Skip to main content

হঠাৎ বৃষ্টি

অনেকদিন পর রোদ উঠেছে দেখে, বউটা কাচা কাপড় জামা মেলবে বলে ছাদে উঠল। ছাদে কাপড়গুলো মেলতে মেলতেই কোথা থেকে আকাশ জুড়ে এল ঘন কালো মেঘ করে।
       সে অবাক হল। তার হাসিও পেলো। ভাগ্য বদলায়নি একটুও! সেই রাতটা মনে পড়ল। যার সাথে পালাবে বলে এক কাপড়ে বেরিয়ে পড়েছিল, তার সেই প্রেম, স্বপ্ন- সে আসার আগেই, আগের ট্রেনে হয়েছিল দেশান্তর। 

মায়া


আমি যদি
কিছু একটা হই
অমনি দেখি আলোকে ঢেকে
বানিয়ে ফেলেছি এত্তবড় ছায়া!

নিজেকে বলি, সরে আয় ভাই
আমি তো আর তেমন কিছু নই
নিজের সাথে তাও থাকা যায়
ছায়ার যে ভাই বড্ড বেশি মায়া!

শান্ত হাওয়া


শান্ত হাওয়া চাঁদের সাথে ফিরে
নিঝুম রাতে জোনাকির ব্যাথা
শ্বেত চন্দনে ঢাকে।

প্রতিচ্ছবি


যা দেখলাম, তা সহজ
যা হল অনুভব, তা সহজ
যা বললাম, তা সহজ।
শুনল না কেউ।
বোঝাতে গেলাম
হল কঠিন।
সবাই বলল, বাহ্।

মাঝপথে


একটা বৃত্ত পূর্ণ হতে কতটা জায়গা লাগে?
জানি না
একটা কেন্দ্রে কতগুলো বৃত্তের কেন্দ্র থাকে?
জানি না
আমি পরিধি বরাবর ঘুরে এসেছি।
কেন্দ্রে শুনেছি -
   ঢেউয়ের গর্জন
        ঝড়ের হুংকার

শূন্যপাত্র

একটা লোক তৃষ্ণার্ত। গ্লাস হাতে কলের কাছে গেল। কল খুলল। হাতের গ্লাসটা কলের নীচে না ধরে, উপরে ধরল।
      হাসির কথা না? 
      হ্যাঁ, অনেককেই দেখেছি শূন্যপাত্র নিয়ে ফিরছে। সঠিক স্থানে পৌঁছাচ্ছেও হয় তো বা। কিন্তু নিজেকে নীচুতে না রেখে, রাখছে ওপরে। পরিণাম? সেই শূন্যপাত্র!

বলে যাও


আমি সব ভুলে যাই
ওই চোখ দুটোর দিকে তাকিয়ে

সরিয়ে নেবে?
নাও

তবে,
কোনদিকে তাকিয়ে 
    তোমার চোখ দুটো ভুলি,
                   বলতে পারো?

পারলে, বলে যাও

দিক


অনেক দিন
      এ দিক
ও দিক 
         করার পর বুঝলাম

সব দিকই
এদিক
         ওদিক

এখন তাই 
         দিকবিদিক জ্ঞান হারিয়ে
বেশ আছি

মিথ্যা


যেদিন তোমার ভয় বাস্তবের মুখোমুখি হবে,
দেখবে বাস্তবের হাত তোমার ডান হাতে ধরা
ভয় মিলিয়ে যাচ্ছে ধোঁয়ার মত, একা।

যেদিন তোমার কল্পনা প্রেমের মুখোমুখি হবে,
দেখবে প্রেমের পাদুটো তোমার দাঁড়ানো মাটিতেই রাখা
কল্পনা মিলিয়ে যাচ্ছে কুয়াশার মত, একা।

কুহক


অনুতাপ তোমার দরজায় আনে
অহংকার দরজার সামনে এসেও
                        ফেলে গুলিয়ে
কুতর্ক পথের ধুলো উড়িয়ে করে অন্ধকার
দু'চোখ ভরা মোহাঞ্জনের 

Subscribe to