Skip to main content

অজগর

(কাল - প্রাক্ স্বাধীনতা; স্থান - বাংলার অখ্যাত একটি গ্রাম)

তুমিও তাই বলবে?


যে রাস্তাটা অর্ধেক হেঁটে ফিরে গিয়েছিলে
আমি এখনো ঠিক সেখানেই দাঁড়িয়ে

দেখতে দেখতে কত কি পাল্টে গেল
কত কেউ এলো গেলো
আমি এক বিন্দুও নড়িনি
                      দেখো

অন্ধকারের রাজা

হাসিতে রঙ করা মুখগুলোর পিছনে ঘন জঙ্গলের অন্ধকার। 

অন্ধকারগুলোর গন্ধ খুব চেনা। ফিসফিস শব্দ আসে। স্পষ্ট না। মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস। কোনো রাতজাগা পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দ। ফোঁপানো কান্না। চাপা আর্তনাদ। এদিক ওদিক থেকে উঁকি দেয় তীক্ষ্ম রক্তচক্ষু, তাতে খোদাই করা প্রতিহিংসার নেশা। 

সাধ


বয়স্ক মানুষটার চোখ বোজার সময় এল
ছুটে গিয়ে দু'পা জড়িয়ে বললাম -
ওগো একটু দাঁড়াও। পুরোপুরি চোখ বোজার আগে বলে যাও, কি পেলে, কি বুঝলে এতবড় জীবনটায় বেঁচে?

সে হাসল। চোখের জল গাল গড়িয়ে পড়ল বালিশে।

সে বলল, পেলাম জীবন -
এক সমুদ্দুর দুঃখ, তাতে কয়েক ডিঙি সুখ

আশীর্বাদ


অসময় অসময়ে এসে কড়া নাড়ল
                      সময়ের দরজায়
গিঁট বাঁধা হল না
     পুঁথিগুলো ছড়িয়ে পড়ল মেঝেয়

ভ্রমর


আমি তোমায় পেয়েছি
মুঠোতে নয়, তোমাতে ডুবে
এখন না পারো হারাতে তুমি
               না পারি আমি
আমায় হারালো ওরা
আমি হারালাম ওদের
ওদের ছিল সংশয়
ওরা বলেছিল-
নেই মধু, এ শুধু ফুলের রঙীন, মিথ্যা সাজসজ্জা। যেও না!

রাস


বাঁশি বললে, এসো
আত্মা বললে, আসছি

বুদ্ধি বললে, যেও না, না হও ব্যভিচারী
হৃদয় বললে, মরণ যেখানে দোসর সেখানে ব্যাভিচার?

সমাজ বললে, আমি মিথ্যা তবে?
ব্যাকুলতা বললে, কই তুমি?

স্বামী এসে বললে, দাঁড়াও আমি আছি!
শরীর বললে, পথ ছাড় মূর্খ, ও যাক, আমি না গেলেও ও যাবে।

চাঁদ বললে, তৈরী?
প্রসাধন বললে, হ্যাঁ

জগৎমে ঝুঠহি দেখি প্রীত


সুরে বাজল প্রশ্ন, কোন ধারায় বও?
- জানি না
- জানো না কেন? 
- কি করে জানব বাউল? মাটিতে শিকড় গেড়ে দু'হাত শূন্যে তুলে গোত্তা খেয়ে পড়ে আছি। বাইবার সময়ই বা কই আর সুযোগই বা কই?
- হুম। তা শিকড়টা গাড়ল কোন মাটিতে?
- বুঝলাম না।
- বুঝাচ্ছি। মাটিটা এঁটেল না বেলে?
- মনে তো হয় এঁটেল

গোলাপের রঙে প্রলাপ


ছেলেটার ফুসফুস থেকে হাওয়া বেরিয়ে ভোকাল কর্ড কাঁপিয়ে কিছু শব্দ তৈরী করছে। সন্ধ্যের নির্জন রাস্তা। শব্দগুলো হাওয়ায় ভেসে ভেসে মেয়েটার কুন্তল সরিয়ে কানের ভিতরে দিয়ে পর্দা কাঁপিয়ে দিচ্ছে। মেয়েটার হাতে ছেলেটার এক হাত। হরমোনে স্নায়ুতে আলুথালু প্রেম। ঘাম মানে প্রেম। দ্রুত শ্বাস মানে প্রেম।

তুমি মানে


তুমি মানে 
একফালি অপেক্ষায় এ ঘর ও ঘর করা
তুমি মানে 
একঝলক সুখের বুকে হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়া
তুমি মানে 
বেশ কয়েক ঘন্টা এক লহমায় ফুরিয়ে ফেলা
তুমি মানে 
তুমি ফিরে গেলে, তোমাতে আমায় ঘেরার পালা
তুমি মানে 
এক আকাশ শূন্যতাকে সুরে ঢাকার চেষ্টা
তুমি মানে 
তোমার তুমিতে আমার আমির তেষ্টা

Subscribe to