সৌরভ ভট্টাচার্য
26 August 2014
দশের বোঝা টানতে টানতে শিরদাঁড়া
বেঁকে গেল যার,
তিনিও এককালে সুন্দরী ছিলেন।
পাড়ার ছেলেরা তাকিয়ে থাকত নাকি
রাস্তায় বেরোলে,
কত প্রেমপত্র রাস্তায়, ড্রেনে ফেলেছেন
ভয়ে, অনিচ্ছাতে।
বেঁকে গেল যার,
তিনিও এককালে সুন্দরী ছিলেন।
পাড়ার ছেলেরা তাকিয়ে থাকত নাকি
রাস্তায় বেরোলে,
কত প্রেমপত্র রাস্তায়, ড্রেনে ফেলেছেন
ভয়ে, অনিচ্ছাতে।
পড়াশোনা করতে চেয়েছিলেন।
তা হল কই?
তা হল কই?
বিয়ে হল যৌথ পরিবারে।
প্রতিদিন ভোরে উনুনে আঁচ ধরিয়ে
বসে বসে দেখতেন,
স্বপ্নগুলো ধোঁয়ার সাথে সাথে হাওয়ায় যাচ্ছে উড়ে,
চোখ জ্বালা করত কয়লায়, যন্ত্রণায়।
প্রতিদিন ভোরে উনুনে আঁচ ধরিয়ে
বসে বসে দেখতেন,
স্বপ্নগুলো ধোঁয়ার সাথে সাথে হাওয়ায় যাচ্ছে উড়ে,
চোখ জ্বালা করত কয়লায়, যন্ত্রণায়।
সারা রান্নাঘর কালি, ঝুল,
দশের দশরকম চাহিদার
তিনিই যোগানদার-
বাড়ির বড়বউ।
দশের দশরকম চাহিদার
তিনিই যোগানদার-
বাড়ির বড়বউ।
আজ বয়স সত্তর ছুঁয়েছে
ডাক্তার বললেন, শিরদাঁড়া যাচ্ছে বেঁকে,
সুচিকিৎসা বলতে তেমন নেই কিছু।
ডাক্তার বললেন, শিরদাঁড়া যাচ্ছে বেঁকে,
সুচিকিৎসা বলতে তেমন নেই কিছু।
শুনলেন চুপ করে।
বাড়ি এসে দরজায় খিল দিয়ে
দাঁড়ালেন আয়নার সামনে।
আয়নার ওপারে দাঁড়াল ওনার যুবতী রূপ।
অনেকদিন পর দেখা- তবু গেল চেনা।
অনেক হল কথা।
বাড়ি এসে দরজায় খিল দিয়ে
দাঁড়ালেন আয়নার সামনে।
আয়নার ওপারে দাঁড়াল ওনার যুবতী রূপ।
অনেকদিন পর দেখা- তবু গেল চেনা।
অনেক হল কথা।
ঘড়ি রইল থেমে
দুই সময় ব্যেপে।
দুই সময় ব্যেপে।
দরজা ধাক্কাল ছোটছেলে-
মা, দরজা খোলো, বাচ্চাটাকে রাখো,
আমরা বাইরে যাব।
মা, দরজা খোলো, বাচ্চাটাকে রাখো,
আমরা বাইরে যাব।
উনি দরজা খুললেন।
বাঁকা শিরদাঁড়ায় ভর করে দাঁড়ালেন,
চোখে চোখ রাখলেন,
ধরে দরজার কাঠ, শক্ত করে গলা,
বললেন-
আর না।
বাঁকা শিরদাঁড়ায় ভর করে দাঁড়ালেন,
চোখে চোখ রাখলেন,
ধরে দরজার কাঠ, শক্ত করে গলা,
বললেন-
আর না।