পাতি কথা
মনের গলি ঘুরছিলাম। নিজের সাথে, নেটের এ পাড়া ও পাড়া। কত কথা ছড়ানো ছেটানো। কত তথ্য। কত বাদ বিবাদ। মানুষের পরতে কতটা পোশাক লাগে, তার হিসাব আছে। খেতে কতটা চাল লাগে তাও মাপা যায়। কিন্তু বাঁচতে কতটা জ্ঞান লাগে - এ হিসাব করে ওঠা দায়। যদি জ্ঞানকে কাজের বস্তু ভাবি তবেই অবশ্য। কেউ যদি বলেন জানার আনন্দে জানতে চাইছি, তবে তার ক্ষেত্রে হিসাব নিকাশের বালাই নেই। যেমন কেউ যখন খাওয়ার আনন্দে খায়, কিম্বা সাজার আনন
কিনারা
রাস্তার দুটো ধারই রাস্তা বানায়
না হলে তা মাঠ
নদীর দুটো তীরই নদী বানায়
না হলে তা বন্যা
দিগন্তের রেখাই করে আকাশ মাটিকে আলাদা
দুজনের হাতে হাত মিলিয়েই
আমার কিনারা আমায় ঘিরে তুমি
না হলে আমার 'আমি' দিশাহারা
খেপা শ্রাবণ
বাংলা দিনপঞ্জী অনুযায়ী এটা আশ্বিন। কিন্তু প্রকৃতির কি সে খেয়াল আছে? প্রকৃতির ক্যালেন্ডারের সাথে আমাদের ক্যালেন্ডার আর কবে মিলল?
সিঁড়ি
সিঁড়ির প্রথম ধাপের সাথে
শেষ ধাপের যে সম্পর্ক
যদি তুমি বোঝো
পা পিছলাবে না আর
প্রথম ধাপেই থাকে শেষ ধাপের ইঙ্গিত
সে দিশা যে বোঝে, যে খোঁজে
সে তার
জীবন
ভেজা পাথর
শ্যাওলা জমা পাথর
দাঁড়াতে গেলেই, হুমড়ি খেয়ে
পিছলে ফেলা পাথর
তার উপরেই দাঁড়াতে চাইছি
গোছাতে চাইছি কবে থেকে-
এরই নাম জীবন
লাগাম
যেমন লোভের একটা চেষ্টা আছে, সেরকম চেষ্টারও একটা লোভ আছে। এই দুই এর মধ্যে সীমারেখা টানা মুশকিল।
লোভের চেষ্টা সাধ্যের সীমা মানে না, যোগ্যতা বিচার করে না, প্রয়োজনের ধার ধারে না। বলে, "দেখিই না কি হয়"। আরো বেশি জমাতে চাওয়া, আরো সুখী হতে চাওয়ার জোরটাই বেশি তার। তবে সার কথা হল, এর একটা Object আছে।
টান
আমার বুকের থেকে কিছু রঙ চুঁইয়েছে
দেখো ওরা তোমার আঁচলে লেগে এখনো
ওরা গড়িয়ে তোমার সর্বাঙ্গ ভেজাবে
চুঁইয়ে চুঁইয়ে ঢুকবে তোমার ধমনী শিরায়
স্নায়ুতে লাগবে পূর্বজন্মের টান
ভেজা মাটির গন্ধে শিকড়
পায় যেমন জলের সন্ধান
না কল্পনা
আশ্চর্য প্রদীপ
'একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে'- এর থেকে বড় আশ্চর্য প্রদীপ আছে কি? যার থেকে রোজ একটা করে দিন জন্মায়, সেই প্রদীপের দৈত্যের মত। নিত্য তার হাতে নতুন কিছু একটা কাজ দিই। কাজটা হয়তো সম্পূর্ণ হয়, কিন্তু আশাটা পূর্ণ হয় না। রাতে বালিশে মাথা রাখি আর পাশে রাখি সেই প্রদীপটা, সেই আশ্চর্য প্রদীপ - 'একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে!'
ভাঙা আয়না
১
---