Skip to main content

উদারচেতা

কলকাতায় কিছু বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ, কবি ইত্যাদিরা জমায়েত হয়ে গোমাংস ভক্ষণ করে প্রতিবাদ জানালেন - খাবারে কোনো ফতোয়া মানছি না। 
অবশ্যই এঁরা উদারচেতা। তা প্রমাণ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতার চেয়ে নিরাপদ স্থানও নেই, এও তাঁরা ভালভাবেই জানেন। 

এসো


তুমি এসো
তোমার নিজের জায়গায়
          নিজের মত বসো

আমি বাইরে থেকে খানিক আসি ঘুরে
   বলে আসি ওদের - 
        তোমায় আমি পেয়েছি অন্তঃপুরে

খেলাঘর

যে মানুষের সব সুখ-দুঃখ কোনো একটি বিশেষ মানুষকে ঘিরে, তার পক্ষে স্বাস্থ্যকরভাবে ভাল থাকা খুব মুশকিল। কারণ কোনো মানুষেরই ক্ষমতা নেই কোনো মানুষের এতটা মনোযোগের ভার বইতে পারে। এমনকি সে চাইলেও। অনেকেই যেমন কতটা খাবার খাওয়া তার স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূল বুঝতে না পেরে, আকণ্ঠ খেয়ে হাঁসফাঁস করেন। তেমনই বহু মানুষই ঠিক কতটা প্রেম হজম করতে পারেন, তা না বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারপর? সেই হাঁসফাঁস!!!

যাই


সব ছড়ানো থাকবে
আমি চলে যাব
      চলে যাব

আমার পায়ের ছাপ
উড়িয়ে নেবে হাওয়া
       ধূলো উড়িয়ে চলে যাব
   ঝড় থামিয়ে চলে যাব

আছো


ভিতরে আছো
ভিতর হয়ে আছো

মিলিয়ে আছো
ভিতর বাইরে জুড়িয়ে আছো

ঘিরে আছো
চারপাশেতে পরিধি হয়ে
  প্রেমের বৃত্তে কেন্দ্র হয়ে আছো

হয় না


মেয়েটার কিছু শাড়ি আলনায় রাখা
               এগুলো রোজ লাগে
কিছু শাড়ি আলমারীতে তোলা, গোছানো
         ভাঁজের পর ভাঁজ খোলে
   আবার ভাঁজ করে রাখে
ভাঁজের রেখায় রেখায় আটকে তার শখ

সর্বজনীন অসর্বজনীনতা

আমাদের ধর্মের সাথে উৎসবের খুব একটা মূলগত যোগাযোগ আছে বলে মনে হয় না। ধর্মের কোনো একটা দিক একে অনুপ্রাণিত করে, এতটাই সত্যি। এরপর বাকিটা আমরা আমাদের মত বানিয়ে নিই। 

অসত্য


যে আগুন জ্বালিনি
সে আগুনে পুড়ল ঘরদোর
যে ঝড়কে ডাকিনি
সে ঝড় উড়িয়ে নিল এক উঠান শিউলি
যে কথা বলিনি
সে কথা পাঁচকান হেঁটে এসে বসল বিছানায়
যে স্বপ্ন দেখিনি
সেই স্বপ্ন ঘুমের আকাশে আনল ধূমকেতু
এ সবের পরেও
আমি নিষ্ঠুরের মত পিঁপড়ের গর্তে জল ঢেলেছি
ওদের গোপন দংশনকে উপেক্ষা করে
যে আমি ওদের ডাকিনি
তাদেরই ভাসিয়ে ছেড়েছি

অজন্তা


বহু শতাব্দী পেরিয়ে
অজন্তার গুহার সামনে এসে দাঁড়ালাম
প্রাচীন শতাব্দী আমার কাঁধে হাত রাখল
গুহাগর্ভের মধ্যে অনাবশ্যক চীৎকার
কোলাহল, গুহার শান্তিকে তখন ক্ষত বিক্ষত করছে,  
আধুনিক বর্বর কৌতুহলে
শান্ত বুদ্ধ মূর্তির দিকে চোখ গেল
একটাই কথা প্রতিটা ধূলিকণায়
  - শান্ত হও, জড়তায় না, উপলব্ধিতে।


(ছবিঃ আদিত্য পাল) 

Subscribe to