Skip to main content

সংশয়ী

কে বলল, সন্ধ্যা হয়ে গেছে
আমি বললাম, ফিরবে কি?
উত্তর পেলাম না

কে বলল, সন্ধ্যা হয়ে এল
আমি বললাম, আলো জ্বালি?
উত্তর পেলাম না

কে বলল, সন্ধ্যা কি হয় নি?
আমি বললাম, হয়েছে তো
সে বলল
তবে ঘরে ফেরো নি কেন?
আলো জ্বালো নি কেন?
আমি নিরুত্তর রইলাম

যে মানুষটা


যে মানুষটা দেবতা হতে গিয়েছিল
ওই যে ওইখানে, পাথর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে

যে মানুষটা শয়তানী শিখতে গিয়েছিল
সে অন্ধকারে পথ হারিয়েছে, হারিয়ে গেছে

যে মানুষটা ভোরবেলায় লাঙল হাতে বেরিয়েছিল
ফিরে এসেছে, একঝুড়ি শস্য মাথায় করে এনেছে

ওই যে বাচ্চাটা দাওয়ায় বসে মুড়ি খাচ্ছে
উঠানে ছড়িয়ে কাকগুলোকে ডাকছে
ও মানুষের বাচ্চা
দেবতারও না, শয়তানেরও না

একলা একলা

বুকে কিছুটা আগুন জ্বলেছিল
পুড়ছিলাম নিঃশব্দে
আঁচটা নিভাইনি জেনেশুনেই
   শেষে শুধু ছাই পড়ে থাকবে জেনেও

নরককে নরকেই চাই

আমাকে নরকের দরজায় রেখে
নিশ্চিন্তে ফিরে যাও
আমি আমার মত স্বর্গ বানিয়ে নেব 

তোমার স্বর্গে যেতে পারবো না
সেখানে পরতে পরতে দেখি
নরকের আতঙ্ক

আমি নরককে নরকেই চাই
স্বর্গীয় আতঙ্কে না

অঞ্জলি


আমি তোমারই প্রতিধ্বনি
তোমার দানই দিই ফিরে তোমায়
সেই আমার অঞ্জলি

আজ বলব তোমায়

আজ বলব, তোমায় আমি ভালবাসি
আজ বোঝাব, তোমায় কতটা ভালবাসি

কিন্তু কিভাবে?

সকাল থেকে কাগজ পেন নিয়ে
লিখব আজ জীবনের শ্রেষ্ঠ কবিতাটা
কোহিনুরের মত রাখব তোমার পায়ে
বলব তোমায়, বোঝবো তোমায়
আমি তোমায় কতটা চাই
কতটা ভালোবাসি

কিন্তু একি, বেলা গড়িয়ে দুপুর হল
সাদা কাগজ সাদাই পড়ে আছে!
একটা আঁচড়ও নেই!
শব্দগুলো হারালো কার কাছে?

টপ-আপ


-হ্যালো, সায়ন্তনী?
-বলছি
-আমি কুশল
-হুঁ
-আমার খুব জ্বর
-এটা বলতেই কি ৬ মাস তেরোদিন বাদে ফোন করলি?
-তোর এতটা মনে আছে!
-ন্যাকামো না করে, কেন ফোন করেছিস বল
-আমার খুব জ্বর
-শুনলাম তো। আমি ডাক্তার নই, নার্স নই, না তো আমার বাবার ওষুধের দোকান আছে।

বোঝা-বুঝি

তুমি কথা বলতে বলতে পাশ থেকে উঠে গেলে
আমায় বোঝাতে কি সব
আঁকিবুকি কথা
বোঝালেও
মানে বোঝানোর চেষ্টা করলে
শেষে বললে, বুঝেছ?
আমি মাথা নেড়ে বললাম, হ্যাঁ

কি বোঝালে বুঝিনি
বুঝলাম এটুকুই-
তুমি পাশ থেকে উঠে গেছো

আটপৌরে

তোমায় নিয়ে একটা কবিতা লিখব?

সামনে দাঁড়াও তবে

কেমন লাগল?

ভাল

আমার চোখের থেকে চোখ সরাও এবার
আমি পাতা উল্টাবো

হিসাব করব
মাসকাবারি বাজারের

Subscribe to