আমার আশা ভরসা সব কাড়তে পারো,
স্বপ্নগুলো গুঁড়িয়ে।
আমি তবু থাকব।
আমার ভিটে মাটি কেড়ে নিতেই পারো,
দেশান্তর করে।
আমি তবু থাকব।
...

ততটাই ওঠো, যতটা উঠলে টাল সামলিয়ে দাঁড়াতে পারো।
ততটাই জানো, যতটা জানলে হৃদয়ের সাথে চলতে পারো।
ততটাই শোনো, যতটা তুমি ভাণ না করে শুনতে পারো।
ততটাই দেখো, যতটায় তুমি রংগুলোকে চিনতে পারো।
...

সারাদিন আমার দরজার পাশেই কাটল।
ঘরেও গেলাম না, পথেও নামলাম না।
দরজায় রইলাম দাঁড়িয়ে।
কেউ দাঁড়াল, কেউ চলে গেল তাকিয়ে।
কেউ দুদিন বিশ্রাম নিয়ে বলল,"যাই"।
তাদের কিছু আছে আমার ঘরে
...

ও শান্তিতে থাকতে চাইল না।
না কি পারল না? জানি না।
সবার আগে যেতে চেয়ে হল একা।
তবু থামার কোনো কারণ খুঁজে পেল না।
...

যা দেখি তা বিশ্বাস করি তার অনেকটা কারণ আমার নিজের দেখার ক্ষমতার ওপর আমার আস্থা আছে বলে। যখন তা দুর্বল হয়, তখন পাশের মানুষের সাহায্যে নিশ্চিত হতে হয় যা দেখলাম তা সত্যি কি না।
...

ইচ্ছা ছিল অন্যরকম হবে।
আকাশ থাকবে নীল।
তাতে থাকবে চাঁদ, তারা আর রামধনু।
হল না।
আকাশ ভরল মেঘে।
ভাঙল বাড়ি ঝড়ে।
...

আমি জানতাম।
তবু বলিনি। তুমি বলবে বলে।
তুমি বললে না। শুধু কাঁদলে।
...

"কি শিখবে? অস্ত্রবিদ্যা না সংগীত?",পিতা জিজ্ঞাসা করলেন কুমারকে। তাঁর তখন বিদ্যালয় শিক্ষা সমাপ্ত, সময় বিশেষ শিক্ষার।
কুমার বললেন,"অস্ত্র।"
পিতা বললেন,"বেশ।"
শুরু হল কুমারের অস্ত্রশিক্ষা।
কিন্তু দিন যত এগোলো, কুমার তত পিছলেন।
খবর গেল পিতার কাছে।
...

  যেটা মিথ্যা, তার সাজ বেশি আস্ফালন বেশি এ তো চিরকেলে কথা। তা যতক্ষণ বাইরে দাপায় ক্ষতি সেই প্রকার দেখি না। বিপদ হয় যখন সে মনের মধ্যে চেতনার অগোচরে বাসা বাঁধে। তখন তার এক-একটা প্রবল পাকে মন নিস্তেজ, মোহগ্রস্ত হতে শুরু করে। আরো একটু খোলসা করে বলা যাক। যেমন ধরা যাক কেউ আমাকে একটা খুব সস্তা দামের পেন বেশি দামে বিক্রি করে গেল।
...

মেয়েরা আমাদের অতীত সমাজে যে খুব সন্মানের সাথে বাস করেছেন তা বলতে পারি না। সতীদাহপ্রথা, পণপ্রথা, বাল্যবিবাহ...উদাহরণ বেড়েই চলবে। তারপর অনেক সমাজসংস্কারক এলেন।আমরা ধীরে ধীরে সভ্য হতে শুরু করেছিলাম। সত্যিই কি? বিশ্বাস করতে অসুবিধা হচ্ছে।আদিম রিপুর বর্বরতা কে সংযত করলে যে পৌরুষ বলে কিছু থাকবে না! তাই চলুক! আমরা রাস্তায় প্রতিবাদ করি,চেঁচাই,কাঁদি,তাতে কার কি!