Skip to main content

মৃত্যুঞ্জয়

গামছা কিনতে গিয়ে শেষ ট্রেনটা মিস হয়ে গেল অলোকের। বউটা এলো না। হাঁটুতে ব্যথা। কাঁচরাপাড়া স্টেশানে বসে অলোক। শ্রীগুরু আশ্রমে গিয়েছিল। বউ আর সে দু

পেট গরমের তত্ত্ব

গতকাল এক ভয়ানক স্বপ্ন দেখে ঘেমে নেয়ে উঠলাম। আসলে শুতে যাওয়ার আগে বেশ কিছু তত্ত্বজ্ঞানী গুরুঠাকুরের পেজ

বাঁশি

- বাঁশিটা দেবে?

মামু আর কোরিয়ান কাঠি

সকালবেলা আমি আর মামু খেতে বসব। জলখাবার আরকি। চাউ হয়েছে। হঠাৎ দেখি মামু দুটো কাঠি নিয়ে খেতে বসল। আমি প্রথমে ভাবলাম সদ্য পুজো গেল, মামুর কি কোনো ঢাকির সঙ্গে প্

ভালো থাকা

সবাই কি আর একরকমভাবে ভালো থাকে?

শিউলিফুল

কলিংবেল বাজল। দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে যিনি তিনি চেনা মানুষ। অনেক বয়েস। গৃহবন্দী হয়ে থাকেন প্রায়। আরো ভালো করে বললে বিছানাবন্দী।

ছুঁয়ে থাকো

প্রদীপের শিখা। নিভিয়ে দেব কি? সবটা পুড়লে তেলের খরচ বাড়ে। যদি নিভিয়ে দিই অমঙ্গল হয় বলে লোকে। তবে?

প্রেসারের ভাত

প্রেসার কুকারে ভাত রাঁধার অনেকদিন ইচ্ছা ছিল। ফ্যানা ফ্যানা চটচটে ভাত।

পাথেয়

গোধূলির আলোতে
ধুলোকেও মনে হয় সোনার কণা 
    নদীর সাদামাটা জল যেন
               গলানো সোনা 

মধ্য গগনে না
দিগন্ত ছোঁয়া
     নম্র কোমল আলোয়
সামনে এসে দাঁড়াও যখন

পোকা খুঁজছি

ফস্ করে কেউ মরে গেলে লোকে অনেকরকম কথা বলে। কেউ বলে, গ্যাস হয়েছিল। কেউ বলে, নেশা করত। কেউ বলে, আসলে গুপ্তরোগ ছিল, মানে এইডস।

বিভাজিকা

ঢুকতেই বিপুদা বলল, বাইকটা এনেছিস?

পাঁচ টাকার বাতাসা

যতীন তার মেয়েকে নিয়ে রথ দেখাতে এসেছিল। শুনল রথ চলবে না এ বছর। যতীনের চার বছরের মেয়ে বারবার জিজ্ঞাসা করছে, বাবা রথ কই রে? বাবা রথ কই? বাবা জগন্নাথ কই বাবা?

আমার ভূত

ভালো ভূতের ছবি কই পাই? সবাই কি সুন্দর সুন্দর ভূতের ছবি দিচ্ছে। আমি কই পাই? শেষে খুঁজতে খুঁজতে দেখলাম, হায় আমার পোড়া কপাল!

যে যাকে ভালোবাসে

এই খানিক আগের ঘটনা। বাইকে করে ফিরছি বন্ধুর সঙ্গে, হঠাৎ ট্রাফিক পুলিশ আটকালো।

    আটকানোর কারণ নেই। হেলমেট পরে ছিলাম। দু'জনেই। যা হোক, দাঁড়ালাম সাইডে।

    ড্রাইভিং লাইসেন্স, পলিউশানের পেপার, ব্লুবুক সব দেখলেন। বললেন ঠিক আছে যান। আসলে পুজোর সময় তো। একটু বেশি চেক দরকার এই সময়।

অধ-লৌকিক

 

গোঁসাই বলল, তিনশো ষাট ডিগ্রি না ঘুরলে?

