহেন্দি লাগাচ্ছে, এমনটা কে কবে দেখেছে? পায়ে আলতা, হাতে মেহেন্দি, সামনে মোবাইল স্ট্যাণ্ডে মোবাইল, মোবাইলের স্ক্রীনে দিদিমণি, চারদিকে আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশীর হইচই, এর মধ্যে কিনা মেয়েটা পড়েই যাচ্ছে, পড়েই যাচ্ছে, পড়েই যাচ্ছে

এক নটীর গল্প

কোনো এক দেশে এক নটী ছিল। তার অভিনয়ে ধার কতটা ছিল বলা শক্ত, কিন্তু জিভে ছিল প্রবল ধার। সে সত্য মিথ্যা, বাস্তব অবাস্তবের পরোয়া কর‍ত না, সে খালি বলত রাজার মঙ্গলেই আমার মঙ্গল। এমন রাজভক্ত নটী দেশে কেন, বিদেশেও দুর্লভ। রাজা তাকে তাই অনেক অনেক পুরষ্কারে ভূষিতও করেছিলেন। সে সব পুরষ্কার নিজের বসার ঘরে সাজিয়ে রাখত। আর কেউ দেখা করতে গেলেই বলত, এ আমার সত্যবচনের পুরষ্কার। স্বীকৃতি। কেউ যদি বলত, সত্য কি? সে বলত, রাজার ভালোতেই আমার ভালো দেখা। এই পরম সত্য। কেউ যদি জিজ্ঞাসা করত, রাজার ভালো যদি প্রজার ভালোর বিপরীতে যায়? সে বলত এ তত্ত্বই মিথ্যা। রাজার ভালোতেই প্রজার ভালো। নিন্দুকে তাকে বলত অন্ধ। নটী নিন্দুকদের বলত দেশদ্রোহী।
...

কচুরি আর ছোলার ডাল খাচ্ছিল

রামকৃষ্ণদেব মাকে চাক্ষুষ হাঁটতে, চলতে দেখতেন এসব তো আমরা জানিই। কিন্তু আরো কত কথা অজানাই থেকে যায়। সে সব কথা আমরা না লিখলে কে লিখবে?
          ছবিতে যিনি আছেন, মানে আরাধ্যা পাল, তিনি সকালবেলা ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। ফিরে আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেন। কথায় কথায় আমি জিজ্ঞাসা করলাম যে সকালবেলা কালী ঠাকুর কি করছিল? ওরকম দাঁড়িয়েই ছিল?
          সে সঙ্গে সঙ্গে একটুও না ভেবে বলল, না না
,,,

মামু

আকাশে যে ঠাকুমা থাকে, সে রোজ রাতে লণ্ঠন হাতে বেরোয়। কেন বেরোবে না? সব তারা আছে কিনা গুনে দেখতে হবে না! 

তুমিই সেই পরমসুন্দরী

কথা হল এমন একটা জায়গায় গিয়ে তো দাঁড়ানোই যায় যেখানে মাস্কহীন হতে মনে বেশি সংশয় জাগবে না। এমনিতে আমার দুর্গাপুজো মানেই ঘরের কোণে নতুন বই নিয়ে সেঁধিয়ে যাওয়া। ছোটো ছিলাম যখন ছিল নানা পূজাবার্ষিকী, এখন হল নানা অন্য ধরণের বই।

সাহিত্যিকেরা আত্মীয় হন

যিনি সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন আমি তাকে চিনতাম না। কোনোদিন নাম শুনিনি। তার জন্য আমার কোনো লজ্জাও নেই। কারণ সাহিত্য আমার কাছে সাধারণ জ্ঞান না। তৃষ্ণার জল। আমার মন শান্ত হয়েছে, ভালো হয়ে গেছে, শক্তি পেয়েছে, খুশী হয়েছে এমন অনেক অনেক লেখা পড়ে যারা কেউ নোবেল পাননি।

কন্যাদিবস

ভারতের মত দেশে, যেখানে এখনও জন্মের আগে লিঙ্গ পরীক্ষা নিষিদ্ধ, অবশ্যই কারণটা সবার জানা, কন্যাভ্রুণ হত্যা যাতে না হয় সেই জন্যে, সেইখানে আজকের এই Daughter's day বা কন্যাদিবস উদযাপন আমার দারুণ লাগল। খুব খুব খুব ভালো লাগল। অনেকেই তাদের টাইমলাইনে নিজের মেয়ের সঙ্গে ছবি দিচ্ছেন। দিন দিন। আমার একটুও আদিখ্যেতা লাগছে না, আমার একটুও মনে হচ্ছে না বাড়াবাড়ি, ন্যাকামি ইত্যাদি ইত্যাদি

বিদ্যাসাগর, কমলা ভাসিন প্রমুখেরা

সংসারে বিদ্যাসাগরের অভাব হয়নি কোনোদিন। আজও নেই। বরং বিদ্যাসাগরের সুনামিতে সমাজের প্রাণান্তকর অবস্থা হয় মাঝে মাঝে। বিদ্যাসাগরেরা প্রাচীনকালেও ছিলেন, আজও আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। বিদ্যাসাগরের ঢেউয়ের গর্জনে কান ঝালাপালাও হবে।

Subscribe to হাল হকিকৎ