হুলো কাঠবেড়ালি উপাখ্যান
ব্যামো...
পা কামড়ালো তোমার হৃদি কুমীরে
তবুও পার পেতাম হয়ত তো
চুমুর ঘুর্ণী ডোবালো ঘোর তিমিরে
...
খুকু
খুকু বলে খাবো তিমি দেনা মা আনি
মা বলেন, খায় নারে মা, বিঁধবে গলায় কাঁটা
...
তা না নানা, তা না নানা
ছুটি
ক্যাপ ফাটালে একটু জোরে
সবাই কেমন আসে তেড়ে
বলে, ওরে কি দুষ্টু রে
নে তো ওর বন্দুক কেড়ে
দৌড়ে তখন মণ্ডপে যাই
দুগ্গা মায়ের মুখে তাকাই
দুগ্গার কেন মুখ নড়ে না?
ওকি বাংলা বলতে পারে না?
এতগুলো হাত কোলে তো নেয় না
একটা দিনও চুমুও দেয় না
কি রোজ শুধু মন্ত্র শোনে
অং বং ছং থাকে কি মনে?
নড়ে না চড়ে না খায় না দায় না
দেখ না ওরে
বাবার মুঠোতে আঙুল পুরে
বিস্ময় চোখে ঘুরে ঘুরে
অথ কেশবেশ কথা
কেশ শুভ্র হইল বিদ্যালয় জীবনে।
মা কহিল একি বাছা কোথা পাব কনে।।
বলিলাম আশ্বাসিয়া এত কেন ভাবো।
সময় হইলে সে অবশ্য আসিব।।
দিন যায় কেশ পাকে মাতার বাড়ে ভয়।
সন্তান বুঝি বা তবে চিরকুমার রয়।।
কলেজ অতীত হইলে আনিয়া গার্ণিয়ার।
দুশ্চিন্তা হইতে মাতঃ পাইলেন নিস্তার।।
চলিল সে কেশ রাঙানো পর্ব নিরন্তর।
মাতঃ ভাবেন কনে এবে জুটিবে সত্ত্বর।।
বাংলা সিরিয়ালের কথা অমৃত সমান
বাংলা সিরিয়ালের কথা অমৃত সমান।
যেই শুনে তার হয় জীবন শ্মশান।।
সেট টপ উপরে ধরি নীচে জোড়া স্ক্রিন।
নাচিছে নাচাইছে সবে তাধিন তাধিন।।
নট-নটী অঙ্গসজ্জা কভু নাহি খুলে।
কথা কহে বসে নাহি, ঘরে বুলে বুলে।।
আমি ফুলমুন
মামুর সাথে তেপান্তরে হঠাৎ হলাম একা
তরমুজ কাটা একফালি চাঁদ করতে এল দেখা
বললাম আয় সেল্ফি তুলি আমরা মিলে তিনজন
চাঁদ বলল আজ মোটে নয়! আজ কি আমি ফুলমুন?
যাওয়া
চলিলাম কিছুদিন নেটলোক ত্যাগী
জঙ্গলে ফিরিব গিয়া হইয়ে বিবাগী
যদি বাঘে নাহি খায়
প্রাণ নিয়ে ফেরা যায়
কথা হবে পুনঃ তবে
নেটলোকে দেখা হবে
ভালো থেকো সুখে থেকো
প্রভুপদে মতি রেখো
আর যদি নাহি ফিরি
বলো সবে হরি হরি
প্রেতলোকে দেখা হবে
কত ছড়া গান হবে
ফেসবুক নাই পাই
হরিগুণ গান গাই
এবে তবে আসি ভাই
শুভেচ্ছা জানায়ে যাই