Skip to main content

উৎসব

উৎসবের পিছনে এককীত্বের একটা খোঁচা থাকে। সব উৎসবের। আমরা যে প্রতিদিন বিচ্ছিন্ন থাকার অভ্যাসগুলো সযত্নে গড়ে তুলি- তার বিরুদ্ধে একটা তো কিছু করা চাই!

অভিমান


অনেক ধূলোবালি এক জায়গায় জড়ো করলে,
নিষ্ঠা নিয়ে।
ভাবলে তার মাথায় হবে 
একটা কৃষ্ণচূড়া গাছ

হল না

ধূলোবালি মাখা সারা গায়ে
নিজের হাতের আঁকিবুঁকি কাটা আস্তরণ
ভেবেছিলে ওগুলো হবে আলপনা, 
                কল্কা কাটা নকসা

হল না

ভেজা ভেজা মন


ভেজা ভেজা মন
শোন বারণ
ভুলে থাক সব কঠিন পণ

ভেজা ভেজা মন
শোন শাসন
মুছে ফেল চোখ, কাট বাঁধন

তর্পণ


যেদিনই তোমার জন্মদিন থাকত
আমি বলতাম-
ধুর্, মায়ের আবার জন্মদিন হয় নাকি!
যেমন আকাশের কোনো জন্মদিন নেই
মাটির কোনো জন্মদিন নেই
খুশীর কোনো জন্মদিন নেই
তেমন তোমারও কোনো জন্মদিন নেই।

তুমি হাসতে

দুই বিন্দু জল

দুই বিন্দু জল
এক বিন্দু পদ্ম পাতায়
এক বিন্দু চোখের কোণায়
         করছে ছলছল

(ছবিঃ সুমন দাস)

বিকার ও সম্পর্ক

মন আর শরীর। এ দুটোই অস্তিত্ব। ভাগাভাগি করে নেই, বেশ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে।

     কিন্তু এই দুটোতেই তো পরিচয় শেষ হয় না আমার। পরিচয় হয় সম্পর্কের সূত্রে। সম্পর্ক মনের সাথে, শরীরের সাথে। শুধু আমার না, আমার চারপাশের সাথেও। শুধু জীবন না, জড়ের সাথেও। বিভিন্ন সম্পর্কের সূত্রে পরতে পরতে গড়ে ওঠে আমার এই পরিচয়।

সেই ভাল


সব হাসি কি প্রসন্নতার?
কত হাসি মতলবেরও

সব খবর কি ঘটেছিল?
কত খবর কল্পনারও

যা কিছু ভাই এদিক ওদিক
বুঝবি যে সব, তার নেই ঠিক

তার চেয়ে ভাই আশমানেতে
ঠ্যাঙ তুলে শো, চিৎপাতেতে

মারুক ধরুক কাড়ুক নাড়ুক
ফুল চন্দন কি পোকাই পড়ুক

তোর কি কাজ সেদিক পানে
মন মজা তোর মাঠের গানে

রামধনু


একবিন্দু জল,
মেঘের বুক থেকে
      সাগরের বুকে পড়ল

বলল, আমি এখানে কেন?

সাগর বলল, বুঝবে মেঘ হলে, 
         এই বলে সে 
  একরাশ বাস্প উড়িয়ে হাসল

সূর্যের কিরণ পড়ল সে মেঘে
   রামধনু দিয়ে আকাশ সাগরকে বাঁধল

যেখানে সেখানে

মাথা যদি শ্রদ্ধায় আপনি নীচু হয়, সে ভাল। তেমন শ্রদ্ধার স্থান সংসারে কদাচিৎ মেলে। কিন্তু যদি সে অভ্যাসের বশে যেখানে সেখানে নীচু হয়ে পড়ে, তবে সে মাথায় জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রবল। 

আবছা


কয়েক পশলা বৃষ্টি
    মন খারাপের ঝিরঝিরে কথা
হঠাৎ আসা আবছা আঁধারে
  ফেলে আসা দিনের ছেঁড়া পাতা

Subscribe to