ইচ্ছা মুক্তি

সিদ্ধেশ্বরবাবু ওরফে সিধাইবাবু যখন জানলেন তার ইচ্ছার কোনো ধার জগদম্বা ধারেন না, তখন থেকে তিনি নিজের ইচ্ছা আর জগদম্বার ইচ্ছা দুটোকেই পাত্তা দেওয়া ছেড়ে দিলেন। ম

পাগলা অনুবাদকরে তুই বাঁধ

আজ শ্রদ্ধেয় অতুলপ্রসাদ সেন মহাশয়ের জন্মদিন। তো ক'টা গান শুনব ইচ্ছা হল, আরো ইচ্ছা হল পুরোনো যুগের শিল্পীর গান শুনি। "পাগলা মনটারে তুই বাঁধ" গাইছেন রেণুকাদেবী

সেন্টিমেন্ট

কিছু মানুষ ক্রিকেট খেলছে। আমরা মানুষ দেখছি না। আমরা দেশ দেখছি। আমরা দেখছি দুটো দেশ ক্রিকেট খেলছে। আবার তারাই যখন অন্যভাবে ক্রিকেট খেলছে, আমরা দেখছি দুটো রাজ্

প্রশ্ন

সমস্যাটা হল একটা দিয়ে সবটা ব্যাখ্যা করা যায় না। যে রাজনীতি বোঝে, সে ভাবে রাজনীতি দিয়ে সবটা ব্যাখ্যা করবে। যে যৌনতা বোঝে সে ভাবে যৌনতা দিয়ে ব্যাখ্যা করাই বুঝি

অনাদর 

মৃত্যুর মত অভিমান তোমার
                              শীতল

সাড়া দেওয়ার অভ্যাস ভুলেছ

কুলুঙ্গিতে রাখা অভিযোগ 
          পুড়তে পুড়তে 
 সারা দেওয়াল কালি

উত্তর চায় না, নিজেকে চায়

গুরুদুয়ারার বাইরে এসে যখন দাঁড়ালো কনক তখন সন্ধ্যে হয়ে এসেছে প্রায়। হাতটা জিভে দিয়ে বাকি হালুয়াটা আবার চেখে দেখল। লোভের জন্য নয়। একটা স্বাদ পাওয়ার জন্য। যে স্বাদটা ছিঁড়ে যাচ্ছিল ভিতর থেকে।

    স্কুটিতে উঠল। কানে এখনও ভজনের সুর আসছে। স্কুটি স্টার্ট করল। দোকান খোলার সময় হয়ে যাচ্ছে যে!

ভাঙন

তিনি কোনো ভারতীয় পুরষ্কার পাননি। তাঁকে বহু শিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত ভারতীয় চিনতেন না। সে বড় কথা নয়, কৈলাস সত্যার্থীকেও সিংহভাগ ভারতীয় চিনতেন না, তিনি নোবেল পাওয়ার আগে অবধি। আমাদের পত্রপত্রিকাতেও বড় করে কোনো প্রতিবেদন আমি অন্তত পড়িনি। সেও বড় কথা নয়, ওসব নিয়ে লিখলে পড়বে কে?

ভোরের মত শীতল হ

আবেগী মন আর বিচারী মন। কোন মনের কথা শুনবে? আবেগী মন জেগে উঠলে বিচারী মন কোথায়? মানুষের এ দ্বন্দ্বের সমাধান কিসে? কোথায়?

    দেশলাই এক প্যাকেট, বাতাসা দুশো, চা পাতা একশো, সিগারেট দুটো, মশা মারার ধূপ একটা…. এই তো?

তবু হারালো না

এক্কাদোক্কা খেলতে খেলতে কখনো হারিয়ে গেছে ঘুঁটি?

বসুক, দোল খাক

তারের উপর বসে আছে একটা নীলকন্ঠ পাখি। ট্রেনটা দাঁড়িয়ে। জানলা দিয়ে তাকিয়ে বসে শীলা। ভেলোর থেকে ফিরছে। ডাক্তারের জবাব নিয়ে।

    খামতি যা থেকে গেল সে নিয়ে ভাবতে ইচ্ছা নেই। যা পাওয়া গেল সে নিয়েও গর্ব করতে সাধ নেই। এখন ফিরলেই হয়। ক্লান্তি।

আধখানা 

রোদ্দুরের মধ্যে দিয়ে ট্রেনের হলুদ কামরাগুলো গেল দৌড়ে

পিছনে পিছনে দৌড়ালো আমার মন

সবটা না। কিছুটা মন থেকে গেল ওভারব্রিজের উপর।

সবটুকু মন নিয়ে হারিয়ে যেতে পেরেছে কে কবে চিরটাকালের জন্য?

থেকে যাওয়া মন ডাক পাঠালো, বলল,

 "ফিরে আয়। পাপোশে পা মুছে ঘরে ঢোক"। 

ব্যথাই যখন হৃদয়

সুখের সময় মনের খোঁজ কোথায়? যেমন দাঁতে ব্যথা না হলে দাঁত কোথায়?

ছাতাওয়ালারা

মাথার উপর ছাতা। সর্বক্ষণ। রোদজল কিছুই গায়ে লাগে না। উপরে তাকালে দেখে কালো ছাতা। নীচে দেখে ছাতার ছায়া। সেই ছায়ার বাইরে যা কিছু, সে বলে অনাবশ্যক। আমার কি তাতে?

আমি সত্য বলে

বীজ জানে 
   তাকে অঙ্কুরিত হতে হবে

অঙ্কুর জানে
   তাকে ডালপালা মেলতে হবে 

ডালপালা জানে
   তাকে ফুল-ফল ধরাতে হবে 

শিকড় জানে
   যে করেই হোক 
     তাকে মাটি আঁকড়ে থাকতেই হবে

উত্তরটা জানা বলেই

অনেক রাত। চাঁদ পূর্ণিমা ছেড়ে অল্প অল্প ক্ষীণ হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পাশে গঙ্গা বইছে কুলকুল করে। স্কাইওয়াকের ছাদে পড়েছে চাঁদের আলো। পাশের রেললাইন দিয়ে ঝম

বাবা ম্যাজিক জানতেন

বাবা ম্যাজিক জানতেন। নইলে এত কিছুর পরেও মা সারাজীবন জলের গ্লাস বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন, খাবার বেড়ে দিলেন!

ওগো কঠিন নাম্নী

যিনি নোবেল পেলেন সাহিত্যে, যার নামের ঠিক বানান শুধু কিছু লোক জানে, বাকিরা সবাই ভুল জানে, তিনি আত্মজীবনী লিখেছেন মেলা। আমি পড়ে দেখলাম দু একটা। বপু বড় নয় বেশি।

পাগল

সিধু একটা সিগারেট প্যাকেট একজন খদ্দেরকে বাড়িয়ে দিতে দিতে বলল, একটা

এক বিন্দু বিষ

শূন্য খাঁচায় পাখি ডাকে না। কিন্তু পাখির ডাকের স্মৃতি?

ছলনা

রাস্তায় নেমে পাখিটা বসেছে। রাস্তা ফাঁকা। রাস্তার ধারে কিছু ফল ফলে আছে। কয়েকদিন ধরেই চাইছে খেতে। সুযোগ পাচ্ছে না। আজ পেলো।

অনুভব

বিশ্বাস করি কেউ একজন তাকিয়ে আছে। সব দেখছে। অনুভব করছে। আমাকে আমার মত করে বুঝছে

ফাইল আর নূপুর

সুকৃতিবাবুর কোনো অভ্যাস হতেও যতক্ষণ, যেতেও ততক্ষণ। এই যেমন, পুজোর

আমরা যখন গল্প করি

আমরা যখন গল্প করতে বসি, পাশে ফেভিকুইক, ব্যাণ্ডেজ, ফেভিকল, গঁদের আঠা আরো কি কি যে লাগে! হাসতে হাসতে আমাদের কতবার যে পেট ফাটল, আবার আমরা ফেভিকুইক দিয়ে টিয়ে জোড়া লাগালাম সে আর কি বলব। মিথ্যা বলব না একবার সিমেন্টও করতে হয়েছিল।

সত্যিকারের বোকা

একটা বাড়ি থেকে প্যাকেটটা দিল। বলল, আজ অষ্টমী, খেও ঠাকুমা।

দেবত্ব

হিংসা কথা নয়। বাস্তব।

মনে রেখো

মনে রেখো, কিছু কিছু বাড়িতে মৃত্যুপথযাত্রী মানুষ থাকে। তাদের আগলে রাখে, প্রাণপণে আগলে রাখে আরেকজন মানুষ, বা কয়েকজন মানুষ। যে বা যারা প্রতিদিন মৃত্যুকে বলে, আর