যে শিখার আলোতে তুমি বাঁচো
সে আলোকেই নাও শুধু কাছে

যে প্রদীপের সে শিখা
সে প্রদীপকে চেয়ো না, থাক
                     যাবে পুড়ে 
সে আগুনকে বুকে নেবে - 
এমন শ্মশান কি তোমাতে আছে?

সব রাত সমান নয়
কিছু রাত ঘুমকে ঘুম পাড়িয়ে
বুকের উপর স্লেট পেনসিল নিয়ে বসে
কিছু না মেলা হিসাব মেলাবার জেদ ধরে,
মেলে কি?
সারারাত হিজিবিজি কেটে
ভোরের বেলা ক্লান্ত দেহে যায় ফিরে
রেখে যায় কিছু বিষন্ন চকের দাগ
       না ঘুমানো আরক্ত চোখের কোণে

ফেসবুকে জুড়ে আছো যত দিদি বোন
কপালটা পেতে আছি, মন দিয়ে শোন
পড়ুক না পড়ুক কাঁটা যমের দুয়ারে
আমার কপালে তোর আঙুল ছোঁয়ারে
ভাই বল, দাদা বল, যা খুশী তা বল
প্রাণের প্রার্থনা এই, সুখে পথ চল

সকাল থেকে অনেকবার হাত থেকে এটা ওটা পড়েছে, 
(ফেলেছি? না না, কক্ষণো না)

এবার তো এসো!

আমার জন্য না হোক
অন্তত প্রাচীন প্রবাদটাকে সত্যি করতে এসো, থাকুক ওর মান

তবু এসো

এখনো মন্থন চলছে
এখনো বেরোচ্ছে পেঁজা পেঁজা বিষ

এখনো মন্থন চলছে
এখনো অপেক্ষায় আছি অমৃতের

অমৃত আসবে, না হলে-
এত হলাহল রয়ে যাবে নিরুত্তর

তা হয় না

পথে নেমেছি
হাতের মুঠোয় নিয়েছি কয়েকটা বীজ
ছড়াতে ছড়াতে যাচ্ছি রাস্তার দু'ধারে
ওরা গাছ হবে - আশা রাখি
যে তুমি আসছ আমার পরে
       তোমার জন্য রাখলাম ক'টা গাছ
              ওরা ছায়া দেবে তোমায়

অন্ধকার। মহানিশা। কালীপূজোর রাত। শাস্ত্রর কথা থাক। পুরাণে, তন্ত্রে, বেদে কি লেখে সে কথা থাক। আজ মনকে অন্ধকারের সামনে দাঁড় করানোর কথা।

তোমাকে ভুল বোঝার মানুষ প্রচুর পাবে। ঠিক বোঝার মানুষ হাতে গোনা কয়েকজন। দেখো যেন সেই 'ঠিক বোঝা'র মানুষগুলোর মধ্যে প্রথমজন হও তুমি নিজে।