Skip to main content

ঘুর্ণাবর্ত

  যেটা মিথ্যা, তার সাজ বেশি আস্ফালন বেশি এ তো চিরকেলে কথা। তা যতক্ষণ বাইরে দাপায় ক্ষতি সেই প্রকার দেখি না। বিপদ হয় যখন সে মনের মধ্যে চেতনার অগোচরে বাসা বাঁধে। তখন তার এক-একটা প্রবল পাকে মন নিস্তেজ, মোহগ্রস্ত হতে শুরু করে। আরো একটু খোলসা করে বলা যাক। যেমন ধরা যাক কেউ আমাকে একটা খুব সস্তা দামের পেন বেশি দামে বিক্রি করে গেল।
...

শুভ বুদ্ধি

মেয়েরা আমাদের অতীত সমাজে যে খুব সন্মানের সাথে বাস করেছেন তা বলতে পারি না। সতীদাহপ্রথা, পণপ্রথা, বাল্যবিবাহ...উদাহরণ বেড়েই চলবে। তারপর অনেক সমাজসংস্কারক এলেন।আমরা ধীরে ধীরে সভ্য হতে শুরু করেছিলাম। সত্যিই কি? বিশ্বাস করতে অসুবিধা হচ্ছে।আদিম রিপুর বর্বরতা কে সংযত করলে যে পৌরুষ বলে কিছু থাকবে না! তাই চলুক! আমরা রাস্তায় প্রতিবাদ করি,চেঁচাই,কাঁদি,তাতে কার কি!

 

উত্তরণ

সারাদিন তুমি মৃত্যুর আসার পথ বন্ধ করে চলেছ।
এবার থাম, তুমি ক্লান্ত।
সে আসবেই।
বরং জীবনটাকে দেখ, ভালবাসো।
তুমি বলবে, জীবনকেই তো আমি ভালবাসি, তাই তো মৃত্যুকে রাখি ঠেকিয়ে।
আমি বলব, না। তুমি জীবনকে ভালবাসো নি কোনদিন।
লোভ করেছ।
বেঁচে থাকার আনন্দকে সহজ ভাবে নাও নি।
কাড়তে চেয়েছ,তোমার বরাদ্দর চেয়ে বেশি।
তাই এত ভয় তোমার। মৃত্যু কে দেখ বিভীষিকা!

শ্রেষ্ঠ জ্ঞান


     সেদিন ভোর থেকেই রাজধানীতে লোক জমা হতে শুরু হয়েছে। চারিদিকে চাপা উদ্বেগ, কি হবে! কি হবে?

বাঁশি


     ঈশ্বরের সৃষ্টির শেষ দিন। সব ঠিকই চলছিল। হঠাৎ কি করে প্রভুর অন্যমনস্কতার সুযোগে সৃষ্টি হল এক পাগলের।

আলো ও ছায়া

     অনেক দিন আগেকার কথা। একজন থাকত আলোর দেশে। আরেকজন থাকত ছায়ার দেশে। কি ভাগ্যচক্রে দুজনের হল আলো-ছায়া পথে পরিচয়। অনেক কথা হল। বেলা গেল বয়ে। দেশে ফিরে ছায়ার দেশের মানুষটা একটা প্রদীপ জ্বালল তার দেশের প্রান্তে, নাম রাখল মন্দির। নিন্দুকেরা বলল, আলোর পুজা! ভন্ডামী!

থাকবো না

এখানে চাঁদ দেখতে ন’তলা সিঁড়ি ভাঙ্গতে হয়,
অলকা পারে না।
এখানে মনের কথা বুদ্ধি দিয়ে বলতে হয়,

দাও

এত ফুল জড়ো করেছ সিংহাসনে? কেন?
তার চেয়ে থাক না কিছু গাছে।
কিছু তোলো সাজিতে।

এসেছ কি হেথা...

বহুকাল আগে, কবি আক্ষেপে গেয়ে উঠেছিলেন –

"এসেছি কি হেথা যশের কাঙালি কথা গেঁথে গেঁথে নিতে করতালি - মিছে কথা কয়ে, মিছে যশ লয়ে, মিছে কাজে নিশিযাপনা"

সেই সুর, অন্য রাগে বাঁধা পড়ল শুনলাম Yashodhara Ray Chaudhuri র একটা লেখায় আজ। তিনি তার অনেক পুরোনো একটা কবিতায় লিখেছিলেন –


'বিশ্বাস, জরুরি, আর বিশ্বাস, সচ্চাই, ধুলোহীন...

Subscribe